গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) ঘোষণা করেছে সরকার। এ ঘোষণার পর তার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। তবে এই সুবিধা তার পরিবারের অন্য কোনো সদস্য পাবেন না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ তথ্য জানান।

ভিভিআইপি সুবিধায় কেবল খালেদা জিয়াই অন্তর্ভুক্ত

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, গত মঙ্গলবার খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণা করে সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। “সে (গেজেট) অনুযায়ী খালেদা জিয়া সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্যান্য সদস্য এই সুবিধা পাবেন না।”

লন্ডনে থাকা তার ছেলে তারেক রহমান দেশে ফিরলে তিনিও কি এসএসএফ সুবিধা পাবেন—এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা জানান, “জিয়া পরিবারের অন্য কেউ এসএসএফ সুবিধার আওতায় আসবেন না।”

উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার প্রস্তুতি

এদিকে টানা এগার দিন ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর তাকে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে বলে নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “পরিবার চাইলে তাকে বিদেশে নিতে সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। সরকার সহযোগিতা করছে, বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।”

তারেক রহমানের দেশে ফেরা—গুঞ্জন ও সরকারি অবস্থান

মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় লন্ডনে থাকা তারেক রহমানের দেশে ফেরার আলোচনা নতুন করে তীব্র হয়েছে। তারেকের দেশে ফেরা মানে দেড় যুগের নির্বাসনের ইতি—এমন আলোচনা চলছিল রাজনীতির অঙ্গনে।

তবে শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান বলেন, দেশে ফেরা তার ‘একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়’। তার এ বক্তব্যের পর সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়—তার দেশে ফেরায় কোনো বাধা নেই। বরং তিনি চাইলে সরকার সহযোগিতা করবে।

ট্রাভেল পাস আবেদন এখনো করা হয়নি

তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে ট্রাভেল পাস ইস্যু করবে কি না—এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “উনি চাইলে ট্রাভেল পাস ইস্যু হবে।” তবে এখন পর্যন্ত তিনি আবেদন করেননি বলেও জানান তিনি।