গেল বছর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দলবাজ অনেক পুলিশ কর্মকর্তা গা ঢাকা দিয়েছে। তার মধ্যে বহুল আলোচিত ডিবি হারুনও রয়েছেন। তারা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
আবার চলতি মাসের সোমবার, (১৯ মে ২০২৫) পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য মতে, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে জেলা ও বিভাগসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন এমন অনেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এই সংখ্যা ১৩৬।
পুলিশ সদরদপ্তর থেকে জানা গেছে, অতিরিক্ত আইজি ও ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি ও এসপি পদমর্যাদার ৮২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করে রাখা হয়েছে। তাদেরকে নানা অভিযোগে ওএসডি করা হয়েছে বলে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে জানিয়েছে।
তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। সর্বশেষ তালিকা মতে, অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুল আলিম মাহমুদ রয়েছেন।
গত ১৮ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ শাখা-৩ এক আদেশে পুলিশের ১২ জন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত আইজিপি, গ্রেড-২ পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এর আগে তাদের মধ্যে কেউ ডিআইজি ও কেউ অতিরিক্ত আইজিপির চলতি দায়িত্বে ছিলেন।
ওএসডির তালিকায় ১৩ জন ডিআইজি আছেন, তারা হলো- ডিআইজি মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, শাহমিজান শাফিউর রহমান, মোস্তাক আহমেদ খান, জিয়াদুল কবির, মঈনুল হক, ইলিয়াছ শরীফ, নূরে আলম মিনা, জাকির হোসেন, শাহ আবিদ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ নূরুল ইসলাম, মো. মনিরুজ্জামান।
এইভাবে ৬১ জন অতিরিক্ত ডিআইজি ৭ জন, এসপি রয়েছে। এছাড়াও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ৫৪ জনকে সংযুক্ত করে করা হয়েছে।
ওএসডিতে থাকা একজন অফিসার সংবাদকে ফোনে জানান, ‘কী কারণে ওএসডি করছে জানি না। তবে এখন কাজ নেই। গাড়ি নেই। অলস সময় কাটচ্ছি। হাজিরা দিয়ে বাসায় থাকি। আর দোষ কী তাও জানি না। ওই সময় যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করছি।’
পুলিশের এক সূত্র জানায়, পুলিশের মধ্যে এখনও কিছুটা অস্থিরতা চলছে। একজন অন্যজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আওয়ামীলীগ আমলে জেলা ও বিভাগে কোনো দায়িত্ব পালন না করলেও এখন তাদের অনেকের বিরুদ্ধে গত আমলের বিভিন্ন সুবিধা নেয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। অনেকের নামে প্রায়ই তালিকা তৈরি হচ্ছে। এ নিয়ে কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছে।
একজন অতিরিক্ত ডিআইজি সংবাদকে বলেন, পুলিশের অফিসারসহ ২ লাখের বেশি কর্মকর্তা ও সদস্য রয়েছে। তার মধ্যে সাবেক ডিবি কর্মকর্তা হারুনসহ প্রায় ‘৫০জন দলবাজ’ পুলিশ কর্মকর্তার জন্য এখন পুরো বাহিনী প্রশ্নবিদ্ধ।
এই অবস্থা কেটে উঠতে আরও সময় লাগবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ সদরদপ্তর কাজ করছে। এখনও মাঠ পর্যায়ে পুরো স্বাভাবিক হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
একজন অফিসার সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদকে বলেন, এখনও একজন অন্যজনকে দলবাজ বানাতে মিথ্যা তালিকা তৈরি করে ভিন্ন দপ্তরে জমা দিচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে কর্মস্থলে। আর অনেকেই এখনও রাতারাতি নব্য দলবাজ হয়ে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে।
অন্য সূত্রও জানায়, সাজা প্রাপ্তদের মধ্যে কেউ রাতের ভোটের সময় বিভিন্ন জেলা ও বিভাগ মেট্রোপলিটনে দায়িত্ব পালন করেছেন। অনেককে রাতের ভোটের কারিগরও বলা হয়েছে। এই জন্য বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আবার কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। আবার কাউকে হত্যা ও ট্রাইবুনালের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন সাবেক আইজিপিও আছেন।
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
গেল বছর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দলবাজ অনেক পুলিশ কর্মকর্তা গা ঢাকা দিয়েছে। তার মধ্যে বহুল আলোচিত ডিবি হারুনও রয়েছেন। তারা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
আবার চলতি মাসের সোমবার, (১৯ মে ২০২৫) পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য মতে, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে জেলা ও বিভাগসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন এমন অনেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এই সংখ্যা ১৩৬।
পুলিশ সদরদপ্তর থেকে জানা গেছে, অতিরিক্ত আইজি ও ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি ও এসপি পদমর্যাদার ৮২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করে রাখা হয়েছে। তাদেরকে নানা অভিযোগে ওএসডি করা হয়েছে বলে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে জানিয়েছে।
তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। সর্বশেষ তালিকা মতে, অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুল আলিম মাহমুদ রয়েছেন।
গত ১৮ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ শাখা-৩ এক আদেশে পুলিশের ১২ জন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত আইজিপি, গ্রেড-২ পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এর আগে তাদের মধ্যে কেউ ডিআইজি ও কেউ অতিরিক্ত আইজিপির চলতি দায়িত্বে ছিলেন।
ওএসডির তালিকায় ১৩ জন ডিআইজি আছেন, তারা হলো- ডিআইজি মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, শাহমিজান শাফিউর রহমান, মোস্তাক আহমেদ খান, জিয়াদুল কবির, মঈনুল হক, ইলিয়াছ শরীফ, নূরে আলম মিনা, জাকির হোসেন, শাহ আবিদ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ নূরুল ইসলাম, মো. মনিরুজ্জামান।
এইভাবে ৬১ জন অতিরিক্ত ডিআইজি ৭ জন, এসপি রয়েছে। এছাড়াও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ৫৪ জনকে সংযুক্ত করে করা হয়েছে।
ওএসডিতে থাকা একজন অফিসার সংবাদকে ফোনে জানান, ‘কী কারণে ওএসডি করছে জানি না। তবে এখন কাজ নেই। গাড়ি নেই। অলস সময় কাটচ্ছি। হাজিরা দিয়ে বাসায় থাকি। আর দোষ কী তাও জানি না। ওই সময় যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করছি।’
পুলিশের এক সূত্র জানায়, পুলিশের মধ্যে এখনও কিছুটা অস্থিরতা চলছে। একজন অন্যজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আওয়ামীলীগ আমলে জেলা ও বিভাগে কোনো দায়িত্ব পালন না করলেও এখন তাদের অনেকের বিরুদ্ধে গত আমলের বিভিন্ন সুবিধা নেয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। অনেকের নামে প্রায়ই তালিকা তৈরি হচ্ছে। এ নিয়ে কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছে।
একজন অতিরিক্ত ডিআইজি সংবাদকে বলেন, পুলিশের অফিসারসহ ২ লাখের বেশি কর্মকর্তা ও সদস্য রয়েছে। তার মধ্যে সাবেক ডিবি কর্মকর্তা হারুনসহ প্রায় ‘৫০জন দলবাজ’ পুলিশ কর্মকর্তার জন্য এখন পুরো বাহিনী প্রশ্নবিদ্ধ।
এই অবস্থা কেটে উঠতে আরও সময় লাগবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ সদরদপ্তর কাজ করছে। এখনও মাঠ পর্যায়ে পুরো স্বাভাবিক হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
একজন অফিসার সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদকে বলেন, এখনও একজন অন্যজনকে দলবাজ বানাতে মিথ্যা তালিকা তৈরি করে ভিন্ন দপ্তরে জমা দিচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে কর্মস্থলে। আর অনেকেই এখনও রাতারাতি নব্য দলবাজ হয়ে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে।
অন্য সূত্রও জানায়, সাজা প্রাপ্তদের মধ্যে কেউ রাতের ভোটের সময় বিভিন্ন জেলা ও বিভাগ মেট্রোপলিটনে দায়িত্ব পালন করেছেন। অনেককে রাতের ভোটের কারিগরও বলা হয়েছে। এই জন্য বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আবার কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। আবার কাউকে হত্যা ও ট্রাইবুনালের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন সাবেক আইজিপিও আছেন।