সরকারি চাকরি পেয়ে স্ত্রীকে এখন অস্বীকার করছেন বলে অভিযোগ তুলে স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গৃহবধূ মৌসুমী খাতুন। বুধবার দুপুরে নওগাঁয় স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ওই নারী।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, দীর্ঘ দুই বছর সংসার জীবন তাদের। তার টাকায় সরকারি চাকরি নিশ্চিত করে এখন স্বামী সোহেল রানা চয়ন স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছেন।
ভুক্তভোগী মৌসুমী খাতুনের স্বামী সোহেল রানা বর্তমানে নওগাঁর হাঁপানিয়া-বক্তারপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মৌসুমী তার স্ত্রী ছিল স্বীকার করে অভিযুক্ত সোহেল রানা চয়ন বলেন, ‘আমি তাকে তালাক দিয়েছি। সে আমার নামে আদালতে মামলা করেছে বলে জেনেছি। এখন আদালতের মাধ্যমেই বিষয়গুলো সমাধান করা হবে। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সঠিক নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমী খাতুন বলেন, ২০২২ সালে সোহেল রানা চয়নের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর শুরু হয় নির্যাতন। প্রায় মারপিটসহ মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে আমার স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে
একাধিকবার। এসব নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে তালাকসহ হত্যার হুমকি দেয়া হতো। তারপরও পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করে সব অন্যায় নির্যাতন সহ্য করে সংসার করছিলাম। এক পর্যায়ে তার পরিবারের কুপরামর্শে আবারও নির্যাতন ও মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে বোনের বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নিই। তার কিছুদিন পরে আমার স্বামী সোহেল রানা আবারো যোগাযোগ করে এবং তার ভুল হয়েছে স্বীকার করে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেয়।
মৌসুমী আরও বলেন, সোহেল রানা চাকরি পেলে আলাদাভাবে সংসার শুরু করবে এই আশ্বাসে আমার ফুফুর বাসায় এবং বোনের বাসায় এসে আমার সঙ্গে গোপনে সংসার করে। বিষয়টি তার পরিবারের কাছে গোপন রাখতে বলে। এইভাবে এক বছর সংসার করি আমরা। এরই মাঝে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আমার স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা জোরপূর্বকভাবে আমার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে দেয়। তারপরও সংসার করে আসছিলাম।
একপর্যায়ে ভূমি অফিসে চাকরির জন্য আমার বাবা এবং বোনের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে দিই। এর কিছুদিন পরে আমার স্বামীর ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকরি হয়। চাকরি পাওয়ার পর থেকে তার আসল রূপ শুরু হয়। আমার সঙ্গে আবারও বৈরী আচরণ শুরু করে। এর মাঝে জানতে পারি, আমার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। বিষয়টি জানার পর খোঁজ নিতে বড় বোনকে সঙ্গে নিয়ে আমার স্বামীর বাড়ি গেলে অশ্লীল ভাষায় গালগালসহ দেড় বছর আগে তালাক দিয়েছে বলে জানান। কিন্তু এ পর্যন্ত তার পেছনে আমার গহনা, আসবাবপত্র ও নগদ টাকাসহ মোট ৭ লাখ টাকার মতো দিয়েছি।
স্বামীর সংসারে ফিরে যাবার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে কোনো উপায় না পেয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে দু’টি মামলা করেছি। কিন্তু তার বড় ভাই নয়ন বিভিন্নভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এবং ডিসি অফিসে চাকরি করে এমন পরিচয় দিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে আসছেন। তাই দ্রুত প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে সঠিক বিচারের দাবি জানান।
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫
সরকারি চাকরি পেয়ে স্ত্রীকে এখন অস্বীকার করছেন বলে অভিযোগ তুলে স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গৃহবধূ মৌসুমী খাতুন। বুধবার দুপুরে নওগাঁয় স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ওই নারী।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, দীর্ঘ দুই বছর সংসার জীবন তাদের। তার টাকায় সরকারি চাকরি নিশ্চিত করে এখন স্বামী সোহেল রানা চয়ন স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছেন।
ভুক্তভোগী মৌসুমী খাতুনের স্বামী সোহেল রানা বর্তমানে নওগাঁর হাঁপানিয়া-বক্তারপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মৌসুমী তার স্ত্রী ছিল স্বীকার করে অভিযুক্ত সোহেল রানা চয়ন বলেন, ‘আমি তাকে তালাক দিয়েছি। সে আমার নামে আদালতে মামলা করেছে বলে জেনেছি। এখন আদালতের মাধ্যমেই বিষয়গুলো সমাধান করা হবে। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সঠিক নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমী খাতুন বলেন, ২০২২ সালে সোহেল রানা চয়নের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর শুরু হয় নির্যাতন। প্রায় মারপিটসহ মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে আমার স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে
একাধিকবার। এসব নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে তালাকসহ হত্যার হুমকি দেয়া হতো। তারপরও পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করে সব অন্যায় নির্যাতন সহ্য করে সংসার করছিলাম। এক পর্যায়ে তার পরিবারের কুপরামর্শে আবারও নির্যাতন ও মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে বোনের বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নিই। তার কিছুদিন পরে আমার স্বামী সোহেল রানা আবারো যোগাযোগ করে এবং তার ভুল হয়েছে স্বীকার করে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেয়।
মৌসুমী আরও বলেন, সোহেল রানা চাকরি পেলে আলাদাভাবে সংসার শুরু করবে এই আশ্বাসে আমার ফুফুর বাসায় এবং বোনের বাসায় এসে আমার সঙ্গে গোপনে সংসার করে। বিষয়টি তার পরিবারের কাছে গোপন রাখতে বলে। এইভাবে এক বছর সংসার করি আমরা। এরই মাঝে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আমার স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা জোরপূর্বকভাবে আমার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে দেয়। তারপরও সংসার করে আসছিলাম।
একপর্যায়ে ভূমি অফিসে চাকরির জন্য আমার বাবা এবং বোনের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে দিই। এর কিছুদিন পরে আমার স্বামীর ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকরি হয়। চাকরি পাওয়ার পর থেকে তার আসল রূপ শুরু হয়। আমার সঙ্গে আবারও বৈরী আচরণ শুরু করে। এর মাঝে জানতে পারি, আমার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। বিষয়টি জানার পর খোঁজ নিতে বড় বোনকে সঙ্গে নিয়ে আমার স্বামীর বাড়ি গেলে অশ্লীল ভাষায় গালগালসহ দেড় বছর আগে তালাক দিয়েছে বলে জানান। কিন্তু এ পর্যন্ত তার পেছনে আমার গহনা, আসবাবপত্র ও নগদ টাকাসহ মোট ৭ লাখ টাকার মতো দিয়েছি।
স্বামীর সংসারে ফিরে যাবার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে কোনো উপায় না পেয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে দু’টি মামলা করেছি। কিন্তু তার বড় ভাই নয়ন বিভিন্নভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এবং ডিসি অফিসে চাকরি করে এমন পরিচয় দিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে আসছেন। তাই দ্রুত প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে সঠিক বিচারের দাবি জানান।