তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবি
জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ৭ শতাংশ করাসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে আগামী ২৫ মে সারাদেশে ৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ। রোববার,(১১ মে ২০২৫) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন পরিষদের নেতারা।
ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল লিখিত বক্তব্যে উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজমুল হক, যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রতন, জুবায়ের আহাম্মেদ চৌধুরীসহ কয়েকজন।
সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম বলেন, ‘সবশেষ ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পেট্রোল-অকটেনে ডিপো মূল্যের ৫ শতাংশ ও ডিজেলে ৩ শতাংশ কমিশন ঠিক করা হয়েছে। এতদিন ডিলারশিপ লাইসেন্স, বিস্ফোরক লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই ব্যবসা চলছিল। এখন পরিবেশ, ফায়ার, কলকারখানা, বিএসটিআই বিআরসি লাইসেন্স নেয়ার নিয়ম করা হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি।’
কর্মসূচি ঘোষণা করে সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম বলেন, ‘আমরা জ্বালানি তেলের ব্যবসা ছেড়ে দেয়ার মনস্থির করেছি। তবে শেষ চেষ্টা হিসেবে ১০ মে সমগ্র দেশের তেল ব্যবসায়ী এবং অ্যাসোসিয়েশন নেতারা বৈঠকের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারকে আগামী ১২ দিন অর্থাৎ ২৪ মে এর মধ্যে দাবি পূরণের অনুরোধ করছি। অন্যথায় ২৫ মে থেকে প্রতীকী কর্মসূচি হিসেবে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সমগ্র দেশের সব পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছি। এই সময় জ্বালানি তেলের উত্তোলন, পরিবহন এবং বিপণন বন্ধ থাকবে। তবে হজ ফ্লাইট এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সচল রখার জন্য বিমানের তেল পরিবহন চালু থাকবে।’
১০ দফা দাবিগুলোর অন্যতম হচ্ছে জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ করতে হবে; সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জমির ইজারা মাশুল আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হবে; আগের মতো বিএসটিআইকে শুধু ডিসপেন্সিং ইউনিট স্টাম্পিং এবং পরিমাপ যাচাইয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে; আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষা ফি ও নিবন্ধন প্রথা বাতিল করতে হবে; পেট্রোল পাম্প কোনো শিল্প নয়, কমিশন এজেন্টভিত্তিক ব্যবসা; এ কারণে পরিবেশ, বিইআরসি, কলকারখানা এবং ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নেয়ার বিধান বাতিল করতে হবে; বিপণন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রি বন্ধ করতে হবে; ট্যাংকলরি চালক সংকট লাঘবে চালকদের লাইসেন্স নবায়ন এবং নতুন লাইসেন্স সহজতর করতে হবে; গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে রাস্তায় যেখানে সেখানে ট্যাংকলরি থামানো যাবে না। তেলের ডিপো গেইটে ট্যাংকলরির কাগজপত্র পরীক্ষার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সব ট্যাংকলরির জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যু করতে হবে।
তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবি
রোববার, ১১ মে ২০২৫
জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ৭ শতাংশ করাসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে আগামী ২৫ মে সারাদেশে ৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ। রোববার,(১১ মে ২০২৫) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন পরিষদের নেতারা।
ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল লিখিত বক্তব্যে উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজমুল হক, যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রতন, জুবায়ের আহাম্মেদ চৌধুরীসহ কয়েকজন।
সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম বলেন, ‘সবশেষ ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পেট্রোল-অকটেনে ডিপো মূল্যের ৫ শতাংশ ও ডিজেলে ৩ শতাংশ কমিশন ঠিক করা হয়েছে। এতদিন ডিলারশিপ লাইসেন্স, বিস্ফোরক লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই ব্যবসা চলছিল। এখন পরিবেশ, ফায়ার, কলকারখানা, বিএসটিআই বিআরসি লাইসেন্স নেয়ার নিয়ম করা হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি।’
কর্মসূচি ঘোষণা করে সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম বলেন, ‘আমরা জ্বালানি তেলের ব্যবসা ছেড়ে দেয়ার মনস্থির করেছি। তবে শেষ চেষ্টা হিসেবে ১০ মে সমগ্র দেশের তেল ব্যবসায়ী এবং অ্যাসোসিয়েশন নেতারা বৈঠকের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারকে আগামী ১২ দিন অর্থাৎ ২৪ মে এর মধ্যে দাবি পূরণের অনুরোধ করছি। অন্যথায় ২৫ মে থেকে প্রতীকী কর্মসূচি হিসেবে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সমগ্র দেশের সব পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছি। এই সময় জ্বালানি তেলের উত্তোলন, পরিবহন এবং বিপণন বন্ধ থাকবে। তবে হজ ফ্লাইট এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সচল রখার জন্য বিমানের তেল পরিবহন চালু থাকবে।’
১০ দফা দাবিগুলোর অন্যতম হচ্ছে জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ করতে হবে; সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জমির ইজারা মাশুল আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হবে; আগের মতো বিএসটিআইকে শুধু ডিসপেন্সিং ইউনিট স্টাম্পিং এবং পরিমাপ যাচাইয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে; আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষা ফি ও নিবন্ধন প্রথা বাতিল করতে হবে; পেট্রোল পাম্প কোনো শিল্প নয়, কমিশন এজেন্টভিত্তিক ব্যবসা; এ কারণে পরিবেশ, বিইআরসি, কলকারখানা এবং ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নেয়ার বিধান বাতিল করতে হবে; বিপণন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রি বন্ধ করতে হবে; ট্যাংকলরি চালক সংকট লাঘবে চালকদের লাইসেন্স নবায়ন এবং নতুন লাইসেন্স সহজতর করতে হবে; গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে রাস্তায় যেখানে সেখানে ট্যাংকলরি থামানো যাবে না। তেলের ডিপো গেইটে ট্যাংকলরির কাগজপত্র পরীক্ষার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সব ট্যাংকলরির জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যু করতে হবে।