ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজ নিয়ে ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ গঠনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা সরকারের ‘মেনে নেয়া’ ছয় দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা সোমবার, (১৯ মে ২০২৫) তিতুমীর কলেজের ছাত্র সংসদের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা দাবি জানান। ‘তিতুমীর ঐক্য’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠা করেন ঐক্যের উপদেষ্টা সদস্য আলী আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন, নায়েক নূর মোহাম্মদ, রায়হান, তাবাসসুম সুরাইয়া প্রমুখ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় হাজারো ছাত্র-জনতার জীবন ও রক্তের বিনিময়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছিল। যেখানে তিতুমীর কলেজের শহীদ মামুন জীবন দিয়েছেন। তার আত্মত্যাগের বিনিময়ে গঠিত সরকারের কাছেই তারা কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি নতুন করে উপস্থাপন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে ৯৪ পৃষ্ঠার একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। এতে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের যৌক্তিকতা এবং জাতীয় শিক্ষা খাতে এর সম্ভাব্য ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরা হয়। যদিও প্রতিবেদনটি গ্রহণ করা হয়েছিল, পরে সেটি হারিয়ে গেছে বলে জানানো হয়, যা শিক্ষার্থীদের মতে শিশুসুলভ ও দায়িত্বহীন আচরণ।
পরে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর একটি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট যাচাই কমিটি গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি দাবি করে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২৯ ডিসেম্বর তিতুমীর কলেজসহ বাকি ছয় কলেজকে একত্র করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়, যা শিক্ষার্থীরা প্রহসন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান- রাষ্ট্রের প্রতি সম্মান রেখে এই নতুন কমিটিতেও তারা অংশগ্রহণ করেন এবং ৯ জানুয়ারি ইউজিসিতে ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যুক্তিসহ দাবিগুলো উপস্থাপন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩ ফেব্রুয়ারি সাত দফার ছয়টি দাবি মেনে নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি।
শিক্ষার্থীদের দাবি- তাদের দাবিকে উপেক্ষা করে ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামক একটি বিকল্প প্রস্তাব চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। ‘রাষ্ট্র ও শিক্ষা সিন্ডিকেটের প্রেসক্রিপশন’ এই প্রস্তাব করা হয়েছে দাবি করে তারা এটিকে প্রত্যাখ্যান করেন। সরকার কর্তৃক ‘মেনে নেয়া’ ছয় দফা দাবি হলো- সরকারি তিতুমীর কলেজের জন্য স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামো গঠন করে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা; স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি বরাদ্দ দেয়া; আবাসন সংকট নিরসন; শিক্ষক সংকট সমাধান; আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার ও গ্রন্থাগার নির্মাণ ও সহশিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা।
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজ নিয়ে ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ গঠনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা সরকারের ‘মেনে নেয়া’ ছয় দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা সোমবার, (১৯ মে ২০২৫) তিতুমীর কলেজের ছাত্র সংসদের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা দাবি জানান। ‘তিতুমীর ঐক্য’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠা করেন ঐক্যের উপদেষ্টা সদস্য আলী আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন, নায়েক নূর মোহাম্মদ, রায়হান, তাবাসসুম সুরাইয়া প্রমুখ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় হাজারো ছাত্র-জনতার জীবন ও রক্তের বিনিময়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছিল। যেখানে তিতুমীর কলেজের শহীদ মামুন জীবন দিয়েছেন। তার আত্মত্যাগের বিনিময়ে গঠিত সরকারের কাছেই তারা কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি নতুন করে উপস্থাপন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে ৯৪ পৃষ্ঠার একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। এতে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের যৌক্তিকতা এবং জাতীয় শিক্ষা খাতে এর সম্ভাব্য ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরা হয়। যদিও প্রতিবেদনটি গ্রহণ করা হয়েছিল, পরে সেটি হারিয়ে গেছে বলে জানানো হয়, যা শিক্ষার্থীদের মতে শিশুসুলভ ও দায়িত্বহীন আচরণ।
পরে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর একটি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট যাচাই কমিটি গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি দাবি করে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২৯ ডিসেম্বর তিতুমীর কলেজসহ বাকি ছয় কলেজকে একত্র করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়, যা শিক্ষার্থীরা প্রহসন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান- রাষ্ট্রের প্রতি সম্মান রেখে এই নতুন কমিটিতেও তারা অংশগ্রহণ করেন এবং ৯ জানুয়ারি ইউজিসিতে ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যুক্তিসহ দাবিগুলো উপস্থাপন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩ ফেব্রুয়ারি সাত দফার ছয়টি দাবি মেনে নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি।
শিক্ষার্থীদের দাবি- তাদের দাবিকে উপেক্ষা করে ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামক একটি বিকল্প প্রস্তাব চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। ‘রাষ্ট্র ও শিক্ষা সিন্ডিকেটের প্রেসক্রিপশন’ এই প্রস্তাব করা হয়েছে দাবি করে তারা এটিকে প্রত্যাখ্যান করেন। সরকার কর্তৃক ‘মেনে নেয়া’ ছয় দফা দাবি হলো- সরকারি তিতুমীর কলেজের জন্য স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামো গঠন করে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা; স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি বরাদ্দ দেয়া; আবাসন সংকট নিরসন; শিক্ষক সংকট সমাধান; আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার ও গ্রন্থাগার নির্মাণ ও সহশিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা।