আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের রোবটিক্স, প্রোগ্রামিং এর মতো বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। দেশের উপকূলের মেয়েদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে পরিচালিত স্টেম এন্ড আইসিটি স্কিলস ফর দ্যা গার্লস অফ কোস্টাল এরিয়া প্রকল্পের ফলাফল পর্যালোচনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন আলোচক ও অতিথি বৃন্দ। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হোটেলে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক। প্রকল্পটির পৃষ্ঠপোষক মালালা ফান্ড। এ সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল উপকূলীয় অঞ্চলে মেয়েদের স্টেম শিক্ষায় অংশগ্রহণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রভাব তুলে ধরা এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার উপর আলোকপাত করা।
প্রকল্পটি গত তিন বছরে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার তিনটি উপজেলার ছয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়ন সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। মূলত ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণীর মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কাস্টমাইজড স্টেম কারিকুলাম ও পোর্টেবল স্টেম ল্যাবের মাধ্যমে ১৫টিরও বেশি বিদ্যালয় প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে। বহনযোগ্য ল্যাবের কারণে আলাদা ল্যাব স্থাপন বা রক্ষণাবেক্ষণের বাড়তি খরচ ছাড়াই আশপাশের বিদ্যালয়গুলোও এই সুযোগ পাচ্ছে। প্রকল্পের মাধ্যমে ১২০০ এর বেশি শিক্ষার্থী সরাসরি স্টেম কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে। ২০০ এরও বেশি শিক্ষক স্টেম প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে শ্রেণীকক্ষে তা প্রয়োগ করছেন। শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ গন্ডির বাইরে গিয়ে জাতীয় পর্যায়ের অলিম্পিয়াডগুলোতে অংশগ্রহণ করেছে, প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মক্ষেত্র ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়েছে এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় নিজেদের সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে।
অনুষ্ঠানে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা প্রকল্পের উপর তাদের পরিচালিত একটি গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করে জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্টেম বিষয়ে মেয়েদের অংশগ্রহণ ও শিক্ষকদের আত্মবিশ্বাস উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। প্রোগ্রামিং ও রোবোটিক্সে দক্ষতা প্রায় শূন্য থেকে বেড়ে ৬৪ শতাংশে পৌঁছেছে, এবং ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী উচ্চমানের দক্ষতা অর্জন করেছে। অভিভাবকদের সমর্থন বেড়েছে ২১ শতাংশ, আর লিঙ্গভিত্তিক সচেতনতা বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ।
আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যদিও আমাদের হাতে সময় কম, তবুও ২০২৭ সাল থেকে হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাক্রমে স্টেম তথা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত শিক্ষার ওপর অধিকতর মনোযোগ দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট জিন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহমেদ, মালালা ফান্ডের সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর মোশাররফ তানসেন, কুয়েটের অধ্যাপক ড. হেলাল আন-নাহিয়ান প্রমুখ।
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের রোবটিক্স, প্রোগ্রামিং এর মতো বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। দেশের উপকূলের মেয়েদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে পরিচালিত স্টেম এন্ড আইসিটি স্কিলস ফর দ্যা গার্লস অফ কোস্টাল এরিয়া প্রকল্পের ফলাফল পর্যালোচনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন আলোচক ও অতিথি বৃন্দ। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হোটেলে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক। প্রকল্পটির পৃষ্ঠপোষক মালালা ফান্ড। এ সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল উপকূলীয় অঞ্চলে মেয়েদের স্টেম শিক্ষায় অংশগ্রহণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রভাব তুলে ধরা এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার উপর আলোকপাত করা।
প্রকল্পটি গত তিন বছরে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার তিনটি উপজেলার ছয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়ন সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। মূলত ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণীর মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কাস্টমাইজড স্টেম কারিকুলাম ও পোর্টেবল স্টেম ল্যাবের মাধ্যমে ১৫টিরও বেশি বিদ্যালয় প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে। বহনযোগ্য ল্যাবের কারণে আলাদা ল্যাব স্থাপন বা রক্ষণাবেক্ষণের বাড়তি খরচ ছাড়াই আশপাশের বিদ্যালয়গুলোও এই সুযোগ পাচ্ছে। প্রকল্পের মাধ্যমে ১২০০ এর বেশি শিক্ষার্থী সরাসরি স্টেম কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে। ২০০ এরও বেশি শিক্ষক স্টেম প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে শ্রেণীকক্ষে তা প্রয়োগ করছেন। শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ গন্ডির বাইরে গিয়ে জাতীয় পর্যায়ের অলিম্পিয়াডগুলোতে অংশগ্রহণ করেছে, প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মক্ষেত্র ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়েছে এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় নিজেদের সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে।
অনুষ্ঠানে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা প্রকল্পের উপর তাদের পরিচালিত একটি গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করে জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্টেম বিষয়ে মেয়েদের অংশগ্রহণ ও শিক্ষকদের আত্মবিশ্বাস উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। প্রোগ্রামিং ও রোবোটিক্সে দক্ষতা প্রায় শূন্য থেকে বেড়ে ৬৪ শতাংশে পৌঁছেছে, এবং ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী উচ্চমানের দক্ষতা অর্জন করেছে। অভিভাবকদের সমর্থন বেড়েছে ২১ শতাংশ, আর লিঙ্গভিত্তিক সচেতনতা বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ।
আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যদিও আমাদের হাতে সময় কম, তবুও ২০২৭ সাল থেকে হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাক্রমে স্টেম তথা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত শিক্ষার ওপর অধিকতর মনোযোগ দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট জিন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহমেদ, মালালা ফান্ডের সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর মোশাররফ তানসেন, কুয়েটের অধ্যাপক ড. হেলাল আন-নাহিয়ান প্রমুখ।