সোমবার আগুন জ্বালিয়ে শ্রীপুর-মাওনা সড়কের কেওয়া পূর্বখণ্ডে (নতুন বাজার) অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা -সংবাদ
গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই মাসের বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস এবং কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে দুই ঘন্টা শ্রীপুর-মাওনা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সোলার সিরামিক কারখানার শ্রমিকেরা।
এ সময় সড়কের উভয় পাশে যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়ে। সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সড়কে বন্ধ রেখে তাতে আগুন জ্বালিয়ে সড়কের কেওয়া পূর্বখন্ড (নতুন বাজার) অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ করে।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানায়, চলতি মাসের ১ তারিখে কারখানা কর্তৃপক্ষ লে-অফ ঘোষণার নোটিশ টানিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেয়। ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন রোববার (১৬ মার্চ) পরিশোধের কথা ছিল। সকালে শ্রমিকেরা বকেয়া বতেন নিতে এসে কারখানা গেইটে পূর্বের টানিয়ে দেয়া নোটিশ দেখতে পায়নি। নতুন টানানো নোটিশে কারখানা কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করে বকেয়া বেতন আগামী এপ্রিল মাসের ৫ তারিখ পরিশোধ করা হবে। তারা আরও জানান, আমরা একেকজন শ্রমিক ৫ বছর, কেউ কেউ ৭ বছর এবং কেউ কেউ ১০ বছরেরও বেশি সময় এ কারখানায় চাকরি করছি। আমাদের অনেক শ্রমিক সার্ভিস বেনিফিটের টাকা পাওনা রয়েছে। ওইসব বকেয়া পরিশোধ না করে কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে কারখানায় বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয়। পরবর্তীতে বারবার বকেয়া পরিশোধের তারিখ দিয়েও পরিশোধ করছে না। তারা বলেন, বেতন ও ঈদ বোনাস না দিলে আমরা ছেলেমেয়ে নিয়ে ঈদ করতে পারব না। অনেক শ্রমিক ভাইয়েরা তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুল মাদ্রাসার বেতন না দিতে পেরে তারা প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
কারখানা শ্রমিক তাইজুদ্দিন, মোহসীন, কামাল এবং শাহিদাসহ আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানায়, পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী সকালে কারখানায় এসে দেখি বেতন পরিশোধের নতুন তারিখ দিয়ে আবার আরেকটি নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারখানা মালিকের এসব টালাবাহানার কারণে আমাদের বকেয়া পাওনাদি পরিশোধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছি। আমাদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে কারখানা খোলার দাবি জানান তারা।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে তিনি (ওসি) মালিকের সঙ্গে কথা বলে তাদের বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা সড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল শুরু হয়ে।
সোমবার আগুন জ্বালিয়ে শ্রীপুর-মাওনা সড়কের কেওয়া পূর্বখণ্ডে (নতুন বাজার) অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা -সংবাদ
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই মাসের বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস এবং কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে দুই ঘন্টা শ্রীপুর-মাওনা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সোলার সিরামিক কারখানার শ্রমিকেরা।
এ সময় সড়কের উভয় পাশে যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়ে। সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সড়কে বন্ধ রেখে তাতে আগুন জ্বালিয়ে সড়কের কেওয়া পূর্বখন্ড (নতুন বাজার) অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ করে।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানায়, চলতি মাসের ১ তারিখে কারখানা কর্তৃপক্ষ লে-অফ ঘোষণার নোটিশ টানিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেয়। ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন রোববার (১৬ মার্চ) পরিশোধের কথা ছিল। সকালে শ্রমিকেরা বকেয়া বতেন নিতে এসে কারখানা গেইটে পূর্বের টানিয়ে দেয়া নোটিশ দেখতে পায়নি। নতুন টানানো নোটিশে কারখানা কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করে বকেয়া বেতন আগামী এপ্রিল মাসের ৫ তারিখ পরিশোধ করা হবে। তারা আরও জানান, আমরা একেকজন শ্রমিক ৫ বছর, কেউ কেউ ৭ বছর এবং কেউ কেউ ১০ বছরেরও বেশি সময় এ কারখানায় চাকরি করছি। আমাদের অনেক শ্রমিক সার্ভিস বেনিফিটের টাকা পাওনা রয়েছে। ওইসব বকেয়া পরিশোধ না করে কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে কারখানায় বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয়। পরবর্তীতে বারবার বকেয়া পরিশোধের তারিখ দিয়েও পরিশোধ করছে না। তারা বলেন, বেতন ও ঈদ বোনাস না দিলে আমরা ছেলেমেয়ে নিয়ে ঈদ করতে পারব না। অনেক শ্রমিক ভাইয়েরা তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুল মাদ্রাসার বেতন না দিতে পেরে তারা প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
কারখানা শ্রমিক তাইজুদ্দিন, মোহসীন, কামাল এবং শাহিদাসহ আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানায়, পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী সকালে কারখানায় এসে দেখি বেতন পরিশোধের নতুন তারিখ দিয়ে আবার আরেকটি নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারখানা মালিকের এসব টালাবাহানার কারণে আমাদের বকেয়া পাওনাদি পরিশোধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছি। আমাদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে কারখানা খোলার দাবি জানান তারা।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে তিনি (ওসি) মালিকের সঙ্গে কথা বলে তাদের বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা সড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল শুরু হয়ে।