সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েও বিএনপি কেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে চায় না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার মতে নানা কারণে ঐতিহাসিক ওই উদ্যানটি বিএনপির পছন্দ নাও হতে পারে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। তবে দলটি সমাবেশ করতে চায় নয়াপল্টনে, নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দীতে কেন বিএনপি যেতে চায় না? সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাক-হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে, সেই ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ ভাষণ, বিএনপির পছন্দ নাও হতে পারে। যদিও জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে সর্বকালের অন্যতম সেরা ভাষণ হিসেবে।’
বুধবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক স্থান, যেখানে পাক-হানাদার বাহিনী মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন বিএনপির অপছন্দ? বিশাল জায়গা, এখানে আওয়ামী লীগের সব সমাবেশ ও জাতীয় সম্মেলন এখানেই হয়।’
‘তাহলে বিএনপি কেন তাদের পার্টি অফিসের সামনে ছোট এলাকা, যেখানে ৩৫ হাজার স্কয়ার ফিটের মতো একটা ছোট জায়গায় তাদের সমাবেশের স্থান বেছে নিল? পার্টি অফিসে সমাবেশ করার জন্য বিএনপির এত দৃঢ়তা কেন? এখানে তাদের কি কোন বদ উদ্দেশ্য আছে? কোন মতলবে তারা এটা চায়’, এসব প্রশ্নও রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপি কেন সমাবেশের জন্য ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছে, সেই প্রশ্নও তোলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি কি জানে না বাংলাদেশের ইতিহাস? ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১০ ডিসেম্বর সিরাজ উদ্দিন হোসেন ও সাংবাদিক সৈয়দ নাজমুল হককে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশের আলবদর বাহিনীর সহায়তা উঠিয়ে নিয়ে যায়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো নৃশংসতম ঘটনা বাংলাদেশে সংঘটিত হয়। জ্ঞানগরিমা যাদের ঘিরে, সেই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, চিকিৎসকদের ধরে নিয়ে হত্যার কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য কেন বিএনপি বেছে নিল, এটাই প্রশ্ন?’
আওয়ামী লীগ ১০ ডিসেম্বর সতর্ক পাহারায় থাকবে বলেও ব্রিফিংয়ে জানান তিনি।
বিএনপি সমাবেশ ঘিরে আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দেবে বলেও মন্তব্য করেন কাদের।
বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েও বিএনপি কেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে চায় না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার মতে নানা কারণে ঐতিহাসিক ওই উদ্যানটি বিএনপির পছন্দ নাও হতে পারে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। তবে দলটি সমাবেশ করতে চায় নয়াপল্টনে, নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দীতে কেন বিএনপি যেতে চায় না? সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাক-হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে, সেই ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ ভাষণ, বিএনপির পছন্দ নাও হতে পারে। যদিও জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে সর্বকালের অন্যতম সেরা ভাষণ হিসেবে।’
বুধবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক স্থান, যেখানে পাক-হানাদার বাহিনী মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন বিএনপির অপছন্দ? বিশাল জায়গা, এখানে আওয়ামী লীগের সব সমাবেশ ও জাতীয় সম্মেলন এখানেই হয়।’
‘তাহলে বিএনপি কেন তাদের পার্টি অফিসের সামনে ছোট এলাকা, যেখানে ৩৫ হাজার স্কয়ার ফিটের মতো একটা ছোট জায়গায় তাদের সমাবেশের স্থান বেছে নিল? পার্টি অফিসে সমাবেশ করার জন্য বিএনপির এত দৃঢ়তা কেন? এখানে তাদের কি কোন বদ উদ্দেশ্য আছে? কোন মতলবে তারা এটা চায়’, এসব প্রশ্নও রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপি কেন সমাবেশের জন্য ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছে, সেই প্রশ্নও তোলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি কি জানে না বাংলাদেশের ইতিহাস? ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১০ ডিসেম্বর সিরাজ উদ্দিন হোসেন ও সাংবাদিক সৈয়দ নাজমুল হককে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশের আলবদর বাহিনীর সহায়তা উঠিয়ে নিয়ে যায়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো নৃশংসতম ঘটনা বাংলাদেশে সংঘটিত হয়। জ্ঞানগরিমা যাদের ঘিরে, সেই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, চিকিৎসকদের ধরে নিয়ে হত্যার কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য কেন বিএনপি বেছে নিল, এটাই প্রশ্ন?’
আওয়ামী লীগ ১০ ডিসেম্বর সতর্ক পাহারায় থাকবে বলেও ব্রিফিংয়ে জানান তিনি।
বিএনপি সমাবেশ ঘিরে আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দেবে বলেও মন্তব্য করেন কাদের।