পরিবেশ রক্ষায় সারা দেশে গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে কেন একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চ এ রুল জারি করে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
গত ৫ মে পরিবেশ রক্ষায় ঢাকাসহ সারা দেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হয়। জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এ রিট দায়ের করে। এইচআরপিবির পক্ষে রিট পিটিশনারকারীরা হলেন: অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং রিপন বাড়ৈ।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
শুনানি শেষে রুল জারি করে বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে কয়েকটি বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
১. সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে (ব্যক্তি মালিকানাধীন গাছ ব্যতীত) ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না।
২. ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না।
৩. সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না।
৪. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকের সমন্বয়ে একটি সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না।
৫. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না।
৬. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং এলজিইডি এর নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না।
৭. কমিটি হওয়ার আগ পর্যন্ত বিবাদীদের নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে যত্রতত্র গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন মিডিয়ায় যেভাবে রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে গাছ কাটার এক মহোৎসব চলছে।
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
পরিবেশ রক্ষায় সারা দেশে গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে কেন একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চ এ রুল জারি করে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
গত ৫ মে পরিবেশ রক্ষায় ঢাকাসহ সারা দেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হয়। জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এ রিট দায়ের করে। এইচআরপিবির পক্ষে রিট পিটিশনারকারীরা হলেন: অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং রিপন বাড়ৈ।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
শুনানি শেষে রুল জারি করে বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে কয়েকটি বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
১. সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে (ব্যক্তি মালিকানাধীন গাছ ব্যতীত) ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না।
২. ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না।
৩. সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না।
৪. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকের সমন্বয়ে একটি সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না।
৫. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না।
৬. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং এলজিইডি এর নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না।
৭. কমিটি হওয়ার আগ পর্যন্ত বিবাদীদের নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে যত্রতত্র গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন মিডিয়ায় যেভাবে রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে গাছ কাটার এক মহোৎসব চলছে।