ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উত্তরায় (ঢাকা-১৮ আসন) ধানের শীষের ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনী প্রচার ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী চারজন প্রার্থী এক মঞ্চে এসে ধানের শীষের পক্ষে মিছিল ও সমাবেশ করে নিজেদের ঐক্য প্রদর্শন করেন।
বৃহস্পতিবার, (২৭ নভেম্বর ২০২৫) রাজধানী উত্তরার আজমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আমির কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। এরপর মিছিলটি হাউস বিল্ডিং এলাকা হয়ে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। এই নির্বাচনী গণসংযোগে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অংশ নিতে দেখা গেছে। এর আগে আরও দুইবার এমন নির্বাচনী মিছিল করে এই চার মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরাসহ ঢাকা উত্তর বিএনপির নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। বক্তাদের বক্তব্যে মূল বার্তা ছিল ‘ঐক্য, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাস ও গডফাদারতন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান বলেন, ‘ঢাকা-১৮ আসনের মানুষ আর অবহেলার রাজনীতি চায় না। তারা তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়। ধানের শীষের পক্ষেই আজ মানুষ ঐক্যবদ্ধ। এই গণমিছিলই প্রমাণ করছে ঢাকা-১৮ আসনে পরিবর্তনের জোয়ার উঠেছে।’ জনগণের দাবি ও প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করতে আমাদের এমন একজন শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী প্রয়োজন, যার প্রতি মানুষের আস্থা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মোস্তফা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ঢাকা-১৮ আসন জনগণের আসন এবং এখানে কেউ দাপট দেখাতে বা ভয় দেখাতে পারবে না।’ তার দাবি, দলের প্রতীককে বিজয়ী করতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের এই ঐক্য প্রমাণ করে যে বিএনপি ক্ষমতা পেতে নয়, দেশকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করছে।
ঢাকা উত্তর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন বলেন, ‘আজকের গণমিছিল প্রমান করে বিএনপি বিভক্ত নয়। জনগণ যেই প্রার্থীই পাক না কেন, জনগণের স্বার্থে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সবাই ঐক্যবদ্ধ।’ তার দাবি, কেউ কেউ ছাদে মিছিল করে ছবি পোষ্ট করে নেতা বনে গেছেন। তাদের করা কোনো অন্যায়ের দ্বায়ভার বিএনপি নিবে না।
মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আফাস উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পরিচ্ছন্ন ঢাকা-১৮ গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। বিএনপি মহাসচিব এই এলাকায় ১৭ বছর বসবাস করেছেন। মহাসচিব জানেন বিএনপির জন্য আমরা কতটা করেছি।’ তিনি মনে করেন, দল বাইরের কোনো ভাড়া করা লোককে এই এলাকায় মনোনীত করলে জনগন তা মেনে নিবে না। বিএনপি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই মাঠে নেমেছে উল্লেখ করে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘আমরা যে কেউ মনোনয়ন পাই বা না পাই, ধানের শীষই আমাদের চূড়ান্ত পরিচয়।’
অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী ও ঢাকা উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই আসনে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি কিংবা গডফাদারদের জায়গা নেই। অতীতে যারা জনগণের পেটে লাথি দিয়ে ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়েছিল, আসন্ন নির্বাচনে জনগণ বিএনপি তথা ধানের শীষকে বিজয়ী করে তাদের জবাব দেবে।
আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি গত ৩ নভেম্বর ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করলেও ঢাকা-১৮ আসনে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে এই ঐক্যের ধারাবাহিকতা থাকলে আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে ধানের শীষ বড় ব্যবধানে বিজয়ী হবে বলে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা আশা প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, এই ঐক্য এবং একসঙ্গে মাঠে নামা আগামী নির্বাচনে বিএনপির শক্তিশালী অবস্থানের প্রতি ইঙ্গিত।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উত্তরায় (ঢাকা-১৮ আসন) ধানের শীষের ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনী প্রচার ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী চারজন প্রার্থী এক মঞ্চে এসে ধানের শীষের পক্ষে মিছিল ও সমাবেশ করে নিজেদের ঐক্য প্রদর্শন করেন।
বৃহস্পতিবার, (২৭ নভেম্বর ২০২৫) রাজধানী উত্তরার আজমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আমির কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। এরপর মিছিলটি হাউস বিল্ডিং এলাকা হয়ে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। এই নির্বাচনী গণসংযোগে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অংশ নিতে দেখা গেছে। এর আগে আরও দুইবার এমন নির্বাচনী মিছিল করে এই চার মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরাসহ ঢাকা উত্তর বিএনপির নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। বক্তাদের বক্তব্যে মূল বার্তা ছিল ‘ঐক্য, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাস ও গডফাদারতন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান বলেন, ‘ঢাকা-১৮ আসনের মানুষ আর অবহেলার রাজনীতি চায় না। তারা তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়। ধানের শীষের পক্ষেই আজ মানুষ ঐক্যবদ্ধ। এই গণমিছিলই প্রমাণ করছে ঢাকা-১৮ আসনে পরিবর্তনের জোয়ার উঠেছে।’ জনগণের দাবি ও প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করতে আমাদের এমন একজন শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী প্রয়োজন, যার প্রতি মানুষের আস্থা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মোস্তফা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ঢাকা-১৮ আসন জনগণের আসন এবং এখানে কেউ দাপট দেখাতে বা ভয় দেখাতে পারবে না।’ তার দাবি, দলের প্রতীককে বিজয়ী করতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের এই ঐক্য প্রমাণ করে যে বিএনপি ক্ষমতা পেতে নয়, দেশকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করছে।
ঢাকা উত্তর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন বলেন, ‘আজকের গণমিছিল প্রমান করে বিএনপি বিভক্ত নয়। জনগণ যেই প্রার্থীই পাক না কেন, জনগণের স্বার্থে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সবাই ঐক্যবদ্ধ।’ তার দাবি, কেউ কেউ ছাদে মিছিল করে ছবি পোষ্ট করে নেতা বনে গেছেন। তাদের করা কোনো অন্যায়ের দ্বায়ভার বিএনপি নিবে না।
মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আফাস উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পরিচ্ছন্ন ঢাকা-১৮ গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। বিএনপি মহাসচিব এই এলাকায় ১৭ বছর বসবাস করেছেন। মহাসচিব জানেন বিএনপির জন্য আমরা কতটা করেছি।’ তিনি মনে করেন, দল বাইরের কোনো ভাড়া করা লোককে এই এলাকায় মনোনীত করলে জনগন তা মেনে নিবে না। বিএনপি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই মাঠে নেমেছে উল্লেখ করে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘আমরা যে কেউ মনোনয়ন পাই বা না পাই, ধানের শীষই আমাদের চূড়ান্ত পরিচয়।’
অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী ও ঢাকা উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই আসনে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি কিংবা গডফাদারদের জায়গা নেই। অতীতে যারা জনগণের পেটে লাথি দিয়ে ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়েছিল, আসন্ন নির্বাচনে জনগণ বিএনপি তথা ধানের শীষকে বিজয়ী করে তাদের জবাব দেবে।
আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি গত ৩ নভেম্বর ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করলেও ঢাকা-১৮ আসনে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে এই ঐক্যের ধারাবাহিকতা থাকলে আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে ধানের শীষ বড় ব্যবধানে বিজয়ী হবে বলে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা আশা প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, এই ঐক্য এবং একসঙ্গে মাঠে নামা আগামী নির্বাচনে বিএনপির শক্তিশালী অবস্থানের প্রতি ইঙ্গিত।