নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশের বিষয়ে ভিন্ন মত জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভিন্ন মত বা আপত্তি দেয়া বিষয়গুলোর মধ্যে নির্বাচন কমিশনারদের শাস্তি, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোট শেষে ‘সার্টিফিকেশন’ সংক্রান্ত সুপারিশ রয়েছে। ইসি মনে করে, এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে ইসির স্বাধীনতা ‘খর্ব হবে’।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজকে সোমবার এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এই মর্মে পদক্ষেপ সুপারিশ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কমিশন কাজ শুরু করে।
এরমধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা, সংবিধান, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কারের জন্য গঠিত ছয় কমিশন তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন গত ৮ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেয়।
ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ৭-৮টির মতো সুপারিশের বিষয়ে ভিন্ন মত জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।’
সীমানা নির্ধারণ
আখতার আহমেদ বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি স্বতন্ত্র কমিশন করার কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, এর প্রয়োজন নেই। সংস্কার কমিশনের সুপারিশে আসন সীমানা পুনঃনির্ধারণের যে ফর্মুলার কথা বলা হয়েছে, সেটি হলে শহরাঞ্চলে আসন বেড়ে যাবে। ইসি মনে করে, ভোটার সংখ্যা এবং আঞ্চলিক অখ-তা বিবেচনা করে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা উচিত।’
ভোটের পর সার্টিফিকেশন
ইসি সচিব বলেন, “ভোটের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ‘সার্টিফাই’ করার বিষয়ে একটি সুপারিশ করা হয়েছে, যেখানে বলা হবে ‘সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়েছে’। নির্বাচন কমিশন মনে করে, এর প্রয়োজন নেই। কারণ ফলাফলের যে গেজেট প্রকাশিত হয়, সেটাই ‘সার্টিফিকেশন’। নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা ও নির্বাচন কমিশনারদের শাস্তির বিষয়ে সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে, তাতেও ভিন্ন মত রয়েছে।” আখতার আহমেদ বলেন, রিটার্নিং অফিসার সন্তুষ্ট হয়েই ফলাফল ঘোষণা করেন।
কমিশনারদের শাস্তি
ভোটের পর তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে কমিশনারদের শাস্তির সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের আপত্তি তুলে ধরে সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘এজন্য একটি ব্যবস্থা এখনই রয়েছে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আছে। যদি নির্বাচন শেষ হওয়ার পাঁচ বছর দশ বছর পর নির্বাচন কমিশনারদের আদালতে দৌড়াতে হয়, সেটি কি যৌক্তিক হবে? নির্বাচনে জয়ী হবেন একজন, বাকিরা সংক্ষুব্ধ হয়ে যে কোনো অভিযোগই করতে পারেন।’
এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকা উচিত বলেও কমিশন মত দিয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশের বিষয়ে ভিন্ন মত জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভিন্ন মত বা আপত্তি দেয়া বিষয়গুলোর মধ্যে নির্বাচন কমিশনারদের শাস্তি, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোট শেষে ‘সার্টিফিকেশন’ সংক্রান্ত সুপারিশ রয়েছে। ইসি মনে করে, এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে ইসির স্বাধীনতা ‘খর্ব হবে’।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজকে সোমবার এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এই মর্মে পদক্ষেপ সুপারিশ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কমিশন কাজ শুরু করে।
এরমধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা, সংবিধান, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কারের জন্য গঠিত ছয় কমিশন তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন গত ৮ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেয়।
ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ৭-৮টির মতো সুপারিশের বিষয়ে ভিন্ন মত জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।’
সীমানা নির্ধারণ
আখতার আহমেদ বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি স্বতন্ত্র কমিশন করার কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, এর প্রয়োজন নেই। সংস্কার কমিশনের সুপারিশে আসন সীমানা পুনঃনির্ধারণের যে ফর্মুলার কথা বলা হয়েছে, সেটি হলে শহরাঞ্চলে আসন বেড়ে যাবে। ইসি মনে করে, ভোটার সংখ্যা এবং আঞ্চলিক অখ-তা বিবেচনা করে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা উচিত।’
ভোটের পর সার্টিফিকেশন
ইসি সচিব বলেন, “ভোটের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ‘সার্টিফাই’ করার বিষয়ে একটি সুপারিশ করা হয়েছে, যেখানে বলা হবে ‘সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়েছে’। নির্বাচন কমিশন মনে করে, এর প্রয়োজন নেই। কারণ ফলাফলের যে গেজেট প্রকাশিত হয়, সেটাই ‘সার্টিফিকেশন’। নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা ও নির্বাচন কমিশনারদের শাস্তির বিষয়ে সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে, তাতেও ভিন্ন মত রয়েছে।” আখতার আহমেদ বলেন, রিটার্নিং অফিসার সন্তুষ্ট হয়েই ফলাফল ঘোষণা করেন।
কমিশনারদের শাস্তি
ভোটের পর তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে কমিশনারদের শাস্তির সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের আপত্তি তুলে ধরে সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘এজন্য একটি ব্যবস্থা এখনই রয়েছে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আছে। যদি নির্বাচন শেষ হওয়ার পাঁচ বছর দশ বছর পর নির্বাচন কমিশনারদের আদালতে দৌড়াতে হয়, সেটি কি যৌক্তিক হবে? নির্বাচনে জয়ী হবেন একজন, বাকিরা সংক্ষুব্ধ হয়ে যে কোনো অভিযোগই করতে পারেন।’
এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকা উচিত বলেও কমিশন মত দিয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।