মুদ্রার মূল্যমান, শেয়ারবাজারের পতন, মন্দার সম্ভাবনা কোনো কিছুই দমাতে পারছে না ডনাল্ড ট্রাম্পকে।
চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক আরও চড়িয়েছেন। প্রথমে তো বসিয়েছিলেন ৩৪ শতাংশ। তার বিপরীতে চীনও সমান শুল্ক বসায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর।
তার প্রতিক্রিয়ায় শুল্কহার ১০৪ শতাংশে তুলেছেন ট্রাম্প। চীনও পাল্টায় বাড়িয়ে করেছে ৮৪ শতাংশ।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও পাল্টা পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে ট্রাম্প আরোপিত ২৫ শতাংশ বাণিজ্য শুল্কের জবাবে।
কিন্তু ট্রাম্প থোরাই কেয়ার করছেন। কারণ অনেক দেশই এখন তার কাছে ধর্না দিয়েছে শুল্ক কমাতে। এমনকি তার মন গলাতে অনেক দেশ তো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহারই করে নিয়েছেন।
এর মধ্যেই ট্রাম্প ওষুধের ওপরও শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তবে কখন, কোন দেশের ওপর তা স্পষ্ট করেননি।
দফায় দফায় শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে চীন ট্রাম্পের ‘ভুলের ওপর ভুল’ বলে অভিহিত করেছে।
এদিকে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বিরোধিতায় নামা রিপাবলিকানদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার তাগিদ দিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প ২ এপ্রিল বিশ্বের প্রায় দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। সেই শুল্কের একাংশ সেদিন থেকেই কার্যকর হয়ে যায়। বাকি অংশ ৯ এপ্রিল কার্যকর হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে চীন জানিয়েছে, এই দ্বন্দ্ব সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে ইচ্ছুক। যদিও তারা একই সঙ্গে বলেছে, এই বাণিজ্য ঘাটতি অনিবার্য ও কাঠামোগত বিষয়। ট্রাম্প চীনকে এ রকম আঘাত করতে থাকলেও বা পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করতে চাইলে তারাও প্রস্তুত।
বুধবার চীন বাণিজ্যবিষয়ক শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা বলেছে, চীন সব সময়ই চেষ্টা করেছে মার্কিন-চীন বাণিজ্য যেন সব সময় উভয়ের জন্য লাভজনক হয়। শ্বেতপত্রে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পাল্টা শুল্কে বৈশ্বিক বাণিজ্যব্যবস্থা, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হবে।
ইউরোপ প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পথে হাঁটছে। তারা বিভিন্ন ধরনের মার্কিন পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে, যেমন মোটরসাইকেল, মুরগি, ফলমূল, কাঠ, পোশাক ও ডেন্টাল ফ্লস।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের যে প্রভাব ইউরোপ অঞ্চলে পড়বে বলে আগে হিসাব করা হয়েছিল, এখন তারা মনে করছে, প্রভাব তার চেয়ে বেশি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশ শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার এশিয়ার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতে হতেই বড় ধরনের পতন হয়। এরপর ইউরোপের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার পরপরই সূচকের পতন হয়। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক আঞ্চলিক সূচক প্যান-ইউরোপীয় স্টকস ৬০০ কমেছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। আঞ্চলিক এই সূচকের অন্তর্ভুক্ত সব খাতের শেয়ারের দামেই নেতিবাচক প্রবণতা চলছে।
আঞ্চলিক স্বাস্থ্যসেবা, খনি ও তেল ও গ্যাস খাতের সূচকগুলো ব্যাপক হারে পড়ে গেছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা, খনি, তেল ও গ্যাস খাতের শেয়ারের দাম যথাক্রমে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, ৩ দশমিক ৩ শতাংশ ও ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
সেই সঙ্গে দাম কমেছে জ্বালানি তেলের। চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
পর্যায়ে নেমে এসেছে। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম নেমে এসেছে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পর যা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। দর কমেছে ডলারের। সব মিলিয়ে মন্দার আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ভারতের এনডিটিভির সংবাদে বলা হয়েছে, ওষুধের ওপর ট্রাম্পের শুল্কে ভারতের ওষুধশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ভারতের ওষুধ রপ্তানির মূল বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত যত ওষুধ রপ্তানি করেছে, তার ৩১ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে; অর্থের পরিমাণের দিক থেকে যা ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৮৭০ কোটি ডলার।
গত মঙ্গলবার ন্যাশনাল রিপাবলিকান কংগ্রেশনাল কমিটির সভায় ট্রাম্প বলেন, এমনভাবে ওষুধশিল্পে শুল্ক আরোপ করা হবে যে, কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবে।
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫
মুদ্রার মূল্যমান, শেয়ারবাজারের পতন, মন্দার সম্ভাবনা কোনো কিছুই দমাতে পারছে না ডনাল্ড ট্রাম্পকে।
চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক আরও চড়িয়েছেন। প্রথমে তো বসিয়েছিলেন ৩৪ শতাংশ। তার বিপরীতে চীনও সমান শুল্ক বসায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর।
তার প্রতিক্রিয়ায় শুল্কহার ১০৪ শতাংশে তুলেছেন ট্রাম্প। চীনও পাল্টায় বাড়িয়ে করেছে ৮৪ শতাংশ।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও পাল্টা পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে ট্রাম্প আরোপিত ২৫ শতাংশ বাণিজ্য শুল্কের জবাবে।
কিন্তু ট্রাম্প থোরাই কেয়ার করছেন। কারণ অনেক দেশই এখন তার কাছে ধর্না দিয়েছে শুল্ক কমাতে। এমনকি তার মন গলাতে অনেক দেশ তো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহারই করে নিয়েছেন।
এর মধ্যেই ট্রাম্প ওষুধের ওপরও শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তবে কখন, কোন দেশের ওপর তা স্পষ্ট করেননি।
দফায় দফায় শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে চীন ট্রাম্পের ‘ভুলের ওপর ভুল’ বলে অভিহিত করেছে।
এদিকে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বিরোধিতায় নামা রিপাবলিকানদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার তাগিদ দিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প ২ এপ্রিল বিশ্বের প্রায় দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। সেই শুল্কের একাংশ সেদিন থেকেই কার্যকর হয়ে যায়। বাকি অংশ ৯ এপ্রিল কার্যকর হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে চীন জানিয়েছে, এই দ্বন্দ্ব সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে ইচ্ছুক। যদিও তারা একই সঙ্গে বলেছে, এই বাণিজ্য ঘাটতি অনিবার্য ও কাঠামোগত বিষয়। ট্রাম্প চীনকে এ রকম আঘাত করতে থাকলেও বা পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করতে চাইলে তারাও প্রস্তুত।
বুধবার চীন বাণিজ্যবিষয়ক শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা বলেছে, চীন সব সময়ই চেষ্টা করেছে মার্কিন-চীন বাণিজ্য যেন সব সময় উভয়ের জন্য লাভজনক হয়। শ্বেতপত্রে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পাল্টা শুল্কে বৈশ্বিক বাণিজ্যব্যবস্থা, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হবে।
ইউরোপ প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পথে হাঁটছে। তারা বিভিন্ন ধরনের মার্কিন পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে, যেমন মোটরসাইকেল, মুরগি, ফলমূল, কাঠ, পোশাক ও ডেন্টাল ফ্লস।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের যে প্রভাব ইউরোপ অঞ্চলে পড়বে বলে আগে হিসাব করা হয়েছিল, এখন তারা মনে করছে, প্রভাব তার চেয়ে বেশি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশ শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার এশিয়ার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতে হতেই বড় ধরনের পতন হয়। এরপর ইউরোপের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার পরপরই সূচকের পতন হয়। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক আঞ্চলিক সূচক প্যান-ইউরোপীয় স্টকস ৬০০ কমেছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। আঞ্চলিক এই সূচকের অন্তর্ভুক্ত সব খাতের শেয়ারের দামেই নেতিবাচক প্রবণতা চলছে।
আঞ্চলিক স্বাস্থ্যসেবা, খনি ও তেল ও গ্যাস খাতের সূচকগুলো ব্যাপক হারে পড়ে গেছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা, খনি, তেল ও গ্যাস খাতের শেয়ারের দাম যথাক্রমে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, ৩ দশমিক ৩ শতাংশ ও ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
সেই সঙ্গে দাম কমেছে জ্বালানি তেলের। চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
পর্যায়ে নেমে এসেছে। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম নেমে এসেছে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পর যা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। দর কমেছে ডলারের। সব মিলিয়ে মন্দার আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ভারতের এনডিটিভির সংবাদে বলা হয়েছে, ওষুধের ওপর ট্রাম্পের শুল্কে ভারতের ওষুধশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ভারতের ওষুধ রপ্তানির মূল বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত যত ওষুধ রপ্তানি করেছে, তার ৩১ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে; অর্থের পরিমাণের দিক থেকে যা ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৮৭০ কোটি ডলার।
গত মঙ্গলবার ন্যাশনাল রিপাবলিকান কংগ্রেশনাল কমিটির সভায় ট্রাম্প বলেন, এমনভাবে ওষুধশিল্পে শুল্ক আরোপ করা হবে যে, কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবে।