নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির মামলায় আকাশ টিভির ‘সাংবাদিক’ আকাশ নিবিড়ের রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে তাকে জেলগেইটে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার, (০৩ ডিসেম্বর ২০২৫) এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা। আদালতে উপস্থিত হয়ে তনি বলেছেন, তিনি ‘নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন’।
সাইবার সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে গত ২১ নভেম্বর আকাশসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় এ মামলা করেন তনি। বাকি দুই আসামি হলেন- মহয়া খাতুন ওরফে মৌ সুলতানা এবং তানিয়া। গত ২৬ নভেম্বর ১১টার দিকে মগবাজারের মধুবাগ রোড থেকে আকাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত ২৯ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই এমদাদুল হক আকাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, ‘প্রাথমিক তদন্তে ও অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণসহ সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে। এ আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এ আসামিসহ মামলার অন্যান্য এজাহার নামীয় আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ সাইবার অপরাধ চক্রের সদস্য বলে জানা যায়।
‘আকাশ নিবিড়সহ অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে অভ্যাসগত ভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয়ভাবে জনশ্রুতি রয়েছে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার পেশা সম্পর্কে কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে নাই। তার সঠিক নাম ঠিকানা এবং পিসি/পিআর যাচাই বাছাই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও সাইবার সম্পর্কিত তথ্য প্রমাণ সংগ্রহসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আদালত আসামির উপস্থিতিতে শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন। শুনানিকালে নিবিড়ের আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট জামাল উদ্দিন মারজান রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, ‘সঠিকভাবে তদন্ত করে, ঘটনার সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা জানাসহ গ্রেপ্তারের জন্য রিমান্ডের প্রয়োজন।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী শামীম মিয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন তনি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির মামলায় আকাশ টিভির ‘সাংবাদিক’ আকাশ নিবিড়ের রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে তাকে জেলগেইটে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার, (০৩ ডিসেম্বর ২০২৫) এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা। আদালতে উপস্থিত হয়ে তনি বলেছেন, তিনি ‘নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন’।
সাইবার সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে গত ২১ নভেম্বর আকাশসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় এ মামলা করেন তনি। বাকি দুই আসামি হলেন- মহয়া খাতুন ওরফে মৌ সুলতানা এবং তানিয়া। গত ২৬ নভেম্বর ১১টার দিকে মগবাজারের মধুবাগ রোড থেকে আকাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত ২৯ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই এমদাদুল হক আকাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, ‘প্রাথমিক তদন্তে ও অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণসহ সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে। এ আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এ আসামিসহ মামলার অন্যান্য এজাহার নামীয় আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ সাইবার অপরাধ চক্রের সদস্য বলে জানা যায়।
‘আকাশ নিবিড়সহ অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে অভ্যাসগত ভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয়ভাবে জনশ্রুতি রয়েছে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার পেশা সম্পর্কে কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে নাই। তার সঠিক নাম ঠিকানা এবং পিসি/পিআর যাচাই বাছাই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও সাইবার সম্পর্কিত তথ্য প্রমাণ সংগ্রহসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আদালত আসামির উপস্থিতিতে শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন। শুনানিকালে নিবিড়ের আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট জামাল উদ্দিন মারজান রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, ‘সঠিকভাবে তদন্ত করে, ঘটনার সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা জানাসহ গ্রেপ্তারের জন্য রিমান্ডের প্রয়োজন।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী শামীম মিয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন তনি।