বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রবেশ করেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতালের সামনে আগে থেকেই দলের কয়েকজন নেতা অবস্থান করছিলেন। গণমাধ্যমকর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে ডা. জুবাইদা রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন থাকায় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে হাসপাতাল এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়মিত আসা-যাওয়া থাকায় ভিড়ও বাড়ছে।
বিমান বন্দরে জুবাইদা রহমানকে অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক রিচার্ড বেলি, জুবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান ও তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর সৈয়দ শফিউজ্জামান ও মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুল ইসলাম শামস, শারমীন আখতার, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মঈনুল হোসেন।
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে (বিজে-৩০২) ডা. জুবাইদা রহমান দেশের পথে রওনা হন।
এদিকে কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না পৌঁছানোয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে গেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সব ঠিক থাকলে সেটা শনিবার পৌঁছাতে পারে।
“ম্যাডামের শরীর যদি যাত্রার উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে ইনশাল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) ফ্লাই করবেন।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে জানান, খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে কাতারের আামির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন তিনি।
চিকিৎসা শেষে চার মাস পর ৫ মে কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই দেশে ফেরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তখন তার সঙ্গে দেশে এসেছিলেন পুত্রবধু জুবাইদা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জায়মা রহমানকে নিয়ে লন্ডনে যান। এর ১৭ বছর পর দেশে এসে একমাস কাটানোর পর ৫ জুন তিনি লন্ডনে চলে যান।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রবেশ করেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতালের সামনে আগে থেকেই দলের কয়েকজন নেতা অবস্থান করছিলেন। গণমাধ্যমকর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে ডা. জুবাইদা রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন থাকায় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে হাসপাতাল এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়মিত আসা-যাওয়া থাকায় ভিড়ও বাড়ছে।
বিমান বন্দরে জুবাইদা রহমানকে অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক রিচার্ড বেলি, জুবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান ও তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর সৈয়দ শফিউজ্জামান ও মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুল ইসলাম শামস, শারমীন আখতার, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মঈনুল হোসেন।
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে (বিজে-৩০২) ডা. জুবাইদা রহমান দেশের পথে রওনা হন।
এদিকে কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না পৌঁছানোয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে গেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সব ঠিক থাকলে সেটা শনিবার পৌঁছাতে পারে।
“ম্যাডামের শরীর যদি যাত্রার উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে ইনশাল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) ফ্লাই করবেন।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে জানান, খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে কাতারের আামির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন তিনি।
চিকিৎসা শেষে চার মাস পর ৫ মে কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই দেশে ফেরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তখন তার সঙ্গে দেশে এসেছিলেন পুত্রবধু জুবাইদা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জায়মা রহমানকে নিয়ে লন্ডনে যান। এর ১৭ বছর পর দেশে এসে একমাস কাটানোর পর ৫ জুন তিনি লন্ডনে চলে যান।