হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বৃহস্পতিবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত ‘জাতীয় উলামা-মাশায়েখ সম্মেলন ২০২৫’-এ বলেন, যাদের বিষয়ে পূর্বপুরুষরা সতর্ক করেছেন, তাদের সঙ্গে কোনো জোট বা অংশীদারিত্ব গ্রহণ করা উচিত নয়।
বক্তব্যে তিনি বলেন, “যাদের কাছে আম্বিয়ায়ে কেরাম ও সাহাবায়ে কেরামের সম্মান নিরাপদ নয়, তারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না।” বাবুনগরী সম্মেলন আয়োজনকারী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দকে জাতীয় সংকটময় মুহূর্তে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, “আমরা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের স্বচ্ছ আক্বীদা রক্ষা ও ইলমে ওহীর হেফাজতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রাজনীতি করি। আমাদের আদর্শিক অবস্থান থেকে আমরা কোনোভাবেই সরবনা ইনশাআল্লাহ।”
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক খলীল আহমদ কুরাইশী, নুরুল ইসলাম ওলিপুরী এবং বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেছিলেনীর সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন।
সম্মেলনের সময় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বাহাউদ্দীন যাকারিয়া ১৫ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবগুলো হলো:
* ধর্ম অবমাননা রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন।
* প্রাথমিক শিক্ষায় ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা এবং গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল।
* নারী অধিকার শরিয়াভিত্তিক করা ও নারী কমিশনের সুপারিশ বাতিল।
* সমকামিতা, ট্রান্সজেন্ডার সংস্কৃতি ও ইসলামবিরোধী কার্যক্রম বন্ধ করা।
* পিলখানা, শাপলা এবং ২০২৪ সালের গণহত্যার বিচারের দ্রুত বাস্তবায়ন।
* গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক ভূমিকা জোরদার করা।
* কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা এবং মসজিদ-মাদ্রাসা দখলসহ অন্যায় প্রতিরোধ।
* মসজিদ দখল ও চাঁদাবাজি রোধে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ।
* জমিয়তের নেতা মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং হত্যাকারীদের বিচারের ব্যবস্থা।
সম্মেলনটি জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং সিনিয়র কর্মকর্তাদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
---
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বৃহস্পতিবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত ‘জাতীয় উলামা-মাশায়েখ সম্মেলন ২০২৫’-এ বলেন, যাদের বিষয়ে পূর্বপুরুষরা সতর্ক করেছেন, তাদের সঙ্গে কোনো জোট বা অংশীদারিত্ব গ্রহণ করা উচিত নয়।
বক্তব্যে তিনি বলেন, “যাদের কাছে আম্বিয়ায়ে কেরাম ও সাহাবায়ে কেরামের সম্মান নিরাপদ নয়, তারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না।” বাবুনগরী সম্মেলন আয়োজনকারী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দকে জাতীয় সংকটময় মুহূর্তে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, “আমরা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের স্বচ্ছ আক্বীদা রক্ষা ও ইলমে ওহীর হেফাজতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রাজনীতি করি। আমাদের আদর্শিক অবস্থান থেকে আমরা কোনোভাবেই সরবনা ইনশাআল্লাহ।”
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক খলীল আহমদ কুরাইশী, নুরুল ইসলাম ওলিপুরী এবং বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেছিলেনীর সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন।
সম্মেলনের সময় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বাহাউদ্দীন যাকারিয়া ১৫ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবগুলো হলো:
* ধর্ম অবমাননা রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন।
* প্রাথমিক শিক্ষায় ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা এবং গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল।
* নারী অধিকার শরিয়াভিত্তিক করা ও নারী কমিশনের সুপারিশ বাতিল।
* সমকামিতা, ট্রান্সজেন্ডার সংস্কৃতি ও ইসলামবিরোধী কার্যক্রম বন্ধ করা।
* পিলখানা, শাপলা এবং ২০২৪ সালের গণহত্যার বিচারের দ্রুত বাস্তবায়ন।
* গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক ভূমিকা জোরদার করা।
* কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা এবং মসজিদ-মাদ্রাসা দখলসহ অন্যায় প্রতিরোধ।
* মসজিদ দখল ও চাঁদাবাজি রোধে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ।
* জমিয়তের নেতা মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং হত্যাকারীদের বিচারের ব্যবস্থা।
সম্মেলনটি জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং সিনিয়র কর্মকর্তাদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
---