প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ৩০ মিনিট অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২:০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। এসময় তাদেরকে ‘লাখো শহিদের বাংলায়, কোটা প্রথার ঠাঁয় নাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছেসহ’, কোটাবৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মেধাবীদের যাচাই করো, কোটাপদ্ধতি বাতিল করো’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মহাসড়ক অবরোধের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদের কর্মসূচি হিসেবে সারা বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় এখানেও শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করেছে। অবরোধের সময় এমার্জেন্সী গাড়ি এবং এম্বুলেন্সগুলো বিকল্প রাস্তা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে পার করে দিচ্ছি । শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলা হয়েছে তারা যেন জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এবং চলমান উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কথা চিন্তা করে পরীক্ষা শেষ হবার আগেই অবরোধ করসূচি শেষ করে।
পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, হাইকোর্ট আজকে কোটা পুনর্বহালের রায় বহাল রেখেছে তারই প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করেছি । যেহেতু এখনো শুনানি দেয় নি সেটার উপর আশা রেখে জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা এখনো অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর্মসূচি দেই নি। যদি এই কোটা প্রথা বহালের টালবাহানা করা না , তাহলে কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশ অচল করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; এ ছাড়া দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, আজকে কোটা নিয়ে আদালত কি তালবাহানা করেছে সেটা আপনারা ভালো করেই জানেন। আমরা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেই যাবো। আজকে আমরা হয়তো স্বল্প সময়ের জন্য অবরোধ করেছি। যদি ছাত্রসমাজের বিরুদ্ধে রায় আসে তাহলে আমরা তা মানবো না। প্রয়োজনে আমরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ বন্ধ করে দিবো। এতে করে অ্যাম্বুলেন্সে যদি একজন রোগীরও ক্ষতি হয় সেটার দায় রাষ্ট্রপক্ষ নিবে। আজকে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য আমাদের অবরোধ কর্মসূচী শেষ করছি, আমাদের পরবর্তী কর্মসূচী জানিয়ে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ৩০ মিনিট অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২:০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। এসময় তাদেরকে ‘লাখো শহিদের বাংলায়, কোটা প্রথার ঠাঁয় নাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছেসহ’, কোটাবৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মেধাবীদের যাচাই করো, কোটাপদ্ধতি বাতিল করো’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মহাসড়ক অবরোধের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদের কর্মসূচি হিসেবে সারা বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় এখানেও শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করেছে। অবরোধের সময় এমার্জেন্সী গাড়ি এবং এম্বুলেন্সগুলো বিকল্প রাস্তা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে পার করে দিচ্ছি । শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলা হয়েছে তারা যেন জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এবং চলমান উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কথা চিন্তা করে পরীক্ষা শেষ হবার আগেই অবরোধ করসূচি শেষ করে।
পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, হাইকোর্ট আজকে কোটা পুনর্বহালের রায় বহাল রেখেছে তারই প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করেছি । যেহেতু এখনো শুনানি দেয় নি সেটার উপর আশা রেখে জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা এখনো অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর্মসূচি দেই নি। যদি এই কোটা প্রথা বহালের টালবাহানা করা না , তাহলে কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশ অচল করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; এ ছাড়া দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, আজকে কোটা নিয়ে আদালত কি তালবাহানা করেছে সেটা আপনারা ভালো করেই জানেন। আমরা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেই যাবো। আজকে আমরা হয়তো স্বল্প সময়ের জন্য অবরোধ করেছি। যদি ছাত্রসমাজের বিরুদ্ধে রায় আসে তাহলে আমরা তা মানবো না। প্রয়োজনে আমরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ বন্ধ করে দিবো। এতে করে অ্যাম্বুলেন্সে যদি একজন রোগীরও ক্ষতি হয় সেটার দায় রাষ্ট্রপক্ষ নিবে। আজকে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য আমাদের অবরোধ কর্মসূচী শেষ করছি, আমাদের পরবর্তী কর্মসূচী জানিয়ে দেওয়া হবে।