জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনেক প্রস্তাবে সিপিবির ‘ঘোরতর’ দ্বিমত রয়েছে সিপিবির। এরপর দলটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। সোমবার, (১৯ মে ২০২৫) বিকেলে জাতীয় সংসদের এলডি হলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম ধাপের সংলাপ পর্ব হয়েছে।
শিগগিরই দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। প্রথম ধাপের সংলাপে ভিন্নমত নিয়ে দ্বিতীয় ধাপে বিষয়ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদের খসড়া তৈরি করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বে সিপিবির ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সোমবার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়।
সংলাপে সূচনা বক্তব্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘আশা করছি যে সমস্ত বিষয়ে ভিন্নমত আছে, সেগুলো নিয়ে পরবর্তী সময়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করতে পারব। প্রথম পর্যায়ের সংলাপের সমাপ্তি টানব এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা খুব শিগগিরই শুরু করতে পারব।’ ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করে প্রথম ধাপের আলোচনার অগ্রগতি জানানো হবে বলে তিনি জানান।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘গত দুই মাসের আলোচনায় অনেক বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একমত হয়েছি। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যে সমস্ত মতামত দেয়া হয়েছে, তার ভিত্তিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি জাতীয় সনদের খসড়া তৈরি করতে পারব বলে আমাদের দৃঢ় আশা। জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে প্রত্যেকের অংশীদার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ অংশীদার, রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিগুলোর ভূমিকা আছে। আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।
*জনগণ ভোট দিতে পারবে কিনা*
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। জনগণ বুঝতে চায়, তারা ঠিকমতো ভোট দিতে পারবে নিা। ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার আছে কিনা। এখানে প্রশাসনিক কোনো কারসাজি হবে কিনা। কিংবা কোনো সাম্প্রদায়িক-আঞ্চলিক প্রচার-প্রচারণা ভোট থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানো হবে কিনা। পুরনো ভয়ের রাজত্ব কায়েম হবে কিনা।’
সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ছাড়াও স্বাস্থ্য, নারীবিষয়ক সংস্কার নিয়ে আলোচনা হতে পারে মন্তব্য করে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের প্রস্তাবগুলো আলোচনায় নিয়ে আসা গেলে, আগামীতে জনস্বার্থের বিষয়গুলো আরও বেশি গুরুত্ব পাবে, মানুষ ভাবতে পারবে এবং মানুষের চিন্তাকে সামনে এনে আমাদের সম্পৃক্ত করতে পারবে। সংস্কারের সুনির্দিষ্ট প্রশ্নগুলো জনগণের সামনে নিয়ে আসা গেলে, জনগণ যদি মনে করে সেটা তার সঙ্গে সম্পর্কিত, তাহলে আমরা অগ্রগতির দিকে নিয়ে যেতে পারব।’
*অনেক বিষয় স্প্রেডশিটে নেই*
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের (পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন) অনেকগুলো কথা থাকলেও, তা প্রশ্নমালায় (স্প্রেডশিট) নেই। সেটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করি। জনগণ গণমাধ্যমের সাহায্যে সেগুলো জানতে পারলে তাদের মতামত দেয়ার সুযোগ তৈরি হবে। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, অবাধ নির্বাচনের জন্য দ্রুত সংস্কারের যে যে কাজ করা দরকার, যেটা আপনারা বইতে (পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন) বলেছেন, কিন্তু এখানে (স্প্রেডশিট) নেই। সেগুলো সামনে নিয়ে আসা গেলে অনেক কনফিউশন দূর হয়ে যাবে।’
*ঘোরতর দ্বিমত*
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনেক প্রস্তাবে সিপিবির ‘ঘোরতর’ দ্বিমত রয়েছে জানিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অনেক বিষয়ে আমাদের ঘোরতর দ্বিমত থাকা সত্ত্বেও আলোচনায় ঘাটতি হয়নি। অনেকটা সৌহার্দ্য বজায় ছিল। এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সেই ধারায় পুরো দেশবাসীকে নিয়ে আসতে পারলে এবং আগামীদিনের পথচলা নিশ্চিত করা গেলে গণতন্ত্রের পথে আরেক ধাপ অগ্রগতি হবে।’
এর আগে গত ১৩ মে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল সিপিবি।
*সংলাপের প্রথম ধাপ*
রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর একীভূত সুপারিশ চূড়ান্ত করার পাশাপাশি এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির জন্য কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের ওপর ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মতামত জানতে চেয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। এরপর সেই মতামত ধরে সংশ্লিষ্ট দলের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে। ২০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সংলাপে ৩৩টি দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা হয়।
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনেক প্রস্তাবে সিপিবির ‘ঘোরতর’ দ্বিমত রয়েছে সিপিবির। এরপর দলটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। সোমবার, (১৯ মে ২০২৫) বিকেলে জাতীয় সংসদের এলডি হলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম ধাপের সংলাপ পর্ব হয়েছে।
শিগগিরই দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। প্রথম ধাপের সংলাপে ভিন্নমত নিয়ে দ্বিতীয় ধাপে বিষয়ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদের খসড়া তৈরি করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বে সিপিবির ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সোমবার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়।
সংলাপে সূচনা বক্তব্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘আশা করছি যে সমস্ত বিষয়ে ভিন্নমত আছে, সেগুলো নিয়ে পরবর্তী সময়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করতে পারব। প্রথম পর্যায়ের সংলাপের সমাপ্তি টানব এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা খুব শিগগিরই শুরু করতে পারব।’ ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করে প্রথম ধাপের আলোচনার অগ্রগতি জানানো হবে বলে তিনি জানান।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘গত দুই মাসের আলোচনায় অনেক বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একমত হয়েছি। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যে সমস্ত মতামত দেয়া হয়েছে, তার ভিত্তিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি জাতীয় সনদের খসড়া তৈরি করতে পারব বলে আমাদের দৃঢ় আশা। জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে প্রত্যেকের অংশীদার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ অংশীদার, রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিগুলোর ভূমিকা আছে। আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।
*জনগণ ভোট দিতে পারবে কিনা*
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। জনগণ বুঝতে চায়, তারা ঠিকমতো ভোট দিতে পারবে নিা। ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার আছে কিনা। এখানে প্রশাসনিক কোনো কারসাজি হবে কিনা। কিংবা কোনো সাম্প্রদায়িক-আঞ্চলিক প্রচার-প্রচারণা ভোট থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানো হবে কিনা। পুরনো ভয়ের রাজত্ব কায়েম হবে কিনা।’
সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ছাড়াও স্বাস্থ্য, নারীবিষয়ক সংস্কার নিয়ে আলোচনা হতে পারে মন্তব্য করে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের প্রস্তাবগুলো আলোচনায় নিয়ে আসা গেলে, আগামীতে জনস্বার্থের বিষয়গুলো আরও বেশি গুরুত্ব পাবে, মানুষ ভাবতে পারবে এবং মানুষের চিন্তাকে সামনে এনে আমাদের সম্পৃক্ত করতে পারবে। সংস্কারের সুনির্দিষ্ট প্রশ্নগুলো জনগণের সামনে নিয়ে আসা গেলে, জনগণ যদি মনে করে সেটা তার সঙ্গে সম্পর্কিত, তাহলে আমরা অগ্রগতির দিকে নিয়ে যেতে পারব।’
*অনেক বিষয় স্প্রেডশিটে নেই*
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের (পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন) অনেকগুলো কথা থাকলেও, তা প্রশ্নমালায় (স্প্রেডশিট) নেই। সেটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করি। জনগণ গণমাধ্যমের সাহায্যে সেগুলো জানতে পারলে তাদের মতামত দেয়ার সুযোগ তৈরি হবে। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, অবাধ নির্বাচনের জন্য দ্রুত সংস্কারের যে যে কাজ করা দরকার, যেটা আপনারা বইতে (পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন) বলেছেন, কিন্তু এখানে (স্প্রেডশিট) নেই। সেগুলো সামনে নিয়ে আসা গেলে অনেক কনফিউশন দূর হয়ে যাবে।’
*ঘোরতর দ্বিমত*
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনেক প্রস্তাবে সিপিবির ‘ঘোরতর’ দ্বিমত রয়েছে জানিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অনেক বিষয়ে আমাদের ঘোরতর দ্বিমত থাকা সত্ত্বেও আলোচনায় ঘাটতি হয়নি। অনেকটা সৌহার্দ্য বজায় ছিল। এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সেই ধারায় পুরো দেশবাসীকে নিয়ে আসতে পারলে এবং আগামীদিনের পথচলা নিশ্চিত করা গেলে গণতন্ত্রের পথে আরেক ধাপ অগ্রগতি হবে।’
এর আগে গত ১৩ মে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল সিপিবি।
*সংলাপের প্রথম ধাপ*
রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর একীভূত সুপারিশ চূড়ান্ত করার পাশাপাশি এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির জন্য কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের ওপর ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মতামত জানতে চেয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। এরপর সেই মতামত ধরে সংশ্লিষ্ট দলের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে। ২০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সংলাপে ৩৩টি দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা হয়।