alt

জাতীয়

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দায়ের করা মামলায় এবার গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

এর আগে একই মামলায় রোববার (২২ জুন) গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে। জনতা কর্তৃক গ্রেপ্তারপূর্ব অপদস্থ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরদিন আদালত তাকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠায়।

ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী নির্বাচন কমিশনগুলোর সদস্য এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, “জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দীর্ঘ সময় ধরে দখলে রাখায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হয়েছে।”

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক জোটগুলোর বর্জনের পর আওয়ামী লীগ শরিক ও নিবন্ধিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে আসন ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনের বৈধতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। তবে ভোটারশূন্য এবং মূলত বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ নির্বাচন ‘আমি আর ডামি’ বলে পরিচিতি পায়।

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সদস্য ছিলেন: কমিশনে চার নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান।

বিএনপির মামলায় এই কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।

দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আংশিক বাতিল করে হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পথ উন্মুক্ত করে দেয়।

রায়ে উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে “আবশ্যকীয় অবাধ ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি” এবং “জনগণের আস্থা বিনষ্ট হয়েছে।”

ছবি

জুনেই ডেঙ্গুতে ১৩ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি রোগী বাড়ছেই

ছবি

“নিরাময় কেন্দ্রে সমাধান নয়, গডফাদার ধরতে হবে”—জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

ছবি

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে সামরিক ও গোয়েন্দার ‘নিষ্ক্রিয়তা’ এবং ‘অবহেলাই’ দায়ী: তদন্ত কমিশন

ছবি

আলোচনার মধ্য দিয়ে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব: আলী রীয়াজ

ডেঙ্গু: অ্যান্টিবায়োটিকের দরকার নেই

আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো মামলায় অভিযোগ দাখিল ২ জুলাই

করোনা: আরও ২১ জন আক্রান্ত

ছবি

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে রকমারি আবাদে স্বাবলম্বী অমল

ছবি

মৃত আরিফুলের মরদেহ ফিরলো ১৬ দিন পর

ছবি

বেনাপোল বন্দর: স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না ভারতীয় ট্রাকচালকের অনেকেই

টিউলিপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা উদ্দেশ্য-প্রণোদিত নয়: দুদক চেয়ারম্যান

আইএমএফের দুই কিস্তির ১৩০ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ

ছবি

এনবিআর কর্মকর্তাদের কলম বিরতি চলবে বুধবার-বৃহস্পতিবার

নূরুল হুদাকে ‘হেনস্তায়’ গ্রেপ্তার ১, ‘মব’ প্রশ্রয় দেয়া হবে না, ডিএমপি কমিশনার

দেশীয়ভাবে নির্ধারণ করা হবে মুদ্রার মান : গভর্নর

শ্রেণীকক্ষে ফিরছেন না ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা

নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত, সঙ্গে দাঁড়িপাল্লা

জুলাই যোদ্ধারা আগামী মাস থেকে ভাতা পাবেন: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

৩০ নাগরিকের বিবৃতি: সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় মানবাধিকারের অঙ্গীকার লঙ্ঘিত হচ্ছে

ছবি

নূরুল হুদার বিরুদ্ধে দুই অভিযোগের অনুসন্ধানে দুদক

ছবি

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ‘শান্তি’র নাটক

ছবি

দেশে ৫ বছরে লেবুজাতীয় ফসলের ‘আবাদ’ বেড়েছে ৪০ শতাংশ ও উৎপাদন ২৫ শতাংশ

ছবি

সক্রিয় মৌসুমি বায়ু, বৃষ্টি বাড়ার আভাস

ছবি

অর্থবছরের শেষ একনেক সভা, ১৫টি প্রকল্প অনুমোদনের প্রস্তাব

ছবি

গুম কমিশনের মেয়াদ বাড়ল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

ছবি

বাজারভিত্তিক বিনিময় হারে সম্মতির পর ছাড় হচ্ছে আইএমএফের চতুর্থ-পঞ্চম কিস্তি

খোলা ড্রেনে পড়ে শিশুর মৃত্যু: ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল

এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মিলবে সব নাগরিক সেবা: উপদেষ্টা

এক সপ্তাহে হালদা নদী থেকে চারটি মৃত মা মাছ উদ্ধার

ভোটার তালিকায় নাম উঠছে জুবাইদার

বিদেশে থাকা হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

মিসাইল সিস্টেমের মিলিটারি ড্রোন উদ্ভাবন, প্রশংসায় সিক্ত রাফি ও তার বন্ধুরা

আলিম পরীক্ষায় প্রবেশপত্রের জন্য বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগ

গেট খুলছে, তবে আন্দোলন থামেনি

আলোচনা ফলপ্রসূ: তবে ঢামেক শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার

ছবি

জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যের আত্মাহুতি, বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা

tab

জাতীয়

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দায়ের করা মামলায় এবার গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

এর আগে একই মামলায় রোববার (২২ জুন) গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে। জনতা কর্তৃক গ্রেপ্তারপূর্ব অপদস্থ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরদিন আদালত তাকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠায়।

ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী নির্বাচন কমিশনগুলোর সদস্য এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, “জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দীর্ঘ সময় ধরে দখলে রাখায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হয়েছে।”

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক জোটগুলোর বর্জনের পর আওয়ামী লীগ শরিক ও নিবন্ধিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে আসন ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনের বৈধতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। তবে ভোটারশূন্য এবং মূলত বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ নির্বাচন ‘আমি আর ডামি’ বলে পরিচিতি পায়।

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সদস্য ছিলেন: কমিশনে চার নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান।

বিএনপির মামলায় এই কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।

দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আংশিক বাতিল করে হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পথ উন্মুক্ত করে দেয়।

রায়ে উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে “আবশ্যকীয় অবাধ ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি” এবং “জনগণের আস্থা বিনষ্ট হয়েছে।”

back to top