সংস্কার প্রক্রিয়া, নির্বাচনের রোডম্যাপ, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি নেতারা দেখা করবেন। সাক্ষাতের পর দলটি নির্বাচনী রোডম্যাপ ইস্যুতে দলীয় পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে। সেক্ষেত্রে বিএনপিকে দু-একটি কর্মসূচি নিয়ে মাঠে দেখা যেতে পারে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে।
সাক্ষাতের জন্য দলের পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হলে প্রধান উপদেষ্টা আগামী ১৬ এপ্রিল তাদের সময় দিয়েছেন বলে জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। সাক্ষাৎকালে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। যদিও বর্তমানে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন মির্জা ফখরুল। ১৬ এপ্রিলের মধ্যে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে বেশ কয়েকটি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ ও সংস্কারের ইস্যু ছিল অন্যতম। এছাড়া চলমান রাজনৈতিক নানা পরিস্থিতিসহ ফিলিস্তিন বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। ঈদুল ফিতরের পর এই বৈঠক ছিল দলটির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারকদের প্রথম বৈঠক।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ফিলিপাইনের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতা ও গণহত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিএনপি। দ্রুত এই নৃশংসতা বন্ধের দাবি জানিয়ে হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে দলীয়ভাবে খুব শিগগিরই ঢাকায় বড় ধরনের বিক্ষোভ করবে তারা।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি সরকারের কাছে সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চাইবে। এছাড়া দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়েও আলাপ করবে।’
সম্প্রতি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, এ বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
এই সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো ‘নির্বাচনের জন্য তৈরি হতে শুরু করবে’ বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু তার এ বক্তব্যে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি হতাশা প্রকাশ করে।
গত ডিসেম্বর থেকেই বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’ ও ‘অস্পষ্টতার’ অভিযোগ তুলে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে দলটি। এবার এ দাবিতে তারা আরও সক্রিয় হচ্ছে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকার পক্ষের নানা বক্তব্যে এক ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি। এই অবস্থা নিরসনের তাগিদ থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে সেটি পরিষ্কার করার জন্য আমরা ওনাকে (প্রধান উপদেষ্টা) আহ্বান জানাব।’
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫
সংস্কার প্রক্রিয়া, নির্বাচনের রোডম্যাপ, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি নেতারা দেখা করবেন। সাক্ষাতের পর দলটি নির্বাচনী রোডম্যাপ ইস্যুতে দলীয় পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে। সেক্ষেত্রে বিএনপিকে দু-একটি কর্মসূচি নিয়ে মাঠে দেখা যেতে পারে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে।
সাক্ষাতের জন্য দলের পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হলে প্রধান উপদেষ্টা আগামী ১৬ এপ্রিল তাদের সময় দিয়েছেন বলে জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। সাক্ষাৎকালে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। যদিও বর্তমানে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন মির্জা ফখরুল। ১৬ এপ্রিলের মধ্যে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে বেশ কয়েকটি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ ও সংস্কারের ইস্যু ছিল অন্যতম। এছাড়া চলমান রাজনৈতিক নানা পরিস্থিতিসহ ফিলিস্তিন বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। ঈদুল ফিতরের পর এই বৈঠক ছিল দলটির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারকদের প্রথম বৈঠক।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ফিলিপাইনের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতা ও গণহত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিএনপি। দ্রুত এই নৃশংসতা বন্ধের দাবি জানিয়ে হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে দলীয়ভাবে খুব শিগগিরই ঢাকায় বড় ধরনের বিক্ষোভ করবে তারা।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি সরকারের কাছে সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চাইবে। এছাড়া দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়েও আলাপ করবে।’
সম্প্রতি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, এ বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
এই সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো ‘নির্বাচনের জন্য তৈরি হতে শুরু করবে’ বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু তার এ বক্তব্যে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি হতাশা প্রকাশ করে।
গত ডিসেম্বর থেকেই বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’ ও ‘অস্পষ্টতার’ অভিযোগ তুলে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে দলটি। এবার এ দাবিতে তারা আরও সক্রিয় হচ্ছে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকার পক্ষের নানা বক্তব্যে এক ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি। এই অবস্থা নিরসনের তাগিদ থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে সেটি পরিষ্কার করার জন্য আমরা ওনাকে (প্রধান উপদেষ্টা) আহ্বান জানাব।’