ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ভারী বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানি বেড়ে দেশের পাঁচটি জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এই পাঁচ জেলা হলো- লালমনিরহাট, নীলফামারী, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা।
শুক্রবার,(০৩ অক্টোবর ২০২৫) কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের সকল প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের উড়িষ্যা-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে- গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে, উজানে ভারতে উল্লেখযোগ্য ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। ৪ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ৬ অক্টোবর সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের ভেতরে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলায় এবং সংলগ্ন উজানে ভারতের প্রদেশগুলোতে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর পানি সমতল গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে; ধরলা নদীর পানি সমতল হ্রাস পেলেও দুধকুমার নদের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। এসব নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় তিস্তা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
অন্যদিকে, ময়মনসিংহ বিভাগের সোমেশ্বরী ও ভুগাই নদীর পানি সমতল গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে; কংস নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। এসব নদীর পানিও আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় সোমেশ্বরী, ভুগাই-কংস নদী শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলায় সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং নদীসংলগ্ন নিম্নঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
এছাড়া রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের করতোয়া, যমুনেশ্বরী, পুনর্ভবা, টাঙ্গন নদীর পানি সমতল গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে; আত্রাই, আপার-আত্রাই, মহানন্দা ও ঘাঘট নদীর পানি হ্রাস পেয়েছে। এসব নদীর পানিও আগামী তিন দিন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোতে স্বাভাবিকের থেকে উঁচু জোয়ার হচ্ছে, যা আগামী একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এটি ভারতের ওডিশার সমুদ্রতট অতিক্রম করে ছত্তিশগড়ে অবস্থান করছে। তবে এটির প্রভাবে বাংলাদেশের তিন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর প্রভাবে রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহীতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, (গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা) পর্যন্ত বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আগামী তিন দিন সিলেট জেলা ও উজানের ভারতীয় অংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদী এবং দুধকুমার নদের পানি আগামী কয়েকদিন বৃদ্ধি পাবে জানিয়ে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নিম্নঞ্চল সাময়িক প্লাবিত হতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাব ও সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে গত মঙ্গলবার রাত থেকে ঢাকায় থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ সময় রাজধানীর বেশ কয়েকটি
এলাকা পানিতে তলিয়ে জনভোগান্তি দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৬৯ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে ফেনীতে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
ভারী বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানি বেড়ে দেশের পাঁচটি জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এই পাঁচ জেলা হলো- লালমনিরহাট, নীলফামারী, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা।
শুক্রবার,(০৩ অক্টোবর ২০২৫) কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের সকল প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের উড়িষ্যা-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে- গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে, উজানে ভারতে উল্লেখযোগ্য ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। ৪ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ৬ অক্টোবর সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের ভেতরে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলায় এবং সংলগ্ন উজানে ভারতের প্রদেশগুলোতে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর পানি সমতল গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে; ধরলা নদীর পানি সমতল হ্রাস পেলেও দুধকুমার নদের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। এসব নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় তিস্তা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
অন্যদিকে, ময়মনসিংহ বিভাগের সোমেশ্বরী ও ভুগাই নদীর পানি সমতল গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে; কংস নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। এসব নদীর পানিও আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় সোমেশ্বরী, ভুগাই-কংস নদী শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলায় সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং নদীসংলগ্ন নিম্নঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
এছাড়া রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের করতোয়া, যমুনেশ্বরী, পুনর্ভবা, টাঙ্গন নদীর পানি সমতল গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে; আত্রাই, আপার-আত্রাই, মহানন্দা ও ঘাঘট নদীর পানি হ্রাস পেয়েছে। এসব নদীর পানিও আগামী তিন দিন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোতে স্বাভাবিকের থেকে উঁচু জোয়ার হচ্ছে, যা আগামী একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এটি ভারতের ওডিশার সমুদ্রতট অতিক্রম করে ছত্তিশগড়ে অবস্থান করছে। তবে এটির প্রভাবে বাংলাদেশের তিন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর প্রভাবে রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহীতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, (গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা) পর্যন্ত বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আগামী তিন দিন সিলেট জেলা ও উজানের ভারতীয় অংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদী এবং দুধকুমার নদের পানি আগামী কয়েকদিন বৃদ্ধি পাবে জানিয়ে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নিম্নঞ্চল সাময়িক প্লাবিত হতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাব ও সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে গত মঙ্গলবার রাত থেকে ঢাকায় থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ সময় রাজধানীর বেশ কয়েকটি
এলাকা পানিতে তলিয়ে জনভোগান্তি দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৬৯ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে ফেনীতে।