জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন ও শরিয়াহ আইন প্রণয়নসহ ৪৫টি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজের হাতে সংস্কার প্রস্তাব তুলে দেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনস্থ কমিশন কার্যালয়ে গিয়ে দলটির সংস্কার প্রস্তাব জমা দেয় দলটির প্রতিনিধিরা। ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধিদলে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলী আকন, যুগ্ম-মহাসচিব আশরাফুল আলম এবং সহকারী মহাসচিব আহমদ আবদুল কাইয়ুম ছিলেন।
সংস্কার প্রস্তাবে বাংলাদেশের বর্তমান নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘পিপল ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’ তথা ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নামের প্রস্তাব দিয়েছে। যদিও সংবিধান সংস্কার কমিশন বাংলাদেশের নাম ‘নাগরিকতন্ত্র ও জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ চালুর প্রস্তাব করেছিল।
ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন বলেন, ‘রাষ্ট্রের নাম হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রস্তাব করেছে ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ। কারণ, এই নামের মধ্যেই জনকল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা আছে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে দলটি ১৩০টি প্রস্তাবে একমত, ২৫টিতে দ্বিমত এবং ১১টিতে আংশিকভাবে একমত হয়েছে। এছাড়া তারা ৪৫টি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে, এরমধ্যে ৪টি মৌলিক প্রস্তাব রয়েছে।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে
৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ৩২টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে।
সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি এবং নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে কমিশন। আগামীকাল বাংলাদেশ জাসদ এবং জাকের পার্টির সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যে সংলাপ চলছে তা মে মাসের প্রথমার্ধে শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ রয়েছে মধ্য জুলাই পর্যন্ত। ইতোমধ্যে আমরা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি। আশা করি, প্রাথমিক আলোচনা মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে।’ দলগুলোর প্রস্তাব পর্যালোচনা করে পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন ও শরিয়াহ আইন প্রণয়নসহ ৪৫টি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজের হাতে সংস্কার প্রস্তাব তুলে দেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনস্থ কমিশন কার্যালয়ে গিয়ে দলটির সংস্কার প্রস্তাব জমা দেয় দলটির প্রতিনিধিরা। ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধিদলে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলী আকন, যুগ্ম-মহাসচিব আশরাফুল আলম এবং সহকারী মহাসচিব আহমদ আবদুল কাইয়ুম ছিলেন।
সংস্কার প্রস্তাবে বাংলাদেশের বর্তমান নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘পিপল ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’ তথা ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নামের প্রস্তাব দিয়েছে। যদিও সংবিধান সংস্কার কমিশন বাংলাদেশের নাম ‘নাগরিকতন্ত্র ও জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ চালুর প্রস্তাব করেছিল।
ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন বলেন, ‘রাষ্ট্রের নাম হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রস্তাব করেছে ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ। কারণ, এই নামের মধ্যেই জনকল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা আছে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে দলটি ১৩০টি প্রস্তাবে একমত, ২৫টিতে দ্বিমত এবং ১১টিতে আংশিকভাবে একমত হয়েছে। এছাড়া তারা ৪৫টি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে, এরমধ্যে ৪টি মৌলিক প্রস্তাব রয়েছে।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে
৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ৩২টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে।
সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি এবং নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে কমিশন। আগামীকাল বাংলাদেশ জাসদ এবং জাকের পার্টির সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যে সংলাপ চলছে তা মে মাসের প্রথমার্ধে শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ রয়েছে মধ্য জুলাই পর্যন্ত। ইতোমধ্যে আমরা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি। আশা করি, প্রাথমিক আলোচনা মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে।’ দলগুলোর প্রস্তাব পর্যালোচনা করে পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।