হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফকে দায়িত্ব দেয়া হলেও এ সুবিধা তার পরিবারের অন্য কেউ পাবেন না বলে জানিয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বৃহস্পতিবার, (০৪ ডিসেম্বর ২০২৫) প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানাতে এসে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণার পর তার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স)। ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেয়ার বিষয়ে গত মঙ্গলবার গেজেট হয়েছে। এরপর থেকে লন্ডনে অবস্থান করা তার ছেলে তারেক রহমান দেশে এলে তার নিরাপত্তায় এসএসএফ দেয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে।
বৃহস্পতিবার, এ বিষয়ক প্রশ্নে পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, ‘সে (গেজেট) অনুযায়ী খালেদা জিয়া সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্যান্য সদস্য এই সুবিধা পাবেন না।’
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে ‘তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে’ বলে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে সরকার সহযোগিতা করছে, বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেয়া হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন এ দফায় গত ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হয়। তার অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটময়’ বলে তুলে ধরেছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মায়ের পাশে থাকতে লন্ডন থেকে তার ছেলে তারেক রহমানের দেশে ফেরার কথা আবার আলোচনায় আসে। এমন আলোচনার মধ্যে গত শনিবার এক ফেইসবুক পোস্টে নিজের দেশে ফেরার বিষয়ে মুখ খুলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, দেশে ফেরার বিষয়টি তার ‘একক নিয়ন্ত্রণাধীন’ নয়।
তার এমন বক্তব্যের পর সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই। তিনি দেশে ফিরতে চাইলে সহযোগিতার আশ্বাসও আসে একাধিক উপদেষ্টার কণ্ঠে। এরপর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে ফেইসবুকে একাধিকবার তার রওনা দেয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, এখনও তিনি ট্রাভেল পাস চাননি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফকে দায়িত্ব দেয়া হলেও এ সুবিধা তার পরিবারের অন্য কেউ পাবেন না বলে জানিয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বৃহস্পতিবার, (০৪ ডিসেম্বর ২০২৫) প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানাতে এসে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণার পর তার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স)। ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেয়ার বিষয়ে গত মঙ্গলবার গেজেট হয়েছে। এরপর থেকে লন্ডনে অবস্থান করা তার ছেলে তারেক রহমান দেশে এলে তার নিরাপত্তায় এসএসএফ দেয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে।
বৃহস্পতিবার, এ বিষয়ক প্রশ্নে পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, ‘সে (গেজেট) অনুযায়ী খালেদা জিয়া সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্যান্য সদস্য এই সুবিধা পাবেন না।’
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে ‘তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে’ বলে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে সরকার সহযোগিতা করছে, বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেয়া হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন এ দফায় গত ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হয়। তার অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটময়’ বলে তুলে ধরেছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মায়ের পাশে থাকতে লন্ডন থেকে তার ছেলে তারেক রহমানের দেশে ফেরার কথা আবার আলোচনায় আসে। এমন আলোচনার মধ্যে গত শনিবার এক ফেইসবুক পোস্টে নিজের দেশে ফেরার বিষয়ে মুখ খুলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, দেশে ফেরার বিষয়টি তার ‘একক নিয়ন্ত্রণাধীন’ নয়।
তার এমন বক্তব্যের পর সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই। তিনি দেশে ফিরতে চাইলে সহযোগিতার আশ্বাসও আসে একাধিক উপদেষ্টার কণ্ঠে। এরপর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে ফেইসবুকে একাধিকবার তার রওনা দেয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, এখনও তিনি ট্রাভেল পাস চাননি।