ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই একসঙ্গে গণভোট হবে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার,(১৩ নভেম্বর ২০২৫) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ওই আদেশে সই করেন বলে তার দপ্তর থেকে জানানো হয়। এরপর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তা গেজেট আকারে প্রকাশ করে।
এর আগে একই দিনে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ঢাকার তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ অনুমোদন দেওয়া হয়।
দীর্ঘ এক বছরের আলোচনা, সংলাপ ও তর্কবিতর্কের পর রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগগুলো নিয়ে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করা হয়, যা সই হয় গত ১৭ অক্টোবর। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, তা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধের কারণে ৩১ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য পরিষদ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশমালা জমা দেয়।
এরপর জুলাই সনদ থেকে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দেয়া ও গণভোটের সময় নিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দেয়।
এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার দলগুলোকে মতবিরোধ কাটিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে এক সপ্তাহ সময় বেধে দেয়। সে সময় গত সোমবার শেষ হওয়ার পর সরকারের ওপর সিদ্ধান্ত দেয়ার দায়িত্ব বর্তায়। অবশেষে বৃহস্পতিবার সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত এলো। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন।
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-এ ‘জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গণভোট’ বিষয়ে বলা হয়েছে- জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই আদেশ এবং জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হবে।
গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নও গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গেজেটে বলা হয়, ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোট দেবেন। আদেশে বলা হয়, এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি রেখে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক প্রচার অভিযান শুরু করেছে। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ইসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে বলে কথা রয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই একসঙ্গে গণভোট হবে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার,(১৩ নভেম্বর ২০২৫) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ওই আদেশে সই করেন বলে তার দপ্তর থেকে জানানো হয়। এরপর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তা গেজেট আকারে প্রকাশ করে।
এর আগে একই দিনে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ঢাকার তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ অনুমোদন দেওয়া হয়।
দীর্ঘ এক বছরের আলোচনা, সংলাপ ও তর্কবিতর্কের পর রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগগুলো নিয়ে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করা হয়, যা সই হয় গত ১৭ অক্টোবর। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, তা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধের কারণে ৩১ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য পরিষদ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশমালা জমা দেয়।
এরপর জুলাই সনদ থেকে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দেয়া ও গণভোটের সময় নিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দেয়।
এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার দলগুলোকে মতবিরোধ কাটিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে এক সপ্তাহ সময় বেধে দেয়। সে সময় গত সোমবার শেষ হওয়ার পর সরকারের ওপর সিদ্ধান্ত দেয়ার দায়িত্ব বর্তায়। অবশেষে বৃহস্পতিবার সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত এলো। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন।
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-এ ‘জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গণভোট’ বিষয়ে বলা হয়েছে- জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই আদেশ এবং জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হবে।
গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নও গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গেজেটে বলা হয়, ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোট দেবেন। আদেশে বলা হয়, এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি রেখে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক প্রচার অভিযান শুরু করেছে। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ইসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে বলে কথা রয়েছে।