আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের চল্লিশতম দিন উদযাপনের উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলে ব্যতিক্রমধর্মী ভোজন অনুষ্ঠান চল্লিশার আয়োজন করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে বিশেষ এই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
চল্লিশা - মূলত শোক পালনের আচার-অনুষ্ঠান হিসেবে পালন করা হলেও এবার ভিন্ন আঙ্গিকে চল্লিশা উদযাপন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত ০৫ আগস্ট ছাত্র জনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। সরকার উৎখাতের চল্লিশতম দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এই ভিন্নধর্মী নৈশভোজের আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা। মূলত, মৃত-ব্যক্তির সাথে সরকার পতনের তুলনা করে অলংকারিক রূপ প্রদান অর্থেই চল্লিশা নামকরণ করা হয়েছে।
চল্লিশা অনুষ্ঠানকে আরো জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলতে গরু রেজালা, খাসি রেজালা, চাইনিজ সবজি, মুগডাল, পোলাও, সালাদ, মিষ্টিসহ বাহারি পদের খাবারের আয়োজন করা হয়।
ভিন্নধর্মী এই আয়োজন সম্পর্কে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী তালহা চৌধুরী বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী সরকার এদেশের মানুষকে নানাভাবে শোষণ নিপীড়ন করেছে। এদেশের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন সম্ভব হয়েছে। গণমানুষের বিজয় উল্লাসকে কেন্দ্র করেই আজকে আমাদের চল্লিশার আয়োজন। সাধারণত মুসলিম সমাজের মৃত ব্যক্তির মারা যাবার চল্লিশতম দিনে যে সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, তাকে চল্লিশা বলে। আজকের এই বিজয় উল্লাসের আয়োজন এর মাধ্যমে আমরা আবারও বলতে চাই, দেশের যেকোনো প্রয়োজনে ছাত্র জনতা নিজের জীবন উৎসর্গ করে হলেও দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে কখনো পিছপা হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী আশফাক হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ ই আগস্টের চেতনা পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যেই আজকে আমাদের এই আয়োজন। দেশের সেই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তার আগের রূপে ফিরে এসেছে, এই অনুষ্ঠান তারই বহিঃপ্রকাশ।
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের চল্লিশতম দিন উদযাপনের উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলে ব্যতিক্রমধর্মী ভোজন অনুষ্ঠান চল্লিশার আয়োজন করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে বিশেষ এই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
চল্লিশা - মূলত শোক পালনের আচার-অনুষ্ঠান হিসেবে পালন করা হলেও এবার ভিন্ন আঙ্গিকে চল্লিশা উদযাপন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত ০৫ আগস্ট ছাত্র জনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। সরকার উৎখাতের চল্লিশতম দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এই ভিন্নধর্মী নৈশভোজের আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা। মূলত, মৃত-ব্যক্তির সাথে সরকার পতনের তুলনা করে অলংকারিক রূপ প্রদান অর্থেই চল্লিশা নামকরণ করা হয়েছে।
চল্লিশা অনুষ্ঠানকে আরো জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলতে গরু রেজালা, খাসি রেজালা, চাইনিজ সবজি, মুগডাল, পোলাও, সালাদ, মিষ্টিসহ বাহারি পদের খাবারের আয়োজন করা হয়।
ভিন্নধর্মী এই আয়োজন সম্পর্কে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী তালহা চৌধুরী বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী সরকার এদেশের মানুষকে নানাভাবে শোষণ নিপীড়ন করেছে। এদেশের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন সম্ভব হয়েছে। গণমানুষের বিজয় উল্লাসকে কেন্দ্র করেই আজকে আমাদের চল্লিশার আয়োজন। সাধারণত মুসলিম সমাজের মৃত ব্যক্তির মারা যাবার চল্লিশতম দিনে যে সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, তাকে চল্লিশা বলে। আজকের এই বিজয় উল্লাসের আয়োজন এর মাধ্যমে আমরা আবারও বলতে চাই, দেশের যেকোনো প্রয়োজনে ছাত্র জনতা নিজের জীবন উৎসর্গ করে হলেও দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে কখনো পিছপা হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী আশফাক হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ ই আগস্টের চেতনা পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যেই আজকে আমাদের এই আয়োজন। দেশের সেই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তার আগের রূপে ফিরে এসেছে, এই অনুষ্ঠান তারই বহিঃপ্রকাশ।