জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে আগামী মাসেই গণভোট আয়োজনের পক্ষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে নানা যুক্তি উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলটির একটি যুক্তি হলো, সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অভিজ্ঞতা নিতেও নভেম্বরে গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে। আরেকটি যুক্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হলে ‘আম ছালা দুটোই হারানোর আশঙ্কা’ রয়েছে।
সোমবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব যুক্তি তুলে ধরেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট প্রক্রিয়া, ভোটার তালিকা ও এনআইডি, পিআর পদ্ধতি, রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ এবং গণভোট আয়োজন নিয়ে দলের অবস্থান কমিশনের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে কমিশনের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গঠিত হয়েছে। তবে গণভোটের সময়সূচি নিয়ে এখনো মতবিরোধ রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের দাবি তুলেছে, অন্যদিকে বিএনপিসহ কিছু দল সংসদ নির্বাচনের দিনেই আলাদা ব্যালটে গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সোমবার ইসির সঙ্গে বৈঠক করে।
বৈঠক শেষে তাহের বলেন, “আমরা অবশ্যই গণভোট সংসদ নির্বাচনের আগেই চাচ্ছি। আমরা নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছি। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ২১ দিনের ব্যবধানেও গণভোট হয়েছে, ১০ দিনেও হয়েছে, ১৭ দিনেও হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকে বলছেন, নির্বাচন করতে গিয়ে যদি ঝামেলা হয়, তাহলে গণভোট অনিশ্চিত হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা মনে করি, যদি এমন হয়, তাহলে ‘আম ছালা দুটোই যাবে’। তাই আমরা চাই, আগে একটি সহজতর নির্বাচন— অর্থাৎ গণভোট— আয়োজন করা হোক। এতে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কেমন হয়, সেটাও একধরনের অভিজ্ঞতা হিসেবে কাজ করবে।”
আবদুল্লাহ তাহেরের মতে, গণভোট একটি সাধারণ নির্বাচন, এতে ব্যয়ের পরিমাণও তুলনামূলক কম। “গণভোটের জন্য আলাদা বাক্স কিনতে হবে না। যে বাক্সে ভোট হবে, একই বাক্সে গণভোটও নেওয়া যাবে। বাড়তি খরচ হবে শুধু ব্যালট ও কালি, আর যারা যুক্ত থাকবেন তাদের কিছু খরচ থাকবে খাবার বা ভাড়ার জন্য। এর বাইরে তেমন কোনো খরচ নাই।”
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট একসঙ্গে হলে জনগণের তেমন সাড়া পাওয়া যাবে না। “জাতীয় নির্বাচনে সব দল ব্যস্ত থাকবে, ভোটারদের মনোযোগও সেদিকেই থাকবে। তখন দেখা যাবে, অনেকে দলীয় প্রতীকে ভোট দিয়ে গণভোটের ব্যালট না দিয়েই চলে যাচ্ছেন। তাই আমরা মনে করি, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আলাদা করাই যুক্তিসংগত।”
গণভোটের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা বাস্তবায়ন করবে নির্বাচন কমিশন— এ বিষয়ে ইসির আশ্বাস পেয়েছেন বলেও জানান জামায়াতের নায়েবে আমির।
তিনি বলেন, “ইসি আমাদের জানিয়েছে, সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তারা সেটা বাস্তবায়ন করবে। কমিশনের এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।”
আব্দুল্লাহ তাহেরের নেতৃত্বে জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, জসিম উদ্দিন সরকার ও মতিউর রহমান আকন্দ।
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে আগামী মাসেই গণভোট আয়োজনের পক্ষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে নানা যুক্তি উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলটির একটি যুক্তি হলো, সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অভিজ্ঞতা নিতেও নভেম্বরে গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে। আরেকটি যুক্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হলে ‘আম ছালা দুটোই হারানোর আশঙ্কা’ রয়েছে।
সোমবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব যুক্তি তুলে ধরেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট প্রক্রিয়া, ভোটার তালিকা ও এনআইডি, পিআর পদ্ধতি, রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ এবং গণভোট আয়োজন নিয়ে দলের অবস্থান কমিশনের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে কমিশনের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গঠিত হয়েছে। তবে গণভোটের সময়সূচি নিয়ে এখনো মতবিরোধ রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের দাবি তুলেছে, অন্যদিকে বিএনপিসহ কিছু দল সংসদ নির্বাচনের দিনেই আলাদা ব্যালটে গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সোমবার ইসির সঙ্গে বৈঠক করে।
বৈঠক শেষে তাহের বলেন, “আমরা অবশ্যই গণভোট সংসদ নির্বাচনের আগেই চাচ্ছি। আমরা নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছি। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ২১ দিনের ব্যবধানেও গণভোট হয়েছে, ১০ দিনেও হয়েছে, ১৭ দিনেও হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকে বলছেন, নির্বাচন করতে গিয়ে যদি ঝামেলা হয়, তাহলে গণভোট অনিশ্চিত হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা মনে করি, যদি এমন হয়, তাহলে ‘আম ছালা দুটোই যাবে’। তাই আমরা চাই, আগে একটি সহজতর নির্বাচন— অর্থাৎ গণভোট— আয়োজন করা হোক। এতে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কেমন হয়, সেটাও একধরনের অভিজ্ঞতা হিসেবে কাজ করবে।”
আবদুল্লাহ তাহেরের মতে, গণভোট একটি সাধারণ নির্বাচন, এতে ব্যয়ের পরিমাণও তুলনামূলক কম। “গণভোটের জন্য আলাদা বাক্স কিনতে হবে না। যে বাক্সে ভোট হবে, একই বাক্সে গণভোটও নেওয়া যাবে। বাড়তি খরচ হবে শুধু ব্যালট ও কালি, আর যারা যুক্ত থাকবেন তাদের কিছু খরচ থাকবে খাবার বা ভাড়ার জন্য। এর বাইরে তেমন কোনো খরচ নাই।”
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট একসঙ্গে হলে জনগণের তেমন সাড়া পাওয়া যাবে না। “জাতীয় নির্বাচনে সব দল ব্যস্ত থাকবে, ভোটারদের মনোযোগও সেদিকেই থাকবে। তখন দেখা যাবে, অনেকে দলীয় প্রতীকে ভোট দিয়ে গণভোটের ব্যালট না দিয়েই চলে যাচ্ছেন। তাই আমরা মনে করি, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আলাদা করাই যুক্তিসংগত।”
গণভোটের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা বাস্তবায়ন করবে নির্বাচন কমিশন— এ বিষয়ে ইসির আশ্বাস পেয়েছেন বলেও জানান জামায়াতের নায়েবে আমির।
তিনি বলেন, “ইসি আমাদের জানিয়েছে, সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তারা সেটা বাস্তবায়ন করবে। কমিশনের এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।”
আব্দুল্লাহ তাহেরের নেতৃত্বে জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, জসিম উদ্দিন সরকার ও মতিউর রহমান আকন্দ।