বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), জেল আপিল ও নিয়মিত আপিলের ওপর আগামীকাল রোববার রায় ঘোষণা হতে পারে।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের রোববারের কার্যতালিকায় এই মামলার রায় ঘোষণার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও এটি তালিকাভুক্ত রয়েছে।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে। পরদিন তার বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এরপর বিচারিক আদালতের রায় অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন।
২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি পৃথক জেল আপিল গ্রহণযোগ্যতার শুনানির জন্য ওঠে এবং তা গ্রহণ করা হয়। পরে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর একসঙ্গে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ মামলার পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু করে। পরে ২০২৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় শুনানি শুরু হয়, যা ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। এরপর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ জনের মধ্যে ৩ জন ছিলেন পলাতক— মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ। এছাড়া গত ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুনতাসির আল জেমি নামে এক আসামি দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যান।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৫ জন হলেন— মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ও ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না।
ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আগামীকাল রোববার এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন। মামলার রায় দেশের আলোচিত বিচারিক সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে অন্যতম হতে যাচ্ছে।
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), জেল আপিল ও নিয়মিত আপিলের ওপর আগামীকাল রোববার রায় ঘোষণা হতে পারে।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের রোববারের কার্যতালিকায় এই মামলার রায় ঘোষণার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও এটি তালিকাভুক্ত রয়েছে।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে। পরদিন তার বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এরপর বিচারিক আদালতের রায় অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন।
২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি পৃথক জেল আপিল গ্রহণযোগ্যতার শুনানির জন্য ওঠে এবং তা গ্রহণ করা হয়। পরে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর একসঙ্গে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ মামলার পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু করে। পরে ২০২৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় শুনানি শুরু হয়, যা ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। এরপর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ জনের মধ্যে ৩ জন ছিলেন পলাতক— মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ। এছাড়া গত ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুনতাসির আল জেমি নামে এক আসামি দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যান।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৫ জন হলেন— মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ও ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না।
ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আগামীকাল রোববার এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন। মামলার রায় দেশের আলোচিত বিচারিক সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে অন্যতম হতে যাচ্ছে।