ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ও তার বন্ধুকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় আদালত ঘটনার কারণ জানতে চাইলে আসামি দাবি করেন, মারধরের মতো ‘কোনো কিছু ঘটেনি’। রোববার,(১২ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমানের আদালতে এ কথা বলেন ‘স্বপ্ননিবাস হোস্টেলের’ পরিচালক রাজিয়া বেগম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের ওই শিক্ষার্থী ‘স্বপ্ননিবাস হোস্টেলে’ গিয়েছিলেন তেজগাঁও কলেজের এক ছাত্রীর অতিথি হিসেবে। ওই ছাত্রী ও তার বন্ধুকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগে রাজিয়ার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় মামলা হয়। এ মামলায় মঙ্গলবার রাতে তেজগাঁও কলেজের পাশের ‘স্বপ্ননিবাস হোস্টেল’ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন তাকে কারাগারে পাঠিয়ে জামিন শুনানির দিন গত বৃহস্পতিবার ধার্য করে আদালত। বৃহস্পতিবার আদালত আসামির উপস্থিতিতে শুনানির দিন রোববার ধার্য করেন। এদিন শুনানিকালে রাজিয়া বেগমকে আদালতে হাজির করা হয়। তারপক্ষে আইনজীবী রহিম মিয়া জামিন চেয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, যেসব ধারায় মামলা হয়েছে, তার মধ্যে হত্যা চেষ্টা এবং চুরির অভিযোগ জামিন অযোগ্য।
টাকা চুরির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ৮ হাজার টাকা চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ বাদি এজাহারে বলেছেন, তিনি ম্যানেজারকে ভাড়ার টাকা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ম্যানেজার বলছেন, তাকে টাকা সাধা হয়েছিল, কিন্তু তিনি নেননি। ম্যানেজার বলছেন, তাকে দিতে যাওয়া টাকা কেন তিনি চুরি করবেন? হত্যা চেষ্টার অভিযোগও সত্য নয়।
এরপর আদালত আসামির কাছে জানতে চান, হোস্টেলে অতিথি আনার অনুমতি রয়েছে কিনা। রাজিয়া বলেন, ‘আনা যায়, তবে থাকতে হলে অতিরিক্ত ৪০০ টাকা দিতে হয়। ওই ছাত্রী ২৭ সেপ্টেম্বর হোস্টেলে আসে, টাকা দেয়নি। বলে, পারিবারিক সমস্যা আছে।’
আদালত জানতে চায়, অতিথিকে বের করে দেয়া হয়েছিল? রাজিয়া বলেন, ‘না। তিনি নিজে বের হতে চেয়েছিলেন। মেয়ে মানুষ তো, নিরাপত্তার কারণে যেতে দিইনি। সে ফোন দিয়ে ছেলে পেলে নিয়ে আসে।’ এরপর বিচারক জানতে চান, ‘মারলেন কেন?’ রাজিয়া বলেন, ‘মারিনি। কোনো ধরনের কোনো কিছু হয়নি।’
এরপর রাজিয়ার আইনজীবী রহিম মিয়া বলেন, ‘জেন-জিদের আলাদা একটা প্রভাব থাকে। দেখবেন নারী আইনজীবীদের, নারী কর্মীদের প্রভাবটা একটু বেশিই। এখানে বিষয়টা এমন হয়েছে।’ শুনানি নিয়ে আদালত এক হাজার টাকা মুচলেকায় আগাম ধার্য তারিখ পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে জানান রাজিয়ার আরেক আইনজীবী শর্মিলা শর্মা।
তিনি বলেন, ‘আমরা জামিননামা দাখিল করবো। আশা করছি, আগামীকাল রাজিয়া কারামুক্ত হবেন।’ মামলায় অভিযোগ করা হয়, ‘স্বপ্ননিবাস হোস্টেলে’ অতিথি থাকলে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে, এ বিষয়টি হোস্টেলটিতে থাকা তেজগাঁও কলেজ ছাত্রীকে জানানো হয়নি। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তার বন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী গেলে ভাড়া বাবদ ৪০০ টাকা দাবি করা হয়। এ নিয়ে হোস্টেলটির পরিচালক রাজিয়ার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। ফোন পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ভাই তাকে আনতে গেলে ওই ছাত্রীকে আটকে রাখা হয়। তখন ফের বিতণ্ডার একপর্যায়ে দুই ছাত্রীকে মারধর করা হয়, ছিনিয়ে নেয়া হয় ৮ হাজার টাকা।
রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ও তার বন্ধুকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় আদালত ঘটনার কারণ জানতে চাইলে আসামি দাবি করেন, মারধরের মতো ‘কোনো কিছু ঘটেনি’। রোববার,(১২ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমানের আদালতে এ কথা বলেন ‘স্বপ্ননিবাস হোস্টেলের’ পরিচালক রাজিয়া বেগম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের ওই শিক্ষার্থী ‘স্বপ্ননিবাস হোস্টেলে’ গিয়েছিলেন তেজগাঁও কলেজের এক ছাত্রীর অতিথি হিসেবে। ওই ছাত্রী ও তার বন্ধুকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগে রাজিয়ার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় মামলা হয়। এ মামলায় মঙ্গলবার রাতে তেজগাঁও কলেজের পাশের ‘স্বপ্ননিবাস হোস্টেল’ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন তাকে কারাগারে পাঠিয়ে জামিন শুনানির দিন গত বৃহস্পতিবার ধার্য করে আদালত। বৃহস্পতিবার আদালত আসামির উপস্থিতিতে শুনানির দিন রোববার ধার্য করেন। এদিন শুনানিকালে রাজিয়া বেগমকে আদালতে হাজির করা হয়। তারপক্ষে আইনজীবী রহিম মিয়া জামিন চেয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, যেসব ধারায় মামলা হয়েছে, তার মধ্যে হত্যা চেষ্টা এবং চুরির অভিযোগ জামিন অযোগ্য।
টাকা চুরির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ৮ হাজার টাকা চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ বাদি এজাহারে বলেছেন, তিনি ম্যানেজারকে ভাড়ার টাকা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ম্যানেজার বলছেন, তাকে টাকা সাধা হয়েছিল, কিন্তু তিনি নেননি। ম্যানেজার বলছেন, তাকে দিতে যাওয়া টাকা কেন তিনি চুরি করবেন? হত্যা চেষ্টার অভিযোগও সত্য নয়।
এরপর আদালত আসামির কাছে জানতে চান, হোস্টেলে অতিথি আনার অনুমতি রয়েছে কিনা। রাজিয়া বলেন, ‘আনা যায়, তবে থাকতে হলে অতিরিক্ত ৪০০ টাকা দিতে হয়। ওই ছাত্রী ২৭ সেপ্টেম্বর হোস্টেলে আসে, টাকা দেয়নি। বলে, পারিবারিক সমস্যা আছে।’
আদালত জানতে চায়, অতিথিকে বের করে দেয়া হয়েছিল? রাজিয়া বলেন, ‘না। তিনি নিজে বের হতে চেয়েছিলেন। মেয়ে মানুষ তো, নিরাপত্তার কারণে যেতে দিইনি। সে ফোন দিয়ে ছেলে পেলে নিয়ে আসে।’ এরপর বিচারক জানতে চান, ‘মারলেন কেন?’ রাজিয়া বলেন, ‘মারিনি। কোনো ধরনের কোনো কিছু হয়নি।’
এরপর রাজিয়ার আইনজীবী রহিম মিয়া বলেন, ‘জেন-জিদের আলাদা একটা প্রভাব থাকে। দেখবেন নারী আইনজীবীদের, নারী কর্মীদের প্রভাবটা একটু বেশিই। এখানে বিষয়টা এমন হয়েছে।’ শুনানি নিয়ে আদালত এক হাজার টাকা মুচলেকায় আগাম ধার্য তারিখ পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে জানান রাজিয়ার আরেক আইনজীবী শর্মিলা শর্মা।
তিনি বলেন, ‘আমরা জামিননামা দাখিল করবো। আশা করছি, আগামীকাল রাজিয়া কারামুক্ত হবেন।’ মামলায় অভিযোগ করা হয়, ‘স্বপ্ননিবাস হোস্টেলে’ অতিথি থাকলে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে, এ বিষয়টি হোস্টেলটিতে থাকা তেজগাঁও কলেজ ছাত্রীকে জানানো হয়নি। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তার বন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী গেলে ভাড়া বাবদ ৪০০ টাকা দাবি করা হয়। এ নিয়ে হোস্টেলটির পরিচালক রাজিয়ার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। ফোন পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ভাই তাকে আনতে গেলে ওই ছাত্রীকে আটকে রাখা হয়। তখন ফের বিতণ্ডার একপর্যায়ে দুই ছাত্রীকে মারধর করা হয়, ছিনিয়ে নেয়া হয় ৮ হাজার টাকা।