মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি -সিএনএন
নিউইয়র্ক সিটির নতুন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার কয়েক মুহূর্ত পরই মার্কিন রাজনীতির উদীয়মান তারকা জোহরান মামদানি তাঁর পরবর্তী লড়াইয়ের দিকে নজর দেন। এ লড়াই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। ভোটে জেতার পর মঙ্গলবার, (১১ নভেম্বর ২০২৫) দেওয়া বিজয় ভাষণে জোহরান মামদানি সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ডনাল্ড ট্রাম্প, আমি জানি, আপনি দেখছেন। তাই আপনার জন্য চারটি শব্দ: টার্ন দ্য ভলিউম আপ (আওয়াজ বাড়ান)।’
কয়েক মিনিট পরই ট্রাম্প তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ জবাব দেন, ‘এবং সেভাবেই শুরু হলো!’ প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানিকে ডেমোক্রেটিক পার্টির ‘কমিউনিস্ট ভবিষ্যৎ’ বলে আখ্যা দেন। মেয়র নির্বাচনে ট্রাম্প সাবেক ডেমোক্রেটিক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে সমর্থন দিয়েছিলেন। কুমো এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, তারা যদি জোহরান মামদানিকে বেছে নেন, তাহলে তিনি ওই নগরে তহবিল দেওয়া বন্ধ করে দেবেন।
আর জোহরানের বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পরের দিন সকালে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, মানুষ নিউইয়র্ক থেকে পালিয়ে যাবে। এবারই প্রথম নয়। নিউইয়র্কে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা ট্রাম্পকে এর আগেও নগরটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। তিনি অভিবাসনবিরোধী অভিযান জোরদার করা থেকে শুরু করে নিজের অপছন্দের নীতি ‘কনজেশন প্রাইসিং’-এ অর্থায়ন বন্ধ করার চেষ্টা পর্যন্ত করেছেন। তবে ট্রাম্পের হুমকিতে জোহরানকে বিচলিত মনে হয়নি।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর দেওয়া বক্তব্যে নতুন মেয়র বলেন, ‘ডনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হওয়া একটি জাতি কীভাবে তাকে পরাজিত করলো তা যদি দেখাতে হয়, তাহলে বলব এটাই সে শহর যেখানে তিনি বেড়ে উঠেছেন।’
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প ফেডারেল ক্ষমতা ব্যবহার করে ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন শহরের ওপর চাপ তৈরি করেছেন। তিনি ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসনবিরোধী দমন অভিযান চালিয়েছেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প ফেডারেল ক্ষমতা ব্যবহার করে ডেমোক্র্যাটনিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন শহরের ওপর চাপ তৈরি করেছেন। তিনি ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসনবিরোধী দমন অভিযান চালিয়েছেন। ব্যয় বিল পাস না হওয়ায় গত ১ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারে শাটডাউন (অচলাবস্থা) শুরু হলে ট্রাম্প বিভিন্ন শহরের জন্য নির্ধারিত বরাদ্দে কাটছাঁট করেন। এ তালিকায় নিউইয়র্কও আছে। সেখানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা ১ হাজার ৮০০ ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করেছেন।
রাজনীতিবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বিবিসিকে বলেছেন, ট্রাম্প আরও কাটছাঁট করতে পারেন। এতে নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের জীবনযাপনের খরচ কমাতে জোহরান যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেগুলো পূরণের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে। নিজেকে ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট হিসেবে পরিচয় দেওয়া জোহরান তাঁর নির্বাচনী প্রচারে বিনা মূল্যে ও দ্রুতগতির বাসসেবা, আবাসন খাতে ভাড়া স্থির রাখা, নগর পরিচালিত মুদিদোকান প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক জুলিয়ান জেলিজার মনে করেন, নবনির্বাচিত মেয়রকে এখন নিজের পরিকল্পিত সব কাজ এগিয়ে নেওয়ার বদলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সামলানোর দিকেই বেশি মনোযোগ দিতে হবে। জেলিজার বলেন, ‘এটা নগরের (নিউইয়র্ক) জন্য সমস্যা তৈরি করবে। পাশাপাশি এটা নবনির্বাচিত মেয়রের জন্য মনোযোগ দিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। এ ব্যাপারে জোহরানের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেছিল বিবিসি। তবে তিনি সাড়া দেননি।
জোহরান নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে আইনসভার সদস্য ছিলেন। নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, তাঁকে তাঁর উচ্চাভিলাষী নীতি বাস্তবায়ন করতে হলে ট্রাম্পের পাশাপাশি আরও কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। জোহরান বলেছেন, বিভিন্ন সম্পদশালী প্রতিষ্ঠান এবং নিউইয়র্কের শীর্ষ উপার্জনকারী মানুষদের ১ শতাংশের কর বাড়িয়ে তিনি ১ হাজার কোটি ডলার রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারবেন। কিন্তু এ জন্য অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের অনুমতি লাগবে।
ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর ক্যাথি হকুল এখন পর্যন্ত জোহরানের কর পরিকল্পনাকে সমর্থন জানানোর বিষয়ে দ্বিধা প্রকাশ করেছেন। আগামী বছর গভর্নর নির্বাচনে হকুলকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ট্রাম্পের সহযোগী এলিস স্টেফানিক বলেছেন, তিনি গর্ভনর পদে লড়ার জন্য রিপাবলিকান দলের হয়ে মনোনয়ন চাইবেন। গত বছর নিউইয়র্কের জন্য ফেডারেল বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৮৫০ কোটি ডলার, যা নগরের মোট বাজেটের ৭ শতাংশ। এখন ট্রাম্প যদি ফেডারেল তহবিলে আরও কাটছাঁট করেন, তবে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করাটা আরও কঠিন হয়ে যাবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি -সিএনএন
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
নিউইয়র্ক সিটির নতুন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার কয়েক মুহূর্ত পরই মার্কিন রাজনীতির উদীয়মান তারকা জোহরান মামদানি তাঁর পরবর্তী লড়াইয়ের দিকে নজর দেন। এ লড়াই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। ভোটে জেতার পর মঙ্গলবার, (১১ নভেম্বর ২০২৫) দেওয়া বিজয় ভাষণে জোহরান মামদানি সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ডনাল্ড ট্রাম্প, আমি জানি, আপনি দেখছেন। তাই আপনার জন্য চারটি শব্দ: টার্ন দ্য ভলিউম আপ (আওয়াজ বাড়ান)।’
কয়েক মিনিট পরই ট্রাম্প তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ জবাব দেন, ‘এবং সেভাবেই শুরু হলো!’ প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানিকে ডেমোক্রেটিক পার্টির ‘কমিউনিস্ট ভবিষ্যৎ’ বলে আখ্যা দেন। মেয়র নির্বাচনে ট্রাম্প সাবেক ডেমোক্রেটিক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে সমর্থন দিয়েছিলেন। কুমো এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, তারা যদি জোহরান মামদানিকে বেছে নেন, তাহলে তিনি ওই নগরে তহবিল দেওয়া বন্ধ করে দেবেন।
আর জোহরানের বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পরের দিন সকালে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, মানুষ নিউইয়র্ক থেকে পালিয়ে যাবে। এবারই প্রথম নয়। নিউইয়র্কে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা ট্রাম্পকে এর আগেও নগরটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। তিনি অভিবাসনবিরোধী অভিযান জোরদার করা থেকে শুরু করে নিজের অপছন্দের নীতি ‘কনজেশন প্রাইসিং’-এ অর্থায়ন বন্ধ করার চেষ্টা পর্যন্ত করেছেন। তবে ট্রাম্পের হুমকিতে জোহরানকে বিচলিত মনে হয়নি।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর দেওয়া বক্তব্যে নতুন মেয়র বলেন, ‘ডনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হওয়া একটি জাতি কীভাবে তাকে পরাজিত করলো তা যদি দেখাতে হয়, তাহলে বলব এটাই সে শহর যেখানে তিনি বেড়ে উঠেছেন।’
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প ফেডারেল ক্ষমতা ব্যবহার করে ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন শহরের ওপর চাপ তৈরি করেছেন। তিনি ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসনবিরোধী দমন অভিযান চালিয়েছেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প ফেডারেল ক্ষমতা ব্যবহার করে ডেমোক্র্যাটনিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন শহরের ওপর চাপ তৈরি করেছেন। তিনি ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসনবিরোধী দমন অভিযান চালিয়েছেন। ব্যয় বিল পাস না হওয়ায় গত ১ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারে শাটডাউন (অচলাবস্থা) শুরু হলে ট্রাম্প বিভিন্ন শহরের জন্য নির্ধারিত বরাদ্দে কাটছাঁট করেন। এ তালিকায় নিউইয়র্কও আছে। সেখানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা ১ হাজার ৮০০ ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করেছেন।
রাজনীতিবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বিবিসিকে বলেছেন, ট্রাম্প আরও কাটছাঁট করতে পারেন। এতে নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের জীবনযাপনের খরচ কমাতে জোহরান যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেগুলো পূরণের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে। নিজেকে ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট হিসেবে পরিচয় দেওয়া জোহরান তাঁর নির্বাচনী প্রচারে বিনা মূল্যে ও দ্রুতগতির বাসসেবা, আবাসন খাতে ভাড়া স্থির রাখা, নগর পরিচালিত মুদিদোকান প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক জুলিয়ান জেলিজার মনে করেন, নবনির্বাচিত মেয়রকে এখন নিজের পরিকল্পিত সব কাজ এগিয়ে নেওয়ার বদলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সামলানোর দিকেই বেশি মনোযোগ দিতে হবে। জেলিজার বলেন, ‘এটা নগরের (নিউইয়র্ক) জন্য সমস্যা তৈরি করবে। পাশাপাশি এটা নবনির্বাচিত মেয়রের জন্য মনোযোগ দিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। এ ব্যাপারে জোহরানের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেছিল বিবিসি। তবে তিনি সাড়া দেননি।
জোহরান নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে আইনসভার সদস্য ছিলেন। নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, তাঁকে তাঁর উচ্চাভিলাষী নীতি বাস্তবায়ন করতে হলে ট্রাম্পের পাশাপাশি আরও কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। জোহরান বলেছেন, বিভিন্ন সম্পদশালী প্রতিষ্ঠান এবং নিউইয়র্কের শীর্ষ উপার্জনকারী মানুষদের ১ শতাংশের কর বাড়িয়ে তিনি ১ হাজার কোটি ডলার রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারবেন। কিন্তু এ জন্য অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের অনুমতি লাগবে।
ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর ক্যাথি হকুল এখন পর্যন্ত জোহরানের কর পরিকল্পনাকে সমর্থন জানানোর বিষয়ে দ্বিধা প্রকাশ করেছেন। আগামী বছর গভর্নর নির্বাচনে হকুলকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ট্রাম্পের সহযোগী এলিস স্টেফানিক বলেছেন, তিনি গর্ভনর পদে লড়ার জন্য রিপাবলিকান দলের হয়ে মনোনয়ন চাইবেন। গত বছর নিউইয়র্কের জন্য ফেডারেল বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৮৫০ কোটি ডলার, যা নগরের মোট বাজেটের ৭ শতাংশ। এখন ট্রাম্প যদি ফেডারেল তহবিলে আরও কাটছাঁট করেন, তবে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করাটা আরও কঠিন হয়ে যাবে।