খসড়া পর্যায়ে থাকা সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনাকে ‘উচ্চাভিলাষী’ হিসেবে দেখছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি।
তবে পূর্বে মহাপরিকল্পনাগুলোর চেয়ে এবারের মহাপরিকল্পনা ‘উন্নততর ও ইতিবাচক’ হিসেবেও দেখছে সিপিডি।
যদিও নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল আরও বাস্তবসম্মত করার পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ধানমণ্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিকল্পনার বিস্তারিত পর্যালোচনা করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
তিনি বলেন, ‘জিডিপি প্রবৃদ্ধির ভিত্তিতে ২০৫০ সালের মধ্যে ৯০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে বলে এই পরিকল্পনায় ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। এটি একটি অতি উচ্চাভিলাষী। ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি চাইলে ৩৬ হাজার মেগাওয়াট- নবায়নযোগ্য থেকে উৎপাদন করতে হবে। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা দিয়ে অর্জন সম্ভব না, সর্বোচ্চ ২২ হাজার মেগাওয়াট সম্ভব।’
প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনাটি করা হয়েছে ২০৫০ সাল পর্যন্ত দেশের প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অবস্থা, শিল্পায়ন ও বিদ্যুতের চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে। সেই সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা ৯০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ বা ৩৬ হাজার মেগাওয়াট ক্লিন এনার্জি বা ক্লিনার এনার্জি রাখা হবে বলে ভাবা হচ্ছে।
এরআগেও বিভিন্ন সময়ে তিনটি মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল সরকার। সর্বশেষ পরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য খাত থেকে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ নিয়ে আসার কথা বলা হলেও বাস্তবে তা তিন শতাংশের ঘরে পড়ে আছে।
প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনাকে আগের চেয়ে ‘উন্নততর ও ইতিবাচক’ আখ্যায়িত করে মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এর আগে তিনটি নীতিমালা হয়েছিল, যেখানে জাইকা অর্থায়ন করেছে। এবার ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইকনোমি, জাপান কাজটি করছে। এবারের ইন্ডিগ্রেডেট প্লানে সব খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কার্বন সৃষ্টির প্রবণতা কমিয়ে আনা (লো কার্বনাইজেশন), এমনকি কার্বনের বিকল্পপথে হাঁটাও (ডিকার্বনাইজেশন) এবারের পরিকল্পনার একটা উদ্দেশ্য হিসাবে বলা হয়েছে। এগুলো খুবই ইতিবাচক। এনভাইরনমেন্টাল অ্যাসেসমেন্টকে এবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, এটা আগে ছিল না। সেই হিসাবে এটা ইতিবাচক। এটাকে আইনগত বাধ্যবাধকতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রা যদি বাস্তবসম্মত হত, তাহলে ভালো হত। ধরুন বাস্তবসম্মত টার্গেট হচ্ছে ৪৫ হাজার, সেক্ষেত্রে ১৬ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্জন সম্ভব। বিদ্যুতের বাস্তবসম্মত টার্গেট থাকলে সেই অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানিও উৎপাদন করা সম্ভব হত।’
বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
খসড়া পর্যায়ে থাকা সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনাকে ‘উচ্চাভিলাষী’ হিসেবে দেখছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি।
তবে পূর্বে মহাপরিকল্পনাগুলোর চেয়ে এবারের মহাপরিকল্পনা ‘উন্নততর ও ইতিবাচক’ হিসেবেও দেখছে সিপিডি।
যদিও নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল আরও বাস্তবসম্মত করার পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ধানমণ্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিকল্পনার বিস্তারিত পর্যালোচনা করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
তিনি বলেন, ‘জিডিপি প্রবৃদ্ধির ভিত্তিতে ২০৫০ সালের মধ্যে ৯০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে বলে এই পরিকল্পনায় ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। এটি একটি অতি উচ্চাভিলাষী। ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি চাইলে ৩৬ হাজার মেগাওয়াট- নবায়নযোগ্য থেকে উৎপাদন করতে হবে। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা দিয়ে অর্জন সম্ভব না, সর্বোচ্চ ২২ হাজার মেগাওয়াট সম্ভব।’
প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনাটি করা হয়েছে ২০৫০ সাল পর্যন্ত দেশের প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অবস্থা, শিল্পায়ন ও বিদ্যুতের চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে। সেই সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা ৯০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ বা ৩৬ হাজার মেগাওয়াট ক্লিন এনার্জি বা ক্লিনার এনার্জি রাখা হবে বলে ভাবা হচ্ছে।
এরআগেও বিভিন্ন সময়ে তিনটি মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল সরকার। সর্বশেষ পরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য খাত থেকে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ নিয়ে আসার কথা বলা হলেও বাস্তবে তা তিন শতাংশের ঘরে পড়ে আছে।
প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনাকে আগের চেয়ে ‘উন্নততর ও ইতিবাচক’ আখ্যায়িত করে মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এর আগে তিনটি নীতিমালা হয়েছিল, যেখানে জাইকা অর্থায়ন করেছে। এবার ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইকনোমি, জাপান কাজটি করছে। এবারের ইন্ডিগ্রেডেট প্লানে সব খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কার্বন সৃষ্টির প্রবণতা কমিয়ে আনা (লো কার্বনাইজেশন), এমনকি কার্বনের বিকল্পপথে হাঁটাও (ডিকার্বনাইজেশন) এবারের পরিকল্পনার একটা উদ্দেশ্য হিসাবে বলা হয়েছে। এগুলো খুবই ইতিবাচক। এনভাইরনমেন্টাল অ্যাসেসমেন্টকে এবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, এটা আগে ছিল না। সেই হিসাবে এটা ইতিবাচক। এটাকে আইনগত বাধ্যবাধকতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রা যদি বাস্তবসম্মত হত, তাহলে ভালো হত। ধরুন বাস্তবসম্মত টার্গেট হচ্ছে ৪৫ হাজার, সেক্ষেত্রে ১৬ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্জন সম্ভব। বিদ্যুতের বাস্তবসম্মত টার্গেট থাকলে সেই অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানিও উৎপাদন করা সম্ভব হত।’