বন্দর ইয়ার্ডে আটকা শত শত কনটেইনার
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের অচলাবস্থা শুরু হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির প্রতিবাদে কর্মবিরতির কারণে বন্দরে পণ্য খালাস, শুল্কায়ন এবং অন্যান্য দাপ্তরিক প্রক্রিয়া স্থগিত থাকায় নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত ১৫ মে থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতির ফলে কাস্টম হাউসের স্বাভাবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, কর্মবিরতির কারণে শুধু আমদানি নয়, রপ্তানি কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা। সিএন্ডএফ এজেন্ট বাপ্পু দাশ বলেন, তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য রপ্তানি পণ্যবোঝাই ট্রাক বন্দরে আটকা পড়ে থাকায় সময়মতো শিপমেন্ট করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
আমদানি-রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা বলছেন, কাস্টমসের এই অচলাবস্থা দীর্ঘ হলে বন্দরে কনটেইনার জট আরও বাড়বে এবং এর ফলস্বরূপ নিত্যপণ্যের সরবরাহ কমে গিয়ে বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি দেখা যেতে পারে। তারা দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিবহন বিভাগের সহকারী টার্মিনাল ম্যানেজার (কন্ট্রোল) রাজীব চৌধুরী এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে কাস্টম হাউসের একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মুখপাত্র ও উপ-কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, আমরা রপ্তানি ও বিমানবন্দরের কার্যক্রমগুলো করছি। এ দুটি কাজ আমাদের কর্মবিরতির অংশ না। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে আমরা আমদানিসংক্রান্ত কোনো কাজ করছি না।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার আমদানি এবং পাঁচ হাজার রপ্তানি সংক্রান্ত বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হয়। কিন্তু কর্মবিরতির কারণে এই কার্যক্রমের প্রায় পুরোটাই বন্ধ রয়েছে। ফলে, বন্দর ইয়ার্ডে শত শত কনটেইনার আটকা পড়ে আছে, যা সময়মতো খালাস করা যাচ্ছে না।
বর্তমানে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এই অচলাবস্থার কারণে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। তাই সাধারণ ভোক্তাদের উপরও প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দ্রুত এর সমাধান না হলে ঈদের আগে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
উদ্বেগ প্রকাশ করে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বলেন, কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পণ্য আটকে রয়েছে। সময়মতো ডেলিভারি দিতে না পারলে আমরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হব।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে পচনশীল পণ্য আটকে থাকায় ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। যার প্রভাব সরাসরি পড়বে ভোক্তা পর্যায়ে, যা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল ইসলাম বলেন, কাস্টম হাউসের কর্মবিরতি নিয়ে আমরা সত্যিই শঙ্কিত। ইম্পোর্টের (আমদানি) কোনো কাজই হচ্ছে না। এতে বিভিন্ন আমদানি পণ্যের সংকট তৈরি হতে পারে। এছাড়াও অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে পারে।
বন্দর ইয়ার্ডে আটকা শত শত কনটেইনার
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের অচলাবস্থা শুরু হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির প্রতিবাদে কর্মবিরতির কারণে বন্দরে পণ্য খালাস, শুল্কায়ন এবং অন্যান্য দাপ্তরিক প্রক্রিয়া স্থগিত থাকায় নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত ১৫ মে থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতির ফলে কাস্টম হাউসের স্বাভাবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, কর্মবিরতির কারণে শুধু আমদানি নয়, রপ্তানি কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা। সিএন্ডএফ এজেন্ট বাপ্পু দাশ বলেন, তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য রপ্তানি পণ্যবোঝাই ট্রাক বন্দরে আটকা পড়ে থাকায় সময়মতো শিপমেন্ট করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
আমদানি-রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা বলছেন, কাস্টমসের এই অচলাবস্থা দীর্ঘ হলে বন্দরে কনটেইনার জট আরও বাড়বে এবং এর ফলস্বরূপ নিত্যপণ্যের সরবরাহ কমে গিয়ে বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি দেখা যেতে পারে। তারা দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিবহন বিভাগের সহকারী টার্মিনাল ম্যানেজার (কন্ট্রোল) রাজীব চৌধুরী এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে কাস্টম হাউসের একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মুখপাত্র ও উপ-কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, আমরা রপ্তানি ও বিমানবন্দরের কার্যক্রমগুলো করছি। এ দুটি কাজ আমাদের কর্মবিরতির অংশ না। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে আমরা আমদানিসংক্রান্ত কোনো কাজ করছি না।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার আমদানি এবং পাঁচ হাজার রপ্তানি সংক্রান্ত বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হয়। কিন্তু কর্মবিরতির কারণে এই কার্যক্রমের প্রায় পুরোটাই বন্ধ রয়েছে। ফলে, বন্দর ইয়ার্ডে শত শত কনটেইনার আটকা পড়ে আছে, যা সময়মতো খালাস করা যাচ্ছে না।
বর্তমানে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এই অচলাবস্থার কারণে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। তাই সাধারণ ভোক্তাদের উপরও প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দ্রুত এর সমাধান না হলে ঈদের আগে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
উদ্বেগ প্রকাশ করে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বলেন, কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পণ্য আটকে রয়েছে। সময়মতো ডেলিভারি দিতে না পারলে আমরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হব।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে পচনশীল পণ্য আটকে থাকায় ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। যার প্রভাব সরাসরি পড়বে ভোক্তা পর্যায়ে, যা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল ইসলাম বলেন, কাস্টম হাউসের কর্মবিরতি নিয়ে আমরা সত্যিই শঙ্কিত। ইম্পোর্টের (আমদানি) কোনো কাজই হচ্ছে না। এতে বিভিন্ন আমদানি পণ্যের সংকট তৈরি হতে পারে। এছাড়াও অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে পারে।