alt

জনগণের আস্থা ফেরাতে নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার চান সিইসি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলেই মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। কারণ হিসেবে তিনি বললেন, একটি বড় অংশ নির্বাচনকে শুধু বর্জনই করেননি, প্রতিরোধেরও ঘোষণা দিয়েছিল।

সিইসির মতে, শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ হওয়ায় একটি ‘সংকট এড়ানো গেছে’ তবে নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা যে ‘অনেকটা হ্রাস পেয়েছে’। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে প্রতি পাঁচ বছর পর পর যদি সংকট সৃষ্টি হয়, তাহলে দেশের উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হবে।’ তাই নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কারের আহ্বান জানান তিনি।

সেজন্য রাজনৈতিক নেতাদের একটি গ্রহণযোগ্য ‘পদ্ধতি’ খোঁজার তাগিদ দিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন পদ্ধতিতে সংস্কার আনা সম্ভব হলে আগামীতে নির্বাচন আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।’

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিইসি। ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অনুষ্ঠানে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

বড় দল বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের মধ্যে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ভোটে জয়লাভ করে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ইসির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার ভোট পড়ে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।

ভোট আয়োজন সফলভাবে সমাপ্ত হওয়ায় অনুষ্ঠানে কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্মীরা একে অন্যকে ধন্যবাদ জানান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোটরদেরকেও ধন্যবাদ জানায় কমিশন। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইসি সচিবালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সরকারের সহায়তা ছাড়া এত বড় কর্মযজ্ঞ সফল করা সম্ভব হয় না। আমাদের অপবাদ, বদনাম দুটোই নিতে হবে।’

এবারের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও খুব যে অংশগ্রহণমূলক হয়েছে, তা মনে করেন না সিইসি। তিনি বলেন, ‘একটি বড় দল শুধু বর্জন করেনি, প্রতিহত করতে চেয়েছিল। নির্বাচন উঠিয়ে আনায় জাতি স্বস্তিবোধ করছে, আমরা স্বস্তিবোধ করছি।’

এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ‘জাতি উদ্বেগ ও সংকট থেকে ওঠে এসেছে’ বলেও মন্তব্য করেন সিইসি।

ভোট বর্জন করা দলগুলোর নানা অভিযোগের দিকে ইঙ্গিত করে সিইসি বলেন, ‘সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অজুহাতে সরকারের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেনি ইসি। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অবশ্যই ছিল, তবে নির্বাচন থামিয়ে রাখাও সম্ভব ছিল না।’

নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘ঈমানের সঙ্গে কাজ করে সফল হয়েছি। যে স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছেছি, সেই স্ট্যান্ডার্ড থেকে নামতে পারবে না। আমরা দেখিয়ে দেব কীভাবে এই কমিশন কাজ করে, যা ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা ভালো একটা নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। না করতে পারলে হয়ত আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতাম। আমাদের সরকার সহায়তা দিয়েছে। না হলে একসুরে একভাবে কাজ করা সম্ভব হতো না। আশা করি, মানসম্মানের সঙ্গে চলে যেতে পারব।’

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘দলগুলো যারা অংশগ্রহণ করেছে এবং সরকার, সকলেই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে। আনসার থেকে শুরু করে সকলেই সহায়তা করেছে। সরকার একটি বিরাট শক্তি, তাদের সহযোগিতা যদি না পেতাম, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে পারতাম না। সব দল অংশগ্রহণ করলে আরও গ্রহণযোগ্য হতো।’

ছবি

জাতীয় নির্বাচনের দিনে গণভোট: ‘আলোচনা করে’ মত জানাবে ইসি

ইসির সংলাপ: আগামী রোববার ডাক পেয়েছে আরও ১২ দল

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা সোমবার

আলী রীয়াজ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, পেলেন উপদেষ্টার মর্যাদা

ছবি

নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: ইউনূস

ইসির সংলাপে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করার তাগিদ

ইসির সংলাপ: জামানত কমানো, ব্যয় মনিটরিং ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ দলগুলোর

ছবি

‘নতুন কুঁড়ির’ মূল উদ্দেশ্য নিজেকে আবিষ্কার করা: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

আলী রীয়াজ প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী পদে নিযুক্ত

ছবি

নির্বাচনের দিনই গণভোট,   জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি 

ছবি

নিজেদের স্বার্থে ভারতীয় গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার উপস্থিতি বন্ধের অনুরোধ ঢাকার

ছবি

আত্মসমর্পণ, পরে জামিন সাবেক বিচারপতিসহ তিনজনের

ছবি

প্রধান উপদেষ্টা আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন

ছবি

বারোটি রাজনৈতিক দল নিয়ে ইসির সংলাপ শুরু বৃহস্পতিবার

ছবি

ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন সরকারের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডার অংশ: প্রসিকিউটর

ছবি

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, জোরদার নিরাপত্তা

ছবি

ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমের সঙ্গে হাসিনার কথা বলা বন্ধের আহ্বান

ছবি

কানাডীয় পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সাক্ষাৎ

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, কোনো শক্তিই ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব

ছবি

ট্রাইব্যুনাল ফেইস না করে যানবাহনে আগুন মানুষ ‘ভালোভাবে নিচ্ছে না’: প্রসিকিউটর

কিউকম সিইও রিপন কারাগারে, রিমান্ড শুনানি বুধবার

বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান হান্নানের সহযোগীর দুই ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

ছবি

১ ফেব্রুয়ারি থেকে একুশে বইমেলার দাবি, প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি

ছবি

পাচারের শিকার শান্তনা দীর্ঘ ১১ বছর পর দেশে ফিরলো

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো: আরও ৪ এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা করছে দুদক

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় ২০ নভেম্বর

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৯১২ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ৩ জনের

ইসির সংলাপ শুরু কাল থেকে, ধাপে ধাপে ডাকা হবে দলগুলোকে

ছবি

জুলাই সনদ নিয়ে ‘৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে’ সিদ্ধান্ত নেবে সরকার

ছবি

তৌহিদ হোসেন বললেন, দিল্লির বিস্ফোরণে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের সংবাদ ভিত্তিহীন

ছবি

বিমানবন্দরগুলোকে নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়াতে কয়েকটি নির্দেশ : বেবিচক

ছবি

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিচার প্রস্তুত, আদালত বদল

সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদিরকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ

tab

জনগণের আস্থা ফেরাতে নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার চান সিইসি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলেই মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। কারণ হিসেবে তিনি বললেন, একটি বড় অংশ নির্বাচনকে শুধু বর্জনই করেননি, প্রতিরোধেরও ঘোষণা দিয়েছিল।

সিইসির মতে, শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ হওয়ায় একটি ‘সংকট এড়ানো গেছে’ তবে নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা যে ‘অনেকটা হ্রাস পেয়েছে’। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে প্রতি পাঁচ বছর পর পর যদি সংকট সৃষ্টি হয়, তাহলে দেশের উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হবে।’ তাই নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কারের আহ্বান জানান তিনি।

সেজন্য রাজনৈতিক নেতাদের একটি গ্রহণযোগ্য ‘পদ্ধতি’ খোঁজার তাগিদ দিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন পদ্ধতিতে সংস্কার আনা সম্ভব হলে আগামীতে নির্বাচন আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।’

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিইসি। ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অনুষ্ঠানে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

বড় দল বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের মধ্যে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ভোটে জয়লাভ করে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ইসির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার ভোট পড়ে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।

ভোট আয়োজন সফলভাবে সমাপ্ত হওয়ায় অনুষ্ঠানে কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্মীরা একে অন্যকে ধন্যবাদ জানান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোটরদেরকেও ধন্যবাদ জানায় কমিশন। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইসি সচিবালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সরকারের সহায়তা ছাড়া এত বড় কর্মযজ্ঞ সফল করা সম্ভব হয় না। আমাদের অপবাদ, বদনাম দুটোই নিতে হবে।’

এবারের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও খুব যে অংশগ্রহণমূলক হয়েছে, তা মনে করেন না সিইসি। তিনি বলেন, ‘একটি বড় দল শুধু বর্জন করেনি, প্রতিহত করতে চেয়েছিল। নির্বাচন উঠিয়ে আনায় জাতি স্বস্তিবোধ করছে, আমরা স্বস্তিবোধ করছি।’

এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ‘জাতি উদ্বেগ ও সংকট থেকে ওঠে এসেছে’ বলেও মন্তব্য করেন সিইসি।

ভোট বর্জন করা দলগুলোর নানা অভিযোগের দিকে ইঙ্গিত করে সিইসি বলেন, ‘সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অজুহাতে সরকারের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেনি ইসি। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অবশ্যই ছিল, তবে নির্বাচন থামিয়ে রাখাও সম্ভব ছিল না।’

নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘ঈমানের সঙ্গে কাজ করে সফল হয়েছি। যে স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছেছি, সেই স্ট্যান্ডার্ড থেকে নামতে পারবে না। আমরা দেখিয়ে দেব কীভাবে এই কমিশন কাজ করে, যা ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা ভালো একটা নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। না করতে পারলে হয়ত আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতাম। আমাদের সরকার সহায়তা দিয়েছে। না হলে একসুরে একভাবে কাজ করা সম্ভব হতো না। আশা করি, মানসম্মানের সঙ্গে চলে যেতে পারব।’

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘দলগুলো যারা অংশগ্রহণ করেছে এবং সরকার, সকলেই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে। আনসার থেকে শুরু করে সকলেই সহায়তা করেছে। সরকার একটি বিরাট শক্তি, তাদের সহযোগিতা যদি না পেতাম, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে পারতাম না। সব দল অংশগ্রহণ করলে আরও গ্রহণযোগ্য হতো।’

back to top