৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কোন কোন দেশের এবং কোন কোন সংস্থার প্রতিনিধির বৈঠক হবে, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত এক কার্টেন রেইজার অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কফ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক, বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, ইউএসএআইডির প্রশাসকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া আরও কিছু পাইপলাইনে আছে এবং এটি আমরা পরে জানাতে পারবো।
কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকারের ক্ষমতাগ্রহণের প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা হবে। আমাদের যেসব প্রতিশ্রুতি আছে, সেগুলো নিয়ে কথা হবে। এখানে যেসব সংস্কার হবে— সেটি তাদের অবহিত করবেন। আমরা এরইমধ্যে মানবাধিকার নিয়ে যে অগ্রগ্রতি অর্জন করেছি, সেটিও জানাবেন। আমরা ইতোমধ্যে একটি মানবাধিকার কনভেনশনে পক্ষভুক্ত হয়েছি। এছাড়া মানবাধিকার বিষয় নিয়ে কথা হবে। আমরা দেশে যে খোলামেলা পরিবেশ সৃষ্টি করতে যাচ্ছি বা করেছি, তাতে করে যে কেউ মানবাধিকার ইস্যু তুলতে পারেন এবং এ ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে সমাধানে তৎপর থাকবে, সে ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন এবং দিয়ে থাকবেন।’
দ্বিপক্ষীয় যেসব বৈঠক আছে সেখানে, সেসব বিষয়ে কথা হবে। তবে কোনোটাই বেশি গভীরে যাবেন না। কারণ, এ সব বৈঠক ১৫ থেকে ২০ মিনিটের হয়ে থাকে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেখা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ওনাদের দুজনের নিউইয়র্কে উপস্থিতি একসঙ্গে হচ্ছে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিউইয়র্ক থেকে আগে চলে আসছেন আর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস একটু পরে যাচ্ছেন। কাজেই তাদের সেখানে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে হচ্ছে।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দ্বিপক্ষীয় আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আমার দেখা হওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে যে একধরনের টানাপোড়েন চলছে, এটা স্বীকার করতে হবে। সমস্যার সমাধান করতে হলে সমস্যার অস্তিত্ব অস্বীকার করলে চলবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অবশ্যই টানাপোড়েন দূর করার চেষ্টা করব এবং ওয়ার্কিং রিলেশন (কাজের সম্পর্ক) যেন হয়। তবে সম্পর্কটা হতে হবে মর্যাদা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে। এর ভিত্তিতে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া সম্ভব এবং আমরা সেই চেষ্টাই করব।’
প্রতিনিধি দলে কতজন যাবেন এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে বড় প্রতিনিধি দল কেন যেতো, সেটি আমি বলতে পারবো না। আমি জানি না। কিন্তু বর্তমান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে— ব্যয় সংকোচন করতে হবে, অপ্রয়োজনীয় খরচ করা যাবে না। এবার নিরাপত্তা, গণমাধ্যমসহ সব মিলিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে থাকছেন ৫৭ জন’
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কোন কোন দেশের এবং কোন কোন সংস্থার প্রতিনিধির বৈঠক হবে, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত এক কার্টেন রেইজার অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কফ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক, বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, ইউএসএআইডির প্রশাসকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া আরও কিছু পাইপলাইনে আছে এবং এটি আমরা পরে জানাতে পারবো।
কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকারের ক্ষমতাগ্রহণের প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা হবে। আমাদের যেসব প্রতিশ্রুতি আছে, সেগুলো নিয়ে কথা হবে। এখানে যেসব সংস্কার হবে— সেটি তাদের অবহিত করবেন। আমরা এরইমধ্যে মানবাধিকার নিয়ে যে অগ্রগ্রতি অর্জন করেছি, সেটিও জানাবেন। আমরা ইতোমধ্যে একটি মানবাধিকার কনভেনশনে পক্ষভুক্ত হয়েছি। এছাড়া মানবাধিকার বিষয় নিয়ে কথা হবে। আমরা দেশে যে খোলামেলা পরিবেশ সৃষ্টি করতে যাচ্ছি বা করেছি, তাতে করে যে কেউ মানবাধিকার ইস্যু তুলতে পারেন এবং এ ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে সমাধানে তৎপর থাকবে, সে ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন এবং দিয়ে থাকবেন।’
দ্বিপক্ষীয় যেসব বৈঠক আছে সেখানে, সেসব বিষয়ে কথা হবে। তবে কোনোটাই বেশি গভীরে যাবেন না। কারণ, এ সব বৈঠক ১৫ থেকে ২০ মিনিটের হয়ে থাকে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেখা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ওনাদের দুজনের নিউইয়র্কে উপস্থিতি একসঙ্গে হচ্ছে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিউইয়র্ক থেকে আগে চলে আসছেন আর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস একটু পরে যাচ্ছেন। কাজেই তাদের সেখানে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে হচ্ছে।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দ্বিপক্ষীয় আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আমার দেখা হওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে যে একধরনের টানাপোড়েন চলছে, এটা স্বীকার করতে হবে। সমস্যার সমাধান করতে হলে সমস্যার অস্তিত্ব অস্বীকার করলে চলবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অবশ্যই টানাপোড়েন দূর করার চেষ্টা করব এবং ওয়ার্কিং রিলেশন (কাজের সম্পর্ক) যেন হয়। তবে সম্পর্কটা হতে হবে মর্যাদা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে। এর ভিত্তিতে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া সম্ভব এবং আমরা সেই চেষ্টাই করব।’
প্রতিনিধি দলে কতজন যাবেন এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে বড় প্রতিনিধি দল কেন যেতো, সেটি আমি বলতে পারবো না। আমি জানি না। কিন্তু বর্তমান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে— ব্যয় সংকোচন করতে হবে, অপ্রয়োজনীয় খরচ করা যাবে না। এবার নিরাপত্তা, গণমাধ্যমসহ সব মিলিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে থাকছেন ৫৭ জন’