ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফশিল ঘোষণা ৭ ডিসেম্বরের পর যেকোনো দিন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, ‘আগের ঘোষণা অনুযায়ী ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে তফশিল ঘোষণা হবে। অর্থাৎ ডিসেম্বরের ৭ তারিখের পরে যেকোনো দিন ঘোষণা হতে পারে।’ ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে অর্থাৎ রমজানের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তফশিল ঘোষণার দিন-তারিখের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী কমিশন সভায়। অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভোট দিতে সারা দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে। সারা বিশ্ব বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন কি হবে, সেটির দিকে তাকিয়ে রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশনকে সবক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে। কমিশন মনে করে সত্যি সত্যিই একটি ইতিহাস সৃষ্টিকারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
কমিশনার আনোয়ারুল জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের জন্য ইসি শতভাগ প্রস্তুত। এ দুটি ভোট ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে, রমজানের আগে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে একসঙ্গে ভোট নেওয়ার বিষয়ে ‘মক ভোটিং’ করা হয়েছে। যেহেতু একই ভোটারকে দুটি ব্যালটে ভোট দিতে হবে, তাই সময় কিছুটা বেশি লাগবে। এ কারণে ভোটের সময় বাড়ানো এবং বুথের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি কমিশন সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আগামী কমিশন সভায়।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনী মোতায়েন থাকবে। সঙ্গে থাকবে মোবাইল কোর্ট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি টিম। পর্যবেক্ষকরাও কাজ করবেন। এবার নতুনভাবে যুক্ত হচ্ছে বডি-ওর্ন ক্যামেরা। সব মিলিয়ে তফশিল ঘোষণার পর রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত এমন পরিবেশ তৈরি হবে, যেখানে কেউ নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা বা বাধা দেওয়ার সাহস পাবে না। যারা দুষ্কৃতকারী, তাদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। ইসি আনোয়ারুল বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে। অতীতে নির্বাচনের কারণে সব পর্যায়ের সব ডিপার্টমেন্টই বিতর্কিত হয়েছিল। এবার তারা নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করছে এবং আগ্রহ দেখাচ্ছে। সরকারের সব বিভাগ থেকেই আমরা ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। এটি নিঃসন্দেহে ভালো দিক।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফশিল ঘোষণা ৭ ডিসেম্বরের পর যেকোনো দিন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, ‘আগের ঘোষণা অনুযায়ী ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে তফশিল ঘোষণা হবে। অর্থাৎ ডিসেম্বরের ৭ তারিখের পরে যেকোনো দিন ঘোষণা হতে পারে।’ ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে অর্থাৎ রমজানের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তফশিল ঘোষণার দিন-তারিখের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী কমিশন সভায়। অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভোট দিতে সারা দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে। সারা বিশ্ব বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন কি হবে, সেটির দিকে তাকিয়ে রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশনকে সবক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে। কমিশন মনে করে সত্যি সত্যিই একটি ইতিহাস সৃষ্টিকারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
কমিশনার আনোয়ারুল জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের জন্য ইসি শতভাগ প্রস্তুত। এ দুটি ভোট ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে, রমজানের আগে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে একসঙ্গে ভোট নেওয়ার বিষয়ে ‘মক ভোটিং’ করা হয়েছে। যেহেতু একই ভোটারকে দুটি ব্যালটে ভোট দিতে হবে, তাই সময় কিছুটা বেশি লাগবে। এ কারণে ভোটের সময় বাড়ানো এবং বুথের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি কমিশন সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আগামী কমিশন সভায়।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনী মোতায়েন থাকবে। সঙ্গে থাকবে মোবাইল কোর্ট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি টিম। পর্যবেক্ষকরাও কাজ করবেন। এবার নতুনভাবে যুক্ত হচ্ছে বডি-ওর্ন ক্যামেরা। সব মিলিয়ে তফশিল ঘোষণার পর রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত এমন পরিবেশ তৈরি হবে, যেখানে কেউ নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা বা বাধা দেওয়ার সাহস পাবে না। যারা দুষ্কৃতকারী, তাদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। ইসি আনোয়ারুল বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে। অতীতে নির্বাচনের কারণে সব পর্যায়ের সব ডিপার্টমেন্টই বিতর্কিত হয়েছিল। এবার তারা নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করছে এবং আগ্রহ দেখাচ্ছে। সরকারের সব বিভাগ থেকেই আমরা ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। এটি নিঃসন্দেহে ভালো দিক।