সংঘাত ও সহিংসতার শঙ্কার মধ্যে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এদিন তিন পদে নির্বাচন করবেন ১০ প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি ৪ জন হলেও ভোটের মাঠে লড়াই হবে ত্রিমুখী। যার মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া বাকি তিন প্রার্থী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। তাই ভোটের দিন নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার দাবি তাদের।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ৫৪টি কেন্দ্রের ৩৫৭টি বুথে ভোট দিবেন ১ লাখ ৩১হাজার ৫৬৪ জন ভোটার। এরই মধ্যে কেন্দ্রগুলোতে পৌছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন ১হাজার ১২৫ জন প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার।
এবারের নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপজেলা সভাপতি এম এ রশিদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাকসুদ হোসেনের সঙ্গে। এছাড়া বাবার ডামি হিসেবে নির্বাচন করছেন মাকসুদের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ।
‘আনারস, প্রার্থী মাকসুদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, প্রথম কয়েকদিন ধরে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো ছিল। তবে ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে। সোমবার আমাদের প্রচারে বাধা দিয়েছে এবং পোস্টার ছিড়ে ফেলছে। এখন আমাদের পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কি না আমরা চিন্তিত।"
একই কথা বলেন মাকসুদের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ। যিনি তার বাবার ’ডামি’ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে আছেন।
‘চিংড়ি’ প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুল অভিযোগ করেছেন, প্রচারণার সময় তিনি গত তিন দিনে তিনটি হামলার শিকার হয়েছেন। ওই হামলায় তার সাত সমর্থক আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর সমর্থক। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি।
এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আগ্রহী কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের লোকজন উপজেলায় একটি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে, যা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলছে। তারা আমাদের সমর্থকদের ক্রমাগত হুমকি দেয়, আমরা ডিসি, এসপি’কে বলেছিলাম তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে, কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তাছাড়া নির্বাচন নিয়ে দুই সংসদ সদস্যের সাম্প্রতিক বক্তব্যও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
তবে ‘দোয়াত-কলম’ প্রার্থী এম এ রশিদ দাবি করেন, তার কোনো নেতাকর্মী কোথাও হামলা বা কাউকে হুমকি দিচ্ছে না। বিরোধী প্রার্থীরা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক পরিবেশ ভালো। প্রশাসনের ভূমিকা এখন পর্যন্ত নিরপেক্ষ হিসেবে পর্যবেক্ষণ করছি। ভোটের দিনেও পরিস্থিতি একই থাকলে আমি আমার সাফল্যের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত।
রশিদের অভিযোগ, মাকসুদ হোসেন ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য টাকা বিতরণ করছেন।
জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, প্রার্থীদের কিছু অভিযোগ থাকে, সব নির্বাচনেই এমনটা হয়। তবে আমরা বন্দর উপজেলার জনগণকে একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেব। এ লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
সংঘাত ও সহিংসতার শঙ্কার মধ্যে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এদিন তিন পদে নির্বাচন করবেন ১০ প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি ৪ জন হলেও ভোটের মাঠে লড়াই হবে ত্রিমুখী। যার মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া বাকি তিন প্রার্থী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। তাই ভোটের দিন নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার দাবি তাদের।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ৫৪টি কেন্দ্রের ৩৫৭টি বুথে ভোট দিবেন ১ লাখ ৩১হাজার ৫৬৪ জন ভোটার। এরই মধ্যে কেন্দ্রগুলোতে পৌছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন ১হাজার ১২৫ জন প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার।
এবারের নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপজেলা সভাপতি এম এ রশিদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাকসুদ হোসেনের সঙ্গে। এছাড়া বাবার ডামি হিসেবে নির্বাচন করছেন মাকসুদের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ।
‘আনারস, প্রার্থী মাকসুদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, প্রথম কয়েকদিন ধরে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো ছিল। তবে ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে। সোমবার আমাদের প্রচারে বাধা দিয়েছে এবং পোস্টার ছিড়ে ফেলছে। এখন আমাদের পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কি না আমরা চিন্তিত।"
একই কথা বলেন মাকসুদের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ। যিনি তার বাবার ’ডামি’ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে আছেন।
‘চিংড়ি’ প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুল অভিযোগ করেছেন, প্রচারণার সময় তিনি গত তিন দিনে তিনটি হামলার শিকার হয়েছেন। ওই হামলায় তার সাত সমর্থক আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর সমর্থক। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি।
এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আগ্রহী কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের লোকজন উপজেলায় একটি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে, যা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলছে। তারা আমাদের সমর্থকদের ক্রমাগত হুমকি দেয়, আমরা ডিসি, এসপি’কে বলেছিলাম তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে, কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তাছাড়া নির্বাচন নিয়ে দুই সংসদ সদস্যের সাম্প্রতিক বক্তব্যও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
তবে ‘দোয়াত-কলম’ প্রার্থী এম এ রশিদ দাবি করেন, তার কোনো নেতাকর্মী কোথাও হামলা বা কাউকে হুমকি দিচ্ছে না। বিরোধী প্রার্থীরা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক পরিবেশ ভালো। প্রশাসনের ভূমিকা এখন পর্যন্ত নিরপেক্ষ হিসেবে পর্যবেক্ষণ করছি। ভোটের দিনেও পরিস্থিতি একই থাকলে আমি আমার সাফল্যের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত।
রশিদের অভিযোগ, মাকসুদ হোসেন ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য টাকা বিতরণ করছেন।
জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, প্রার্থীদের কিছু অভিযোগ থাকে, সব নির্বাচনেই এমনটা হয়। তবে আমরা বন্দর উপজেলার জনগণকে একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেব। এ লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।