শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে নারী কাবাডি বিশ্বকাপের উদ্বোধন করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা -সোহরাব আলম
বর্ণাঢ্য আয়োজনে সোমবার,(১৭ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকায় শুরু হয়েছে নারী কাবাডি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ১১ দলের খেলোয়াড়, কোচ, প্রতিনিধিদের বর্ণিল উপস্থিতির সঙ্গে মিরপুর ইনডোরের গ্যালারি ছিল ছাত্র-ছাত্রীর কলরবে মুখর।
শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্বকাপের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
অতিথিদের বক্তব্য পর্ব শেষে স্টেডিয়ামের বাতি নিভিয়ে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলো-আধারী আবহে নৃত্যশিল্পীরা আদিবাসী, আধুনিক গানের সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেন বাংলাদেশের আবহমান কালের ঐতিহ্য। বাংলাদেশ-উগান্ডা ম্যাচ দিয়ে মাঠের লড়াই শুরুর আগ পর্যন্ত ঢাক-ঢোলের বাদ্যে, বিভু, সমতল, পাহাড়ি নৃত্য উপভোগ করলেন গ্যালারিতে আসা সমর্থকরা।
২০১২ সালের ১৩ বছর পর বিশ্বকাপের আরেকটি আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত সবাই। বৈশ্বিক নারী কাবাডি বিশ্বকাপ প্রথমবারের মতো আয়োজন করছে বাংলাদেশ, আয়োজকদের প্রস্তুতি ও আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন অভ্যাগতদের সবাই।
প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আজ (সোমবার) বাংলাদেশের জন্য এটি একটি গর্বের এবং ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমাদের প্রিয় ঢাকায় প্রথমবারের মতো এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা কেবল একটি সম্মানের বিষয় নয়- এটি ক্রীড়া জগতে বাংলাদেশের সক্ষমতা এবং দৃঢ়তার প্রমাণ।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কাবাডি আমাদের কাছে একটি খেলার চেয়েও বেশি কিছু। এটি আমাদের সাহস, আমাদের ঐতিহ্য এবং আমাদের জাতীয় চেতনার প্রতীক। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাংলাদেশিরা এই খেলার সঙ্গে বেড়ে উঠেছে এবং এখন বিশ্ব মঞ্চে। বাংলাদেশে এটি আয়োজন করা একটি স্বপ্ন পূরণের মতো।’
বিশেষ অতিথি আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনে সভাপতি বিনোদ কুমার তিওয়ারি বলেন, ‘প্রতিটি দলের খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা সবাইকে ঢাকায় স্বাগতম। কাবাডি মানুষের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করবে, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করবে বলে আমি আশা করি। আসুন এই প্রতিযোগিতাকে আমরা স্মরণীয় করে তুলি।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি, পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম এবং কাবাডি ফেডারেশনের অন্য কর্মকর্তারা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে নারী কাবাডি বিশ্বকাপের উদ্বোধন করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা -সোহরাব আলম
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
বর্ণাঢ্য আয়োজনে সোমবার,(১৭ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকায় শুরু হয়েছে নারী কাবাডি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ১১ দলের খেলোয়াড়, কোচ, প্রতিনিধিদের বর্ণিল উপস্থিতির সঙ্গে মিরপুর ইনডোরের গ্যালারি ছিল ছাত্র-ছাত্রীর কলরবে মুখর।
শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্বকাপের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
অতিথিদের বক্তব্য পর্ব শেষে স্টেডিয়ামের বাতি নিভিয়ে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলো-আধারী আবহে নৃত্যশিল্পীরা আদিবাসী, আধুনিক গানের সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেন বাংলাদেশের আবহমান কালের ঐতিহ্য। বাংলাদেশ-উগান্ডা ম্যাচ দিয়ে মাঠের লড়াই শুরুর আগ পর্যন্ত ঢাক-ঢোলের বাদ্যে, বিভু, সমতল, পাহাড়ি নৃত্য উপভোগ করলেন গ্যালারিতে আসা সমর্থকরা।
২০১২ সালের ১৩ বছর পর বিশ্বকাপের আরেকটি আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত সবাই। বৈশ্বিক নারী কাবাডি বিশ্বকাপ প্রথমবারের মতো আয়োজন করছে বাংলাদেশ, আয়োজকদের প্রস্তুতি ও আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন অভ্যাগতদের সবাই।
প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আজ (সোমবার) বাংলাদেশের জন্য এটি একটি গর্বের এবং ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমাদের প্রিয় ঢাকায় প্রথমবারের মতো এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা কেবল একটি সম্মানের বিষয় নয়- এটি ক্রীড়া জগতে বাংলাদেশের সক্ষমতা এবং দৃঢ়তার প্রমাণ।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কাবাডি আমাদের কাছে একটি খেলার চেয়েও বেশি কিছু। এটি আমাদের সাহস, আমাদের ঐতিহ্য এবং আমাদের জাতীয় চেতনার প্রতীক। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাংলাদেশিরা এই খেলার সঙ্গে বেড়ে উঠেছে এবং এখন বিশ্ব মঞ্চে। বাংলাদেশে এটি আয়োজন করা একটি স্বপ্ন পূরণের মতো।’
বিশেষ অতিথি আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনে সভাপতি বিনোদ কুমার তিওয়ারি বলেন, ‘প্রতিটি দলের খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা সবাইকে ঢাকায় স্বাগতম। কাবাডি মানুষের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করবে, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করবে বলে আমি আশা করি। আসুন এই প্রতিযোগিতাকে আমরা স্মরণীয় করে তুলি।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি, পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম এবং কাবাডি ফেডারেশনের অন্য কর্মকর্তারা।