বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সমস্যা উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ উপেক্ষা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এর ফলে দেশ অনিশ্চয়তার দিকে এগোচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ জানে না আগামী দিনে কী হবে, নির্বাচন কবে হবে, সরকার কতদিন থাকবে এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই দেশ চলছে।’
সোমবার, (১৯ মে ২০২৫) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘নীতি সংস্কার ও আগামীর জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এই মন্তব্য করেন। অপর এক অনুষ্ঠানে দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি কোনো আপোস করবে না বলে মন্তব্য করেছেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের অভাব রয়েছে। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে নেয়ার জন্য এখনই প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সেই পথ না বেছে উল্টো দেশের মানুষকে একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।’
সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো আমরা কোথায় যাচ্ছি? নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের পথ রুদ্ধ হয়ে থাকলে বাজেট বা অর্থনৈতিক নীতিগুলো কতটা কার্যকর হবে, সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ।’ বাজেট প্রণয়নের বিষয়ে সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি প্রশ্নবিদ্ধ জিডিপির ওপর ভিত্তি করে বাজেট তৈরি হচ্ছে। এতে বিগত সরকারের ফ্যাসিবাদী বাজেটেরই পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে।’
মায়ানমারের সঙ্গে মানবিক করিডোর তৈরির বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘এটা একটি স্পর্শকাতর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। অথচ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ প্রশ্নবিদ্ধ।’
বিগত সময়ের আন্দোলন ও মানুষের রাজনৈতিক আকাক্সক্ষার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গত ১৪-১৫ বছর মানুষ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য লড়াই করেছে, কিন্তু এখন সেই মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে গিয়ে অন্য কাজেই ব্যস্ত সরকার।’
খসরু আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। আমাদের সহনশীল হতে হবে, দ্বিমত হলেও একে অপরের পথকে সম্মান জানাতে হবে। না হলে সামনে এগোনো কঠিন হবে।’
ফ্যাসিবাদের পতন হলেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি কোনো আপোস করবে না। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে কিন্তু গণতন্ত্র এখনও পুনরুদ্ধার হয়নি। জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহতকরণ ও তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট। প্রয়োজন হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আবারও মাঠে নামার ঘোষণা দেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা আওয়ামী পুনর্বাসন করছি বলে আলোচনা হচ্ছে। যেই দলটা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত। যেই দলের চেয়ারপারসনকে বিনা কারণে কারাগারে রেখেছে। তারেক রহমানকে নির্বাসনে রেখেছে। ছোট ভাই মালয়েশিয়ায় মারা গেছেন। বিএনপির মহাসচিবসহ এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যার বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি? আর আমরা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করছি। এটা কি সম্ভব? এসব ফাইজলামির শেষ হওয়া উচিত। আমরা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপোস হবে না। কেউ করতে গেলেও আমরা বাধা দেবো।’
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করে যাচ্ছি। যার মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানোর জন্য। শেষ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে দেশের সব গণতন্ত্রকামী মানুষ এই লড়াইয়ে শরিক হয়েছিল। তবে জনগণের নির্বাচিত সরকার তথা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সংস্কার চাই। তবে সেটি অবশ্যই প্রয়োজন এবং সক্ষমতা অনুযায়ী হতে হবে। সংবিধান সংশোধনের জন্য পরবর্তী সংসদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে সরকারকে তা স্পষ্ট করতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘তারেক রহমানকে দেশে ফেরার নিশ্চয়তা দিন।’ প্রয়োজনে আবারও মাঠে নামার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের পর আপনাদের আমরা এক মুহূর্তের জন্যও সহ্য করব না। শেখ হাসিনাকে যখন নামিয়েছি তেমনই আপনাদেরও পরোয়া করব না।’
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সমস্যা উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ উপেক্ষা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এর ফলে দেশ অনিশ্চয়তার দিকে এগোচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ জানে না আগামী দিনে কী হবে, নির্বাচন কবে হবে, সরকার কতদিন থাকবে এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই দেশ চলছে।’
সোমবার, (১৯ মে ২০২৫) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘নীতি সংস্কার ও আগামীর জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এই মন্তব্য করেন। অপর এক অনুষ্ঠানে দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি কোনো আপোস করবে না বলে মন্তব্য করেছেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের অভাব রয়েছে। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে নেয়ার জন্য এখনই প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সেই পথ না বেছে উল্টো দেশের মানুষকে একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।’
সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো আমরা কোথায় যাচ্ছি? নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের পথ রুদ্ধ হয়ে থাকলে বাজেট বা অর্থনৈতিক নীতিগুলো কতটা কার্যকর হবে, সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ।’ বাজেট প্রণয়নের বিষয়ে সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি প্রশ্নবিদ্ধ জিডিপির ওপর ভিত্তি করে বাজেট তৈরি হচ্ছে। এতে বিগত সরকারের ফ্যাসিবাদী বাজেটেরই পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে।’
মায়ানমারের সঙ্গে মানবিক করিডোর তৈরির বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘এটা একটি স্পর্শকাতর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। অথচ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ প্রশ্নবিদ্ধ।’
বিগত সময়ের আন্দোলন ও মানুষের রাজনৈতিক আকাক্সক্ষার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গত ১৪-১৫ বছর মানুষ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য লড়াই করেছে, কিন্তু এখন সেই মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে গিয়ে অন্য কাজেই ব্যস্ত সরকার।’
খসরু আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। আমাদের সহনশীল হতে হবে, দ্বিমত হলেও একে অপরের পথকে সম্মান জানাতে হবে। না হলে সামনে এগোনো কঠিন হবে।’
ফ্যাসিবাদের পতন হলেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি কোনো আপোস করবে না। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে কিন্তু গণতন্ত্র এখনও পুনরুদ্ধার হয়নি। জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহতকরণ ও তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট। প্রয়োজন হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আবারও মাঠে নামার ঘোষণা দেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা আওয়ামী পুনর্বাসন করছি বলে আলোচনা হচ্ছে। যেই দলটা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত। যেই দলের চেয়ারপারসনকে বিনা কারণে কারাগারে রেখেছে। তারেক রহমানকে নির্বাসনে রেখেছে। ছোট ভাই মালয়েশিয়ায় মারা গেছেন। বিএনপির মহাসচিবসহ এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যার বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি? আর আমরা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করছি। এটা কি সম্ভব? এসব ফাইজলামির শেষ হওয়া উচিত। আমরা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপোস হবে না। কেউ করতে গেলেও আমরা বাধা দেবো।’
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করে যাচ্ছি। যার মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানোর জন্য। শেষ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে দেশের সব গণতন্ত্রকামী মানুষ এই লড়াইয়ে শরিক হয়েছিল। তবে জনগণের নির্বাচিত সরকার তথা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সংস্কার চাই। তবে সেটি অবশ্যই প্রয়োজন এবং সক্ষমতা অনুযায়ী হতে হবে। সংবিধান সংশোধনের জন্য পরবর্তী সংসদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে সরকারকে তা স্পষ্ট করতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘তারেক রহমানকে দেশে ফেরার নিশ্চয়তা দিন।’ প্রয়োজনে আবারও মাঠে নামার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের পর আপনাদের আমরা এক মুহূর্তের জন্যও সহ্য করব না। শেখ হাসিনাকে যখন নামিয়েছি তেমনই আপনাদেরও পরোয়া করব না।’