নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেওয়াজ পুর ইউনিয়নের কাশেম বাজারে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আজ রোববার বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা সাড় ছয়টা পর্যন্ত উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেম বাজারে ও আশে পাশের এলাকায় থেমে থেমে এ ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ফজলে রাব্বী অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার কাসেম বাজার জামে মসজিদে শনিবার ছাত্রশিবির দারসুল কুরআন প্রোগ্রামের আয়োজন করে। সেখানে যুবদল কিছু যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। গতকালের হামলার প্রতিবাদে রোববার আসরের নামাজের পর আবারও একই মসজিদে কুরআন তালিমের কর্মসূচী ঘোষণা করে ছাত্রশিবির। রোববার আসরের নামাজের পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মিরা মসজিদে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মির ওপর হামলা চালায়। পরে মসজিদে তালা মেরে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। ইট,পাটকেল নিক্ষেপের কারণে আমাদের ২৫ জন নেতাকর্মি আহত হয়েছে। তাদের আনতে অ্যাম্বুলেন্স গেলে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরমধ্যে নোয়াখালী শহর শিবিরের অফিস সম্পাদক তানভীর সিয়াম, আইন সম্পাদক নাঈম হোসেন, শিবিরের সাথী ছালাউদ্দিন, কেরামতিয়া মাদরাসার ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত আলীসহ ১৬জন গুরুত্বর আহত হয়।
স্থানীয় একাধিক বিএনপির নেতাকর্মি অভিযোগ করে বলেন, আসরের নামাজের পর শিবিরের নেতাকর্মিরা মসজিদের ভিতর জামাত শিবিরের ব্যানার টাঙিয়ে মূহুর্তে মূহু স্লোগান দিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করে। এতে মুসল্লীরা বাধা দেয়। এতে শিবির কর্মিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুসল্লীদের উপর হামলা চালালে বিএনপির নেতাকর্মিরা বুড়ো বুড়ো মুসল্লীদের বাঁচাতে আসলে তারা উল্টো বিএনপি নেতা কর্মিদের উপর হামলা চালায়। এতে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৫ জন নেতাকর্মি ও ৫/৬ জন বয়স্ক মুসল্লী আহত হয়। এর মধ্যে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো.আক্তার, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমানসহ ৮জন নেতাকর্মিকে মুমূর্ষু অবস্হায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ দিকে সংঘর্ষের পর কাশেম বাজার সহ আশেপাশের এলাকার সকল দোকান পাট বন্ধ হয়ে গেছে। এবং এ দুদলের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক নুরুল আমিন খান জানায়, কিছুদিন থেকে জামাত শিবির নেতা কর্মিরা জেলার বিভিন্ন মসজিদের ভিতর নামাজের পর ব্যানার টাঙিয়ে মসজিদের মুসল্লী দের আটকিয়ে দলীয় সভা করছে এবং মসজিদের ভিতর দলীয় শ্লোগান দিচ্ছে। এতে মুসল্লীরা আপওী করলে তাদের সাথে খারাপ ব্যাবহার এমনকি মারধর ও করছে।এ নিয়ে গত সপ্তাহে কবির হাট উপজেলায় মুসল্লিদের সাথে জামাদের সংঘর্ষের ও দাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা বাহিনী ঘটনা স্হলে গিয়ে পরিস্হিতি আয়ত্তে এনেছেন। এখনও আইন প্রয়োগ কারী সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে টহল দিচ্ছে। তিনি নিজেও ঘটনাস্থলে রয়েছে।
রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেওয়াজ পুর ইউনিয়নের কাশেম বাজারে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আজ রোববার বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা সাড় ছয়টা পর্যন্ত উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেম বাজারে ও আশে পাশের এলাকায় থেমে থেমে এ ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ফজলে রাব্বী অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার কাসেম বাজার জামে মসজিদে শনিবার ছাত্রশিবির দারসুল কুরআন প্রোগ্রামের আয়োজন করে। সেখানে যুবদল কিছু যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। গতকালের হামলার প্রতিবাদে রোববার আসরের নামাজের পর আবারও একই মসজিদে কুরআন তালিমের কর্মসূচী ঘোষণা করে ছাত্রশিবির। রোববার আসরের নামাজের পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মিরা মসজিদে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মির ওপর হামলা চালায়। পরে মসজিদে তালা মেরে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। ইট,পাটকেল নিক্ষেপের কারণে আমাদের ২৫ জন নেতাকর্মি আহত হয়েছে। তাদের আনতে অ্যাম্বুলেন্স গেলে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরমধ্যে নোয়াখালী শহর শিবিরের অফিস সম্পাদক তানভীর সিয়াম, আইন সম্পাদক নাঈম হোসেন, শিবিরের সাথী ছালাউদ্দিন, কেরামতিয়া মাদরাসার ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত আলীসহ ১৬জন গুরুত্বর আহত হয়।
স্থানীয় একাধিক বিএনপির নেতাকর্মি অভিযোগ করে বলেন, আসরের নামাজের পর শিবিরের নেতাকর্মিরা মসজিদের ভিতর জামাত শিবিরের ব্যানার টাঙিয়ে মূহুর্তে মূহু স্লোগান দিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করে। এতে মুসল্লীরা বাধা দেয়। এতে শিবির কর্মিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুসল্লীদের উপর হামলা চালালে বিএনপির নেতাকর্মিরা বুড়ো বুড়ো মুসল্লীদের বাঁচাতে আসলে তারা উল্টো বিএনপি নেতা কর্মিদের উপর হামলা চালায়। এতে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৫ জন নেতাকর্মি ও ৫/৬ জন বয়স্ক মুসল্লী আহত হয়। এর মধ্যে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো.আক্তার, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমানসহ ৮জন নেতাকর্মিকে মুমূর্ষু অবস্হায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ দিকে সংঘর্ষের পর কাশেম বাজার সহ আশেপাশের এলাকার সকল দোকান পাট বন্ধ হয়ে গেছে। এবং এ দুদলের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক নুরুল আমিন খান জানায়, কিছুদিন থেকে জামাত শিবির নেতা কর্মিরা জেলার বিভিন্ন মসজিদের ভিতর নামাজের পর ব্যানার টাঙিয়ে মসজিদের মুসল্লী দের আটকিয়ে দলীয় সভা করছে এবং মসজিদের ভিতর দলীয় শ্লোগান দিচ্ছে। এতে মুসল্লীরা আপওী করলে তাদের সাথে খারাপ ব্যাবহার এমনকি মারধর ও করছে।এ নিয়ে গত সপ্তাহে কবির হাট উপজেলায় মুসল্লিদের সাথে জামাদের সংঘর্ষের ও দাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা বাহিনী ঘটনা স্হলে গিয়ে পরিস্হিতি আয়ত্তে এনেছেন। এখনও আইন প্রয়োগ কারী সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে টহল দিচ্ছে। তিনি নিজেও ঘটনাস্থলে রয়েছে।