গতকালও নগর ভবনের সামনে ইশরাক সমর্থকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন -সংবাদ
আজকের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ আয়োজন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। অন্যথায় আরও বৃহত্তর আন্দোলন হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার, (১৯ মে ২০২৫) সিলেট বিভাগীয় বিএনপির উদ্যোগে সদস্য নবায়ন এবং প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সিলেট নগরের পূর্ব শাহি ঈদগাহ এলাকার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বেলা তিনটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়।
ঢাকায় নগর ভবনের সামনে চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমি আহ্বান করছি, অতি অল্প সময়ের মধ্যে, আজকে-কালকের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আদালত ঘোষিত জনাব ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণ করানোর ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় ঢাকায় এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হয়তো আরও বৃহত্তর আন্দোলন করতে হতে পারে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আদালতের রায়ে যিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন, ইলেকশন কমিশন যার নামে গেজেট করেছে আদালতের রায় মেনে, তাকে আপনারা শপথ গ্রহণ করাবেন না, বিভিন্ন রকম কলাকৌশল করছেন। তাহলে এটা কি আইনের শাসন হলো? তাহলে আমরা কীসের শাসনের জন্য অপেক্ষা করছি?’
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে সালাউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূস সাহেব এবং আপনার একজন অল্পবয়স্ক উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন, তারা মনে করছেন যে তারা আইনের আদেশ মানবেন না, কোর্টের আদেশ মানবেন না, ইলেকশন কমিশনের গেজেট মানবেন না। আমরা সব সময় আপনাদের সহযোগিতা করেছি। এই সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমরা দাসখত দিয়েছি আপনাকে- যা করবেন তাই সমর্থন করার জন্য।’
আজও নগরভবনে ইশরাকপন্থিদের অবস্থান, ফেইসবুকে পাল্টাপাল্টি
ষষ্ঠ দিনের মতো সোমবার, নগর ভবনের সামনে ‘ঢাকাবাসীর’ ব্যানারে ইশরাকপন্থিরা মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে আজ অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার, বিকেলে ব্লকেড
কর্মসূচি থেকে এ অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি। কর্মসূচি ঘোষণা করেন সরকারের সাবেক সচিব মশিউর রহমান। এ সময় নগরবাসীর এ দাবি না মেনে নেয়ায় নিন্দা প্রকাশ করেন তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে টানা আন্দোলনের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মেয়র পদপ্রত্যাশী ইশরাক হোসেন।
একইসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের দেয়া বিবৃতিকে ‘চরম মিথ্যাচার’ বলে মন্তব্য করেন মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘যদি আগামীকালের মধ্যে এ দাবি মেনে নেয়া না হয়, এর খেসারত সরকারকেই দিতে হবে।’ যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
নগর ভবনে ষষ্ঠ দিন
সোমবার, বেলা ১১টা থেকে নগরভবন ও আশপাশের এলাকায় ব্লকেট কর্মসূচি পালন করেন ঢাকাবাসী। এর আগে থেকেই নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। পরে বঙ্গ মার্কেট এলাকা অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। একইসঙ্গে গোলাপ শাহ মাজারের রাস্তাটিও বন্ধ করে দেয়া হয়। কার্যত সকাল থেকেই অচলাবস্থা বিরাজ করে নগর ভবন, পুলিশ হেডকোয়ার্টারসহ আশপাশের এলাকা।
তাদের অভিযোগ, আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরও ‘শুধু উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের হস্তক্ষেপেই’ শপথ নিতে পারছেন না ইশরাক।
ফেইসবুকে আসিফ ইশরাক পাল্টাপাল্টি
দুপুরে ফেইসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। সেখানে তিনি বলেন, ‘গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করে মহানগর বিএনপি আন্দোলন চালাচ্ছে। এতে সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি মেয়র পদে শপথ না হওয়ার পেছনে ১০টি আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতার কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে একপক্ষীয় রায়, নির্বাচন কমিশনের আপিল না করা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষভুক্ত না থাকা, রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকা, মেয়াদ-সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষা।
আসিফের পোস্টে আরও দাবি করা হয়, ‘এই আন্দোলন দলীয়ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন।’
এর জবাবে বেলা পৌনে তিনটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে পাল্টা পোস্ট দেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘সর্বশক্তি দিয়ে ঢাকায় বিএনপির মেয়র আটকানোর চেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকারের কতিপয় ব্যক্তি আগামী নির্বাচনে কী ভূমিকা নিতে চায়, তা পরিষ্কার হয়ে গেছে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘মেয়র-ফেওর কিছু না। মূল উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকারের স্বার্থে এসব ক্ষমতালোভী চক্রের মুখোশ উন্মোচন করা। যারা নিরপেক্ষতা বিসর্জন দিয়ে একটি দলের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে, তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।’
পোস্টে ইশরাক আরও অভিযোগ করেন, ‘এই চক্রটি নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করছে, বিচারকদের হুমকি দিচ্ছে এবং আমলাতন্ত্রে কুচক্রী মহল নিয়ে উচ্চ আদালতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। হয় দাবি আদায় করব, না হয় আল্লাহর নির্ধারিত স্থানে মাটির নিচে শায়িত হব।’
ইশরাকের পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পর আবার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফটোকার্ডে নিজের ছবি যুক্ত করে ফেইসবুকে আরেকটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টের ফটোকার্ডে লেখেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলের অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেয়ার প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বীকার করে যে আওয়ামী আমলের নির্বাচনগুলো বৈধ তবে শপথ দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না।’
ইশরাকের শপথ কার্যকর না হওয়ায় এবং আন্দোলনের কারণে নগর ভবনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে আন্দোলন ঘিরে রাজপথে যেমন উত্তেজনা, তেমনি ভার্চুয়াল মাধ্যমেও আসিফ ইশরাকের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে তীব্র রাজনৈতিক চাপ তৈরি হয়েছে।
গত ২৭ মার্চ নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করে রায় দেয়। ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। তবে এখন পর্যন্ত তার শপথ কার্যকর হয়নি। শপথ না হওয়াকে কেন্দ্র করেই চলছে এই আন্দোলন।
গতকালও নগর ভবনের সামনে ইশরাক সমর্থকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন -সংবাদ
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
আজকের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ আয়োজন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। অন্যথায় আরও বৃহত্তর আন্দোলন হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার, (১৯ মে ২০২৫) সিলেট বিভাগীয় বিএনপির উদ্যোগে সদস্য নবায়ন এবং প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সিলেট নগরের পূর্ব শাহি ঈদগাহ এলাকার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বেলা তিনটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়।
ঢাকায় নগর ভবনের সামনে চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমি আহ্বান করছি, অতি অল্প সময়ের মধ্যে, আজকে-কালকের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আদালত ঘোষিত জনাব ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণ করানোর ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় ঢাকায় এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হয়তো আরও বৃহত্তর আন্দোলন করতে হতে পারে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আদালতের রায়ে যিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন, ইলেকশন কমিশন যার নামে গেজেট করেছে আদালতের রায় মেনে, তাকে আপনারা শপথ গ্রহণ করাবেন না, বিভিন্ন রকম কলাকৌশল করছেন। তাহলে এটা কি আইনের শাসন হলো? তাহলে আমরা কীসের শাসনের জন্য অপেক্ষা করছি?’
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে সালাউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূস সাহেব এবং আপনার একজন অল্পবয়স্ক উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন, তারা মনে করছেন যে তারা আইনের আদেশ মানবেন না, কোর্টের আদেশ মানবেন না, ইলেকশন কমিশনের গেজেট মানবেন না। আমরা সব সময় আপনাদের সহযোগিতা করেছি। এই সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমরা দাসখত দিয়েছি আপনাকে- যা করবেন তাই সমর্থন করার জন্য।’
আজও নগরভবনে ইশরাকপন্থিদের অবস্থান, ফেইসবুকে পাল্টাপাল্টি
ষষ্ঠ দিনের মতো সোমবার, নগর ভবনের সামনে ‘ঢাকাবাসীর’ ব্যানারে ইশরাকপন্থিরা মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে আজ অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার, বিকেলে ব্লকেড
কর্মসূচি থেকে এ অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি। কর্মসূচি ঘোষণা করেন সরকারের সাবেক সচিব মশিউর রহমান। এ সময় নগরবাসীর এ দাবি না মেনে নেয়ায় নিন্দা প্রকাশ করেন তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে টানা আন্দোলনের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মেয়র পদপ্রত্যাশী ইশরাক হোসেন।
একইসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের দেয়া বিবৃতিকে ‘চরম মিথ্যাচার’ বলে মন্তব্য করেন মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘যদি আগামীকালের মধ্যে এ দাবি মেনে নেয়া না হয়, এর খেসারত সরকারকেই দিতে হবে।’ যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
নগর ভবনে ষষ্ঠ দিন
সোমবার, বেলা ১১টা থেকে নগরভবন ও আশপাশের এলাকায় ব্লকেট কর্মসূচি পালন করেন ঢাকাবাসী। এর আগে থেকেই নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। পরে বঙ্গ মার্কেট এলাকা অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। একইসঙ্গে গোলাপ শাহ মাজারের রাস্তাটিও বন্ধ করে দেয়া হয়। কার্যত সকাল থেকেই অচলাবস্থা বিরাজ করে নগর ভবন, পুলিশ হেডকোয়ার্টারসহ আশপাশের এলাকা।
তাদের অভিযোগ, আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরও ‘শুধু উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের হস্তক্ষেপেই’ শপথ নিতে পারছেন না ইশরাক।
ফেইসবুকে আসিফ ইশরাক পাল্টাপাল্টি
দুপুরে ফেইসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। সেখানে তিনি বলেন, ‘গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করে মহানগর বিএনপি আন্দোলন চালাচ্ছে। এতে সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি মেয়র পদে শপথ না হওয়ার পেছনে ১০টি আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতার কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে একপক্ষীয় রায়, নির্বাচন কমিশনের আপিল না করা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষভুক্ত না থাকা, রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকা, মেয়াদ-সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষা।
আসিফের পোস্টে আরও দাবি করা হয়, ‘এই আন্দোলন দলীয়ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন।’
এর জবাবে বেলা পৌনে তিনটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে পাল্টা পোস্ট দেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘সর্বশক্তি দিয়ে ঢাকায় বিএনপির মেয়র আটকানোর চেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকারের কতিপয় ব্যক্তি আগামী নির্বাচনে কী ভূমিকা নিতে চায়, তা পরিষ্কার হয়ে গেছে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘মেয়র-ফেওর কিছু না। মূল উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকারের স্বার্থে এসব ক্ষমতালোভী চক্রের মুখোশ উন্মোচন করা। যারা নিরপেক্ষতা বিসর্জন দিয়ে একটি দলের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে, তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।’
পোস্টে ইশরাক আরও অভিযোগ করেন, ‘এই চক্রটি নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করছে, বিচারকদের হুমকি দিচ্ছে এবং আমলাতন্ত্রে কুচক্রী মহল নিয়ে উচ্চ আদালতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। হয় দাবি আদায় করব, না হয় আল্লাহর নির্ধারিত স্থানে মাটির নিচে শায়িত হব।’
ইশরাকের পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পর আবার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফটোকার্ডে নিজের ছবি যুক্ত করে ফেইসবুকে আরেকটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টের ফটোকার্ডে লেখেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলের অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেয়ার প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বীকার করে যে আওয়ামী আমলের নির্বাচনগুলো বৈধ তবে শপথ দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না।’
ইশরাকের শপথ কার্যকর না হওয়ায় এবং আন্দোলনের কারণে নগর ভবনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে আন্দোলন ঘিরে রাজপথে যেমন উত্তেজনা, তেমনি ভার্চুয়াল মাধ্যমেও আসিফ ইশরাকের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে তীব্র রাজনৈতিক চাপ তৈরি হয়েছে।
গত ২৭ মার্চ নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করে রায় দেয়। ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। তবে এখন পর্যন্ত তার শপথ কার্যকর হয়নি। শপথ না হওয়াকে কেন্দ্র করেই চলছে এই আন্দোলন।