ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে নভেম্বরেই গণভোট করার পক্ষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট হলে ‘তেমন সাড়া পাওয়া যাবে না’। আবার জাতীয় নির্বাচনে ‘ঝামেলা হলে’ গণভোটও ‘অনিশ্চিত হয়ে যাবে’। এই প্রেক্ষিতে ইসি বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার গণভোট করার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশনের তা বাস্তবায়ন করতে সমস্যা হবে না।
সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট হলে দেখা যাবে গ্রামের সাধারণ ভোটাররা ধানের শীষ বা দাঁড়ি পাল্লায় ভোট দিয়ে গণভোটের ব্যালটটা পকেটে নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে: আবদুল্লাহ মো. তাহের
সোমবার,(১৩ অক্টোবর ২০২৫) বিকেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে জামায়াতের এই নেতা এসব কথা বলেন।
ওইদিন দুপুরে কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনসহ চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন- এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, জসিম উদ্দিন সরকার ও মতিউর রহমান আকন্দ।
প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠকের পর বিকেলে সাংবাদিকদের সামনে আসেন জামায়াতের নায়েবে আমির। তিনি জানান, বৈঠকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট প্রক্রিয়া, ভোটার তালিকা ও এনআইডি, পিআর পদ্ধতি, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গণভোট আয়োজন নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।
আগামী বছর রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। এরইমধ্যে জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে দলগুলো সম্মতি দিয়েছে। কিন্তু সেই গণভোট কবে হবে, তা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজন করা হোক। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচনের দিনেই আলাদা ব্যালটে গণভোট আয়োজনের কথা বলছে বিএনপিসহ কয়েকটি দল। এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার,(১৩ অক্টোবর ২০২৫) ইসির সঙ্গে বৈঠক করলো জামায়াত।
ব্রিফিংয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘আমরা অবশ্যই গণভোট (সংসদ নির্বাচনের) আগে চাচ্ছি; আমরা নভেম্বরে গণভোট করার জন্য বলে আসছি। আমাদের অতীতে অনেক গণভোট হয়েছে এবং সেখানে দেখা গেছে যে, ২১ দিনের ব্যবধানেও গণভোট হয়েছে, ১০ দিনেও হয়েছে, ১৭ দিনেও হয়েছে।’
যদি ঝামেলা হয়ে যায়
তিনি বলেন, ‘আমাদের কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচন করতে গিয়ে যদি ঝামেলা হয়ে যায়, তাহলে গণভোট আবার অনিশ্চিত হয়ে যাবে। তো এই নির্বাচনে যদি ঝামেলা হয়, তাহলে আম-ছালা দুটোই যাবে। এজন্য আমরা মনে করি, একটা সহজতর নির্বাচন (গণভোট), যাতে আমরা এখানে অভিজ্ঞতা নিতে পারি। এক্সপেরিমেন্ট নিতে পারি যে, কীভাবে পুলিশ সহযোগিতা করে।’
তিনি বলেন, ‘গণভোট তো খুবই সাধারণ একটা নির্বাচন। এখানে খুব বড় ধরনের কোনো খরচ নাই। যে বাক্স আপনি সংসদ নির্বাচনের জন্য কিনবেন, ওই বাক্স দিয়েই গণভোট করা যাবে। শুধু খরচ বাড়তি হচ্ছে একটা ব্যালট ও কালি। এছাড়া যারা ইনভলভ হবেন, তাদের ভাড়া-টারা ও খাওয়ার জন্য কিছু লাগবে। এর বাইরে তেমন কোনো খরচ নাই।’
সাড়া পাওয়া যাবে না
সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট হলে তেমন সাড়া পাওয়া যাবে না দাবি করে জামায়াতের নায়েবে আমির তাহের বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে সব দল ব্যস্ত থাকবে। নির্বাচনের কনসার্ন থাকবে সবাই। দেখা যাবে গ্রামের সাধারণ ভোটাররা ধানের শীষ বা দাঁড়ি পাল্লায় ভোট দিয়ে ওই কাগজটা (গণভোটের) পকেটে নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে। কারণ তাকে আরেকটা ভোট দেয়ার চাপাচাপিটা কে করবে? আমি তো ততক্ষণ আরেকটা ভোটের জন্য দৌঁড়াবো। সে কারণে যেটা বলা হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচন আর গণভোট আলাদা করতে হবে।’
গণভোটের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা বাস্তবায়ন করার বিষয়ে ইসি আশ্বস্ত করেছে বলে জানান আবদুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেন, ‘ইসি আমাদের জানিয়েছে, সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তারা এটা বাস্তবায়ন করবেন। সেখানে ইসির কোনো সমস্যা হবে না।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে নভেম্বরেই গণভোট করার পক্ষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট হলে ‘তেমন সাড়া পাওয়া যাবে না’। আবার জাতীয় নির্বাচনে ‘ঝামেলা হলে’ গণভোটও ‘অনিশ্চিত হয়ে যাবে’। এই প্রেক্ষিতে ইসি বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার গণভোট করার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশনের তা বাস্তবায়ন করতে সমস্যা হবে না।
সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট হলে দেখা যাবে গ্রামের সাধারণ ভোটাররা ধানের শীষ বা দাঁড়ি পাল্লায় ভোট দিয়ে গণভোটের ব্যালটটা পকেটে নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে: আবদুল্লাহ মো. তাহের
সোমবার,(১৩ অক্টোবর ২০২৫) বিকেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে জামায়াতের এই নেতা এসব কথা বলেন।
ওইদিন দুপুরে কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনসহ চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন- এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, জসিম উদ্দিন সরকার ও মতিউর রহমান আকন্দ।
প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠকের পর বিকেলে সাংবাদিকদের সামনে আসেন জামায়াতের নায়েবে আমির। তিনি জানান, বৈঠকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট প্রক্রিয়া, ভোটার তালিকা ও এনআইডি, পিআর পদ্ধতি, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গণভোট আয়োজন নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।
আগামী বছর রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। এরইমধ্যে জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে দলগুলো সম্মতি দিয়েছে। কিন্তু সেই গণভোট কবে হবে, তা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজন করা হোক। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচনের দিনেই আলাদা ব্যালটে গণভোট আয়োজনের কথা বলছে বিএনপিসহ কয়েকটি দল। এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার,(১৩ অক্টোবর ২০২৫) ইসির সঙ্গে বৈঠক করলো জামায়াত।
ব্রিফিংয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘আমরা অবশ্যই গণভোট (সংসদ নির্বাচনের) আগে চাচ্ছি; আমরা নভেম্বরে গণভোট করার জন্য বলে আসছি। আমাদের অতীতে অনেক গণভোট হয়েছে এবং সেখানে দেখা গেছে যে, ২১ দিনের ব্যবধানেও গণভোট হয়েছে, ১০ দিনেও হয়েছে, ১৭ দিনেও হয়েছে।’
যদি ঝামেলা হয়ে যায়
তিনি বলেন, ‘আমাদের কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচন করতে গিয়ে যদি ঝামেলা হয়ে যায়, তাহলে গণভোট আবার অনিশ্চিত হয়ে যাবে। তো এই নির্বাচনে যদি ঝামেলা হয়, তাহলে আম-ছালা দুটোই যাবে। এজন্য আমরা মনে করি, একটা সহজতর নির্বাচন (গণভোট), যাতে আমরা এখানে অভিজ্ঞতা নিতে পারি। এক্সপেরিমেন্ট নিতে পারি যে, কীভাবে পুলিশ সহযোগিতা করে।’
তিনি বলেন, ‘গণভোট তো খুবই সাধারণ একটা নির্বাচন। এখানে খুব বড় ধরনের কোনো খরচ নাই। যে বাক্স আপনি সংসদ নির্বাচনের জন্য কিনবেন, ওই বাক্স দিয়েই গণভোট করা যাবে। শুধু খরচ বাড়তি হচ্ছে একটা ব্যালট ও কালি। এছাড়া যারা ইনভলভ হবেন, তাদের ভাড়া-টারা ও খাওয়ার জন্য কিছু লাগবে। এর বাইরে তেমন কোনো খরচ নাই।’
সাড়া পাওয়া যাবে না
সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট হলে তেমন সাড়া পাওয়া যাবে না দাবি করে জামায়াতের নায়েবে আমির তাহের বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে সব দল ব্যস্ত থাকবে। নির্বাচনের কনসার্ন থাকবে সবাই। দেখা যাবে গ্রামের সাধারণ ভোটাররা ধানের শীষ বা দাঁড়ি পাল্লায় ভোট দিয়ে ওই কাগজটা (গণভোটের) পকেটে নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে। কারণ তাকে আরেকটা ভোট দেয়ার চাপাচাপিটা কে করবে? আমি তো ততক্ষণ আরেকটা ভোটের জন্য দৌঁড়াবো। সে কারণে যেটা বলা হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচন আর গণভোট আলাদা করতে হবে।’
গণভোটের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা বাস্তবায়ন করার বিষয়ে ইসি আশ্বস্ত করেছে বলে জানান আবদুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেন, ‘ইসি আমাদের জানিয়েছে, সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তারা এটা বাস্তবায়ন করবেন। সেখানে ইসির কোনো সমস্যা হবে না।’