আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে সরকার থেকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশ পাওয়ার পর দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনারদের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
রোববার,(১১ মে ২০২৫) সকালে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান। সরকারি আদেশ বা গেজেট প্রকাশের পর বৈঠক করে ইসি সিদ্ধান্ত নিবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তকে অবশ্যই গুরুত্বসহকারে নিতে হবে। সুনির্দিষ্ট আদেশ পেলে আমরা আইনি দিকগুলো পর্যালোচনা করব এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করব।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের বর্তমান বাংলাদেশের স্পিরিট বুঝেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে কাল (আজ সোমবার) গেজেট হয় তাহলে কালই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
সিইসি আরও বলেন, ‘আমাদের কাজকর্ম দলের নিবন্ধন নিয়ে। সরকারের আদেশটি পেয়ে নিই। গেজেট হোক। এখন তো মিডিয়ায় দেখছি, আপনাদের কথা শুনছি। একজাক্টলি কোন ধারায়, কোন ল্যাঙ্গুয়েজে তারা কী করে, না করে। এটি তো সরকারি গেজেট পাওয়ার পর আমরা জানতে পারব। তখন আমরা বসে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেব। আমি তো একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তবে গেজেট পাওয়ার পর আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’
জুলাই আন্দোলন দমন ও নৃশংসতার জন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দলটির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং বিচারের দাবিতে তিন দিনের বিক্ষোভের পর উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে করে। জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ এই সিদ্ধান্ত আসে। পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তা গণমাধ্যমকে জানান। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে বলেও সে সময় জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের সামনে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা’।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রকাশিত হলে অতি দ্রুত তারা দলটির নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে আলোচনায় বসবেন।’
আর এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করবে কমিশন। আমাদের প্রক্রিয়া হচ্ছে, যখনই আমরা আদেশটি পাব, তখনই আমরা আইনগতভাবে যে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আছে, সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব। এ জন্য আমাদের একটি কাগজ দরকার। সেটি পাওয়ার পরে আমরা আইনগতভাবে যেটি হয় সেভাবে ব্যবস্থা নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কাগজ পাওয়ার পর বিষয়টি কমিশনে তুলে ধরব। তখন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে কী করবে।’
রোববার, ১১ মে ২০২৫
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে সরকার থেকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশ পাওয়ার পর দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনারদের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
রোববার,(১১ মে ২০২৫) সকালে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান। সরকারি আদেশ বা গেজেট প্রকাশের পর বৈঠক করে ইসি সিদ্ধান্ত নিবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তকে অবশ্যই গুরুত্বসহকারে নিতে হবে। সুনির্দিষ্ট আদেশ পেলে আমরা আইনি দিকগুলো পর্যালোচনা করব এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করব।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের বর্তমান বাংলাদেশের স্পিরিট বুঝেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে কাল (আজ সোমবার) গেজেট হয় তাহলে কালই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
সিইসি আরও বলেন, ‘আমাদের কাজকর্ম দলের নিবন্ধন নিয়ে। সরকারের আদেশটি পেয়ে নিই। গেজেট হোক। এখন তো মিডিয়ায় দেখছি, আপনাদের কথা শুনছি। একজাক্টলি কোন ধারায়, কোন ল্যাঙ্গুয়েজে তারা কী করে, না করে। এটি তো সরকারি গেজেট পাওয়ার পর আমরা জানতে পারব। তখন আমরা বসে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেব। আমি তো একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তবে গেজেট পাওয়ার পর আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’
জুলাই আন্দোলন দমন ও নৃশংসতার জন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দলটির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং বিচারের দাবিতে তিন দিনের বিক্ষোভের পর উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে করে। জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ এই সিদ্ধান্ত আসে। পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তা গণমাধ্যমকে জানান। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে বলেও সে সময় জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের সামনে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা’।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রকাশিত হলে অতি দ্রুত তারা দলটির নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে আলোচনায় বসবেন।’
আর এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করবে কমিশন। আমাদের প্রক্রিয়া হচ্ছে, যখনই আমরা আদেশটি পাব, তখনই আমরা আইনগতভাবে যে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আছে, সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব। এ জন্য আমাদের একটি কাগজ দরকার। সেটি পাওয়ার পরে আমরা আইনগতভাবে যেটি হয় সেভাবে ব্যবস্থা নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কাগজ পাওয়ার পর বিষয়টি কমিশনে তুলে ধরব। তখন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে কী করবে।’