জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনে বাংলাদেশ দল
এএফসি এশিয়ান কাপ ফুটরলের মূলপর্বে খেলার আশা আগেই শেষ হয়ে গেছে। তবে বাকি দুই ম্যাচ জিততে চায় বাংলাদেশ দল। আর সেটা লাল সবুজের ফুটবলাররা শুরু করতে চান ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে জয় দিয়ে। শুক্রবার ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের অনুশীলন শুরুর আগে তাই জানালেন রহমত মিয়া ও শেখ মোরসালিনরা।
গত ১৮ নভেম্বর এই স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই প্রতিবেশী দেশ। প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বর্তমানে স্পেনে রয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে ১৫ জন ফুটবলারকে নিয়ে সহকারী কোচ হাসান আল মামুন অনুশীলন চালিয়ে নিচ্ছেন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ডিফেন্ডার রহমত মিয়া বলেন, ‘এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করতে না পারলেও দেশের জন্য লড়াই থেমে থাকতে পারে না। আমরা মাঠে নামবো গর্বের সঙ্গে খেলতে। সমর্থকদের মুখে হাসি ফেরানোই এখন আমাদের লক্ষ্য।’ আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাতিল হওয়া প্রীতি ম্যাচ নিয়েও আফসোসের সুর তার কণ্ঠে, ‘ওই ম্যাচটা হলে আমাদের প্রস্তুতিতে সাহায্য হতো। তবে যা হয়েছে, সেটা নিয়ে পড়ে থাকার সময় নেই। এখন সামনের দিকে তাকাতে হবে।’
তরুণ ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিনও একই মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায়। তার কথা, ‘এখন আমাদের মাথায় শুধুই জয়ের ভাবনা। ভারতের বিপক্ষে আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে চাই।’ মনোযোগ ও স্থিরতার গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন মোরসালিন, ‘ফুটবলে প্রত্যেক সেকেন্ডে মনোযোগ ধরে রাখা জরুরি। কখনো কখনো আমরা ফোকাস হারাই, আর সেখানেই গোল হজম করে বসি। এবার সেই ভুলগুলো শুধরে নিতে চাই।’ নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বিনয়ী মোরসালিন, ‘আমি ভালো খেলেছি কিনা, সেটা জানি না। তবে ক্ষুধাটা ধরে রাখতে চাই নিজের ভেতরের উন্নতির ক্ষুধা।’
এদিকে সহকারী কোচ হাসান আল মামুন জানিয়েছেন, প্রধান কোচ কাবরেরা স্পেন থেকে পুরো ক্যাম্পের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন। বলেন, ‘সব পরিকল্পনা আগেই সাজানো ছিল। আমরা তার দেওয়া নির্দেশনামতোই প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছি। হংকংয়ে আমরা ভুল করেছি, কিন্তু ঘরের মাঠে সবসময়ই ভিন্ন বাংলাদেশ। দর্শকদের আনন্দ দিতে পারাটাই এখন মূল লক্ষ্য।’
হাসান আল মামুন
স্পেন থেকে প্রধান কোচ আরও তিন-চার দিন পর ঢাকায় ফিরতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিলেন হাসান আল মামুন।
‘অনেক আগে থেকেই আমাদের প্রোগ্রাম সেট করা। আমাদের পরিকল্পনা করা আছে যে, ভারতের সঙ্গে আমাদের ছকটা কী হবে। এটা অনেক আগে থেকে তৈরি। কোচ তিন বা চার তারিখে চলে আসবেন। বাবা হয়েছেন। তাই উনি ওনার মিসেসের পাশে, পরিবারের পাশে আছেন।’
‘কোচিং স্টাফ আমরা সবাই জানি যে, প্রত্যেকদিন, প্রতি সপ্তাহে আমাদের প্রোগ্রামটা কী। এমনকি সে স্পেন থেকে কিন্তু আমাদের এই প্রোগ্রাম মনিটরিং করছে। আজকে আমাদের পুরোটা সেশন রেকর্ডিং হবে এবং এ সেশন কাবরেরা কাছে চলে যাবে। সে ফিডব্যাক দিবে। পরে কোনো ভুল থাকলে এটা আমরা ঠিক করে নেব। তবে ওভারঅল প্রোগ্রামটা ওরই দেয়া।’
বাছাইয়ে চার ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত জয়হীন বাংলাদেশ। বাছাই পেরুনোর স্বপ্ন আগেই গেছে গুঁড়িয়ে। ‘সি’ গ্রুপের টেবিলে দল ২ পয়েন্ট নিয়ে আছে তলানিতে। ভারত ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ফিরতি লেগের ম্যাচ দুটিই বাকি। হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, জায়ান আহমেদের মতো প্রবাসীদের নিয়ে গড়া দলের এমন অবস্থান মেনে নিতে পারছেন না হাসান আল মামুনও।
‘আসলে এই দল এটা ডিজার্ভ করে না। এই দলের যে ওজন এবং গত তিন বছরে হাভিয়েরের অধীনে যে দল হয়েছে, এই দলটা একটা পরিবর্তনের জায়গায় আছে, সেটা হচ্ছে আমাদের লেভেলকে পরিবর্তন। তাই এই টিম এটা ডিজার্ভ করে না। অবশ্যই আমরা সামনে দুটা ম্যাচে পয়েন্টের জন্য নামবো। জয়ের জন্য নামবো, কোনো সন্দেহ নেই।’
ভারতের বিপক্ষের ম্যাচটি ঘরের মাঠে বলে হাসান আল মামুন আরও বেশি আশাবাদী। এই আশা জানানোর ফাঁকেই ঘরের মাঠে হংকংয়ের বিপক্ষে অন্তিম সময়ের গোলে ৪-৩ ব্যবধানে হারের সেই হতাশা কথাও বললেন তিনি।
‘আসলে পরিসংখ্যান বলে যে, হোম ম্যাচগুলো আমরা ভালো খেলি, অ্যাওয়েতে খারাপ করি। বাংলাদেশের এটা অনেক পুরনো সমস্যা। আপনারা দেখেছেন, হোমে আসলে একটা বড় সুযোগ ছিল হংকং এর সঙ্গে জেতার। ফুটবল দিনশেষে অনেকটা এরকমই হয়।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনে বাংলাদেশ দল
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
এএফসি এশিয়ান কাপ ফুটরলের মূলপর্বে খেলার আশা আগেই শেষ হয়ে গেছে। তবে বাকি দুই ম্যাচ জিততে চায় বাংলাদেশ দল। আর সেটা লাল সবুজের ফুটবলাররা শুরু করতে চান ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে জয় দিয়ে। শুক্রবার ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের অনুশীলন শুরুর আগে তাই জানালেন রহমত মিয়া ও শেখ মোরসালিনরা।
গত ১৮ নভেম্বর এই স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই প্রতিবেশী দেশ। প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বর্তমানে স্পেনে রয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে ১৫ জন ফুটবলারকে নিয়ে সহকারী কোচ হাসান আল মামুন অনুশীলন চালিয়ে নিচ্ছেন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ডিফেন্ডার রহমত মিয়া বলেন, ‘এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করতে না পারলেও দেশের জন্য লড়াই থেমে থাকতে পারে না। আমরা মাঠে নামবো গর্বের সঙ্গে খেলতে। সমর্থকদের মুখে হাসি ফেরানোই এখন আমাদের লক্ষ্য।’ আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাতিল হওয়া প্রীতি ম্যাচ নিয়েও আফসোসের সুর তার কণ্ঠে, ‘ওই ম্যাচটা হলে আমাদের প্রস্তুতিতে সাহায্য হতো। তবে যা হয়েছে, সেটা নিয়ে পড়ে থাকার সময় নেই। এখন সামনের দিকে তাকাতে হবে।’
তরুণ ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিনও একই মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায়। তার কথা, ‘এখন আমাদের মাথায় শুধুই জয়ের ভাবনা। ভারতের বিপক্ষে আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে চাই।’ মনোযোগ ও স্থিরতার গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন মোরসালিন, ‘ফুটবলে প্রত্যেক সেকেন্ডে মনোযোগ ধরে রাখা জরুরি। কখনো কখনো আমরা ফোকাস হারাই, আর সেখানেই গোল হজম করে বসি। এবার সেই ভুলগুলো শুধরে নিতে চাই।’ নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বিনয়ী মোরসালিন, ‘আমি ভালো খেলেছি কিনা, সেটা জানি না। তবে ক্ষুধাটা ধরে রাখতে চাই নিজের ভেতরের উন্নতির ক্ষুধা।’
এদিকে সহকারী কোচ হাসান আল মামুন জানিয়েছেন, প্রধান কোচ কাবরেরা স্পেন থেকে পুরো ক্যাম্পের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন। বলেন, ‘সব পরিকল্পনা আগেই সাজানো ছিল। আমরা তার দেওয়া নির্দেশনামতোই প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছি। হংকংয়ে আমরা ভুল করেছি, কিন্তু ঘরের মাঠে সবসময়ই ভিন্ন বাংলাদেশ। দর্শকদের আনন্দ দিতে পারাটাই এখন মূল লক্ষ্য।’
হাসান আল মামুন
স্পেন থেকে প্রধান কোচ আরও তিন-চার দিন পর ঢাকায় ফিরতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিলেন হাসান আল মামুন।
‘অনেক আগে থেকেই আমাদের প্রোগ্রাম সেট করা। আমাদের পরিকল্পনা করা আছে যে, ভারতের সঙ্গে আমাদের ছকটা কী হবে। এটা অনেক আগে থেকে তৈরি। কোচ তিন বা চার তারিখে চলে আসবেন। বাবা হয়েছেন। তাই উনি ওনার মিসেসের পাশে, পরিবারের পাশে আছেন।’
‘কোচিং স্টাফ আমরা সবাই জানি যে, প্রত্যেকদিন, প্রতি সপ্তাহে আমাদের প্রোগ্রামটা কী। এমনকি সে স্পেন থেকে কিন্তু আমাদের এই প্রোগ্রাম মনিটরিং করছে। আজকে আমাদের পুরোটা সেশন রেকর্ডিং হবে এবং এ সেশন কাবরেরা কাছে চলে যাবে। সে ফিডব্যাক দিবে। পরে কোনো ভুল থাকলে এটা আমরা ঠিক করে নেব। তবে ওভারঅল প্রোগ্রামটা ওরই দেয়া।’
বাছাইয়ে চার ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত জয়হীন বাংলাদেশ। বাছাই পেরুনোর স্বপ্ন আগেই গেছে গুঁড়িয়ে। ‘সি’ গ্রুপের টেবিলে দল ২ পয়েন্ট নিয়ে আছে তলানিতে। ভারত ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ফিরতি লেগের ম্যাচ দুটিই বাকি। হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, জায়ান আহমেদের মতো প্রবাসীদের নিয়ে গড়া দলের এমন অবস্থান মেনে নিতে পারছেন না হাসান আল মামুনও।
‘আসলে এই দল এটা ডিজার্ভ করে না। এই দলের যে ওজন এবং গত তিন বছরে হাভিয়েরের অধীনে যে দল হয়েছে, এই দলটা একটা পরিবর্তনের জায়গায় আছে, সেটা হচ্ছে আমাদের লেভেলকে পরিবর্তন। তাই এই টিম এটা ডিজার্ভ করে না। অবশ্যই আমরা সামনে দুটা ম্যাচে পয়েন্টের জন্য নামবো। জয়ের জন্য নামবো, কোনো সন্দেহ নেই।’
ভারতের বিপক্ষের ম্যাচটি ঘরের মাঠে বলে হাসান আল মামুন আরও বেশি আশাবাদী। এই আশা জানানোর ফাঁকেই ঘরের মাঠে হংকংয়ের বিপক্ষে অন্তিম সময়ের গোলে ৪-৩ ব্যবধানে হারের সেই হতাশা কথাও বললেন তিনি।
‘আসলে পরিসংখ্যান বলে যে, হোম ম্যাচগুলো আমরা ভালো খেলি, অ্যাওয়েতে খারাপ করি। বাংলাদেশের এটা অনেক পুরনো সমস্যা। আপনারা দেখেছেন, হোমে আসলে একটা বড় সুযোগ ছিল হংকং এর সঙ্গে জেতার। ফুটবল দিনশেষে অনেকটা এরকমই হয়।’