এশিয়া কাপ বাছাই
সবার জন্য জিততে চান জামাল ভূঁইয়া
সোমবার সংবাদ সম্মেলনের পর দুই অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও সন্দীপ দিঘা
এশিয়া কাপ বাছাই ফুটবলের ফিরতি লেগে ভারতকে হারিয়ে বছরটা ভালভাবে শেষ করতে চান বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়।
বাছাই পেরুনোর দৌড় থেকে অবশ্য বাংলাদেশ ও ভারত ছিটকে গেছে আগেই। চার ম্যাচে জয় নেই কারও। বাকি দুই ম্যাচ তাই দুই দলের জন্য ‘সি’ গ্রুপের টেবিলে তৃতীয় স্থানে থাকা এবং শেষ ভালোর সুযোগ।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা, আর সেটা যদি হয় নিজেদের মাঠে তাহলে উত্তেজনার পারদ কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা সহজেই অনুমেয়। ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচকে ঘিরে উত্তেজনা রয়েছে পুরো বাংলাদেশ শিবিরে।
সোমবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেছেন লাল-সবুজের অধিনায়ক, ‘অবশ্যই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সবসময়ই উত্তেজনাকর। সবাই ম্যাচটিকে নিয়ে দারুণ উজ্জীবিত। বছরের শেষ ম্যাচ, তাও আবার ভারতের বিপক্ষে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছি।’
২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলা জামাল ভূঁইয়া ইতোমধ্যেই ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচকে ঘিরে বাড়তি আবেগ, অনুভূতির বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। দলের সবার মধ্যেই এই একই অনুভূতি বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন জাতীয় দল কোন জয় পায়নি। ইংলিশ লীগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলার যোগ দেয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ নিয়ে সমর্থকদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে দারুণ উত্তেজনা।
জামাল বলেন, ‘এটা অনেক ইমোশনালর ম্যাচ। এরপর দীর্ঘদিন জাতীয় দলের কোনো ম্যাচ নেই। সে কারণেই ম্যাচটি সমর্থক, সবার জন্য জিততে চাই। অবশ্যই এজন্য আবেগকে সামাল দিয়ে খেলতে হবে। চাপতো থাকবেই, অধিনায়ক হিসেবে সেই চাপ সামলানোর দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে। একাদশে খেলতে পারবো কিনা সেটা কোচ, দলীয় ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করছে। কিন্তু সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরতে চাই।’
ভারত-বাংলাদেশ লড়াই মানেই খেলোয়াড়দের মধ্যে বাড়তি একটি চাপ। জামাল সেটা মেনে নিয়েই বলেছেন, ‘কালকের ম্যাচে অনেক ফ্রি-কিক হবে, হলুদ কার্ড হবে। তবে আমি এটিকে একটি স্বাভাবিক ম্যাচ হিসেবেই দেখবো। আমাদের মস্তিষ্ক ব্যবহার করে খেলতে হবে।’ জামালের চোখে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই এবার ভারতকে হারানোর সুযোগও দেখছেন তিনি, ‘আমরা যে অবস্থায় আছি এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তার ওপর একটি কথা বলতে চাই, ভারত এই মুহূর্তে সেরা অবস্থায় নেই। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে।’
ভারত যদি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে তবে বাংলাদেশও সেভাবেই কৌশল সাজাবে। যদিও বাংলাদেশের রক্ষণভাগের দুর্বলতা স্বীকার করে জামাল বলেছেন, ‘ডিফেন্সে অবশ্যই আমাদের সমস্যা আছে। তবে ভারত যদি অনেক ওপরে উঠে খেলে, তাহলে আমরা সামনে অনেক স্পেস পাবো। আক্রমণে যারা খেলবে ওরা অনেক গতিময় খেলোয়াড়। রাকিব সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুতগতির স্ট্রাইকার। তাকে যদি ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারি, তাহলে ভারতের রক্ষণভাগে যেই থাকুক না কেন রাকিব তছনছ করে দিতে পারে।’
২০০৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের পর ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে কলকাতার মাঠে দারুণ সুযোগ কড়া নেড়েছিল দুয়ারে। সাদ উদ্দিন দলকে এগিয়ে নিয়ে জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন, কিন্ত শেষ দিকের গোলে জয়ের স্বপ্ন ভাঙে। সর্বশেষ এশিয়ান কাপ বাছাইয়েই নিজেদের প্রথম ম্যাচে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ।
স্বাভাবিকভাবেই অপ্রাপ্তি আছে জামালের। এখনও ভারতের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পাননি তিনি। এবার তা পেতে মুখিয়ে আছেন জামাল।
সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশ বিশেষ করে তাকিয়ে থাকবে হামজা চৌধুরীর দিকে। ইংল্যান্ড প্রবাসী এ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এরই মধ্যে লাল-সবুজের জার্সিতে ছয় ম্যাচে করেছেন ৪ গোল। যার দুটিতে অ্যাসিস্ট ছিল জামালের। দুজনের মধ্যে দারুণ বনিবনার কারণটাও জানালেন অধিনায়ক।
‘আমি সৌভাগ্যবান যে হামজাকে অ্যাসিস্ট করতে পেরেছি। একটা কর্নার থেকে আর একটা বাইসাইকেল গোলে। বাইসাইকেল গোলটা আমার দেখা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা। অবশ্যই এক নম্বরে থাকবে।’
‘হামজা বিদেশ থেকে এসেছে আমার মতন। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভালো। হামজার যখনই কোনো সমস্যা হয় আমাকে টেক্সট করে বা কল করে। ফুটবল নিয়ে কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আমি হামজাকে জিজ্ঞাসা করি। আমাদের মধ্যের এই বোঝাপড়া মাঠের বাইরে থেকে শুরু হয়েছে।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
এশিয়া কাপ বাছাই
সবার জন্য জিততে চান জামাল ভূঁইয়া
সোমবার সংবাদ সম্মেলনের পর দুই অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও সন্দীপ দিঘা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
এশিয়া কাপ বাছাই ফুটবলের ফিরতি লেগে ভারতকে হারিয়ে বছরটা ভালভাবে শেষ করতে চান বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়।
বাছাই পেরুনোর দৌড় থেকে অবশ্য বাংলাদেশ ও ভারত ছিটকে গেছে আগেই। চার ম্যাচে জয় নেই কারও। বাকি দুই ম্যাচ তাই দুই দলের জন্য ‘সি’ গ্রুপের টেবিলে তৃতীয় স্থানে থাকা এবং শেষ ভালোর সুযোগ।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা, আর সেটা যদি হয় নিজেদের মাঠে তাহলে উত্তেজনার পারদ কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা সহজেই অনুমেয়। ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচকে ঘিরে উত্তেজনা রয়েছে পুরো বাংলাদেশ শিবিরে।
সোমবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেছেন লাল-সবুজের অধিনায়ক, ‘অবশ্যই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সবসময়ই উত্তেজনাকর। সবাই ম্যাচটিকে নিয়ে দারুণ উজ্জীবিত। বছরের শেষ ম্যাচ, তাও আবার ভারতের বিপক্ষে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছি।’
২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলা জামাল ভূঁইয়া ইতোমধ্যেই ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচকে ঘিরে বাড়তি আবেগ, অনুভূতির বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। দলের সবার মধ্যেই এই একই অনুভূতি বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন জাতীয় দল কোন জয় পায়নি। ইংলিশ লীগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলার যোগ দেয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ নিয়ে সমর্থকদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে দারুণ উত্তেজনা।
জামাল বলেন, ‘এটা অনেক ইমোশনালর ম্যাচ। এরপর দীর্ঘদিন জাতীয় দলের কোনো ম্যাচ নেই। সে কারণেই ম্যাচটি সমর্থক, সবার জন্য জিততে চাই। অবশ্যই এজন্য আবেগকে সামাল দিয়ে খেলতে হবে। চাপতো থাকবেই, অধিনায়ক হিসেবে সেই চাপ সামলানোর দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে। একাদশে খেলতে পারবো কিনা সেটা কোচ, দলীয় ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করছে। কিন্তু সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরতে চাই।’
ভারত-বাংলাদেশ লড়াই মানেই খেলোয়াড়দের মধ্যে বাড়তি একটি চাপ। জামাল সেটা মেনে নিয়েই বলেছেন, ‘কালকের ম্যাচে অনেক ফ্রি-কিক হবে, হলুদ কার্ড হবে। তবে আমি এটিকে একটি স্বাভাবিক ম্যাচ হিসেবেই দেখবো। আমাদের মস্তিষ্ক ব্যবহার করে খেলতে হবে।’ জামালের চোখে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই এবার ভারতকে হারানোর সুযোগও দেখছেন তিনি, ‘আমরা যে অবস্থায় আছি এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তার ওপর একটি কথা বলতে চাই, ভারত এই মুহূর্তে সেরা অবস্থায় নেই। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে।’
ভারত যদি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে তবে বাংলাদেশও সেভাবেই কৌশল সাজাবে। যদিও বাংলাদেশের রক্ষণভাগের দুর্বলতা স্বীকার করে জামাল বলেছেন, ‘ডিফেন্সে অবশ্যই আমাদের সমস্যা আছে। তবে ভারত যদি অনেক ওপরে উঠে খেলে, তাহলে আমরা সামনে অনেক স্পেস পাবো। আক্রমণে যারা খেলবে ওরা অনেক গতিময় খেলোয়াড়। রাকিব সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুতগতির স্ট্রাইকার। তাকে যদি ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারি, তাহলে ভারতের রক্ষণভাগে যেই থাকুক না কেন রাকিব তছনছ করে দিতে পারে।’
২০০৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের পর ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে কলকাতার মাঠে দারুণ সুযোগ কড়া নেড়েছিল দুয়ারে। সাদ উদ্দিন দলকে এগিয়ে নিয়ে জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন, কিন্ত শেষ দিকের গোলে জয়ের স্বপ্ন ভাঙে। সর্বশেষ এশিয়ান কাপ বাছাইয়েই নিজেদের প্রথম ম্যাচে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ।
স্বাভাবিকভাবেই অপ্রাপ্তি আছে জামালের। এখনও ভারতের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পাননি তিনি। এবার তা পেতে মুখিয়ে আছেন জামাল।
সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশ বিশেষ করে তাকিয়ে থাকবে হামজা চৌধুরীর দিকে। ইংল্যান্ড প্রবাসী এ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এরই মধ্যে লাল-সবুজের জার্সিতে ছয় ম্যাচে করেছেন ৪ গোল। যার দুটিতে অ্যাসিস্ট ছিল জামালের। দুজনের মধ্যে দারুণ বনিবনার কারণটাও জানালেন অধিনায়ক।
‘আমি সৌভাগ্যবান যে হামজাকে অ্যাসিস্ট করতে পেরেছি। একটা কর্নার থেকে আর একটা বাইসাইকেল গোলে। বাইসাইকেল গোলটা আমার দেখা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা। অবশ্যই এক নম্বরে থাকবে।’
‘হামজা বিদেশ থেকে এসেছে আমার মতন। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভালো। হামজার যখনই কোনো সমস্যা হয় আমাকে টেক্সট করে বা কল করে। ফুটবল নিয়ে কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আমি হামজাকে জিজ্ঞাসা করি। আমাদের মধ্যের এই বোঝাপড়া মাঠের বাইরে থেকে শুরু হয়েছে।’