জয় দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর শুরু করল ফরচুন বরিশাল। উদ্বোধনি দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৪ উইকেটে পরাজিত করেছে বরিশাল। মুলত বরিশালের অভিজ্ঞতা হারিয়েছে চট্টগ্রামের তারুণ্যকে। টি-টোয়েন্টিকে তরুণদের খেলা বলা হলেও ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণেও যে অভিজ্ঞতার বড্ড প্রয়োজন সেই বিষয়টাই যেন দেখা গেল মিরপুরে।
মিরাজের চট্টগ্রামের দেওয়া ১২৬ সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে সাকিবরা। যদিও মিরপুরের উইকেটে লক্ষ্যটা সহজ বলা একটু কঠিনই বটে। নাসুমের প্রথম ওভার বরিশাল ফরচুনের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার সৈকত আলি এবং নাজমুল হাসান শান্ত মিলে কোনোরকমে পার করতে পারলেও দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র ১ রান করে কাটা পড়েন শান্ত। তাকে ফেরান চট্টলা কাপ্তান মেহেদী মিরাজ।
এরপর দলীয় ২৮ রানে সাকিবও ফেরেন সাজঘরে, তার আগে ১৬ বলে করেছেন ১৩ রান। তখন হাল ধরেন সৈকত আলী। ২৫ বলে ৩৯ রান করে বিদায় নেওয়ার আগে সৈকত হাঁকান ১টি চার ও ২টি ছক্কা।
তারপর আবারও মিরাজ ঝড়ে এলোমেলো বরিশাল। কিন্তু দিনশেষে সেই অভিজ্ঞতার কাছেই হেরেছে চট্টগ্রাম। হালের বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বোলার শরিফুলকেও যেন মনে হয়েছে এলোমেলো। দ্রুত উইকেট হারিয়েও বরিশাল আবারও ম্যাচে ফিরে আসে ব্রাভো আর জিয়ার ব্যাটে।
ব্রাভোর ১০ বলে ১২ এবং জিয়ার ১২ বলে ১৯ রানের সুবাদে সহজেই ম্যাচ জিতে নেই বরিশাল। চট্টগ্রামের হয়ে অধিনায়ক মিরাজ বিপিএলে নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন। ৪ ওভার বল করে ১৬ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। এমন বোলিং করার পরেও পরাজিত দলের অধিনায়ক হিসেবেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাকে৷
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই নাঈম হাসানকে ছক্কা হাঁকান ক্যারিবীয় ওপেনার কেনার লুইস। তবে লুইস-শো এখানে থামে। নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে তালুবন্দী হয়ে ৬ রানেই থামে লুইসের ইনিংস। নাঈমের পর দলকে সাফল্য এনে দেন আলজারি জোসেফ। ৬ রান করে আফিফ হোসেন ধ্রুব শিকার হন জোসেফের। ২২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চট্টগ্রাম।
আশা জাগিয়েও ইনিংস বড় করত্যে পারেননি সাব্বির রহমান। আলঝারির ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকালেও, সাকিব আল হাসানের করা পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ভুল লাইনে খেলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ৮ রান করা সাব্বির। তাকে আউট করার মাধ্যমে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের উইকেট বেড়ে হয় ৩৯৯।
সাব্বিরের বিদায়ের পর সাজঘরে ফিউরে যান ওপেনার জ্যাকসও (১৬) থিতু হতে পারেননি। দলীয় রান পঞ্চাশ পেরোতেই অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের বিদায় ঘটে। ৯ রান করতে মিরাজকে মোকাবেলা করতে হয় ২০ বল। আরেক তরুণ শামীম পাটোয়ারী ২৩ বল খেলে করতে পেরেছেন মাত্র ১৪ রান। অভিজ্ঞ নাইম ইসলাম ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েও ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি।
চট্টগ্রামের ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন অলরাউন্ডার হাওয়েল। দেশি-বিদেশি অন্য ব্যাটসম্যানরা যেখানে খাবি খেয়েছেন সেখানে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন তিনি। আলজারি জোসেফের করা ১৯তম ওভারে নিয়েছেন ১৬ রান!
৩টি করে চার-ছয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি থামেন ২০ বলে ৪১ রান করে। তার ইনিংসের কল্যাণেই নির্ধারীত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১২৫ রানের পূজি পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন আলঝারি জোসেফ, নাইম হাসানের শিকার দুই উইকেট।
শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২
জয় দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর শুরু করল ফরচুন বরিশাল। উদ্বোধনি দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৪ উইকেটে পরাজিত করেছে বরিশাল। মুলত বরিশালের অভিজ্ঞতা হারিয়েছে চট্টগ্রামের তারুণ্যকে। টি-টোয়েন্টিকে তরুণদের খেলা বলা হলেও ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণেও যে অভিজ্ঞতার বড্ড প্রয়োজন সেই বিষয়টাই যেন দেখা গেল মিরপুরে।
মিরাজের চট্টগ্রামের দেওয়া ১২৬ সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে সাকিবরা। যদিও মিরপুরের উইকেটে লক্ষ্যটা সহজ বলা একটু কঠিনই বটে। নাসুমের প্রথম ওভার বরিশাল ফরচুনের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার সৈকত আলি এবং নাজমুল হাসান শান্ত মিলে কোনোরকমে পার করতে পারলেও দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র ১ রান করে কাটা পড়েন শান্ত। তাকে ফেরান চট্টলা কাপ্তান মেহেদী মিরাজ।
এরপর দলীয় ২৮ রানে সাকিবও ফেরেন সাজঘরে, তার আগে ১৬ বলে করেছেন ১৩ রান। তখন হাল ধরেন সৈকত আলী। ২৫ বলে ৩৯ রান করে বিদায় নেওয়ার আগে সৈকত হাঁকান ১টি চার ও ২টি ছক্কা।
তারপর আবারও মিরাজ ঝড়ে এলোমেলো বরিশাল। কিন্তু দিনশেষে সেই অভিজ্ঞতার কাছেই হেরেছে চট্টগ্রাম। হালের বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বোলার শরিফুলকেও যেন মনে হয়েছে এলোমেলো। দ্রুত উইকেট হারিয়েও বরিশাল আবারও ম্যাচে ফিরে আসে ব্রাভো আর জিয়ার ব্যাটে।
ব্রাভোর ১০ বলে ১২ এবং জিয়ার ১২ বলে ১৯ রানের সুবাদে সহজেই ম্যাচ জিতে নেই বরিশাল। চট্টগ্রামের হয়ে অধিনায়ক মিরাজ বিপিএলে নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন। ৪ ওভার বল করে ১৬ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। এমন বোলিং করার পরেও পরাজিত দলের অধিনায়ক হিসেবেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাকে৷
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই নাঈম হাসানকে ছক্কা হাঁকান ক্যারিবীয় ওপেনার কেনার লুইস। তবে লুইস-শো এখানে থামে। নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে তালুবন্দী হয়ে ৬ রানেই থামে লুইসের ইনিংস। নাঈমের পর দলকে সাফল্য এনে দেন আলজারি জোসেফ। ৬ রান করে আফিফ হোসেন ধ্রুব শিকার হন জোসেফের। ২২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চট্টগ্রাম।
আশা জাগিয়েও ইনিংস বড় করত্যে পারেননি সাব্বির রহমান। আলঝারির ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকালেও, সাকিব আল হাসানের করা পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ভুল লাইনে খেলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ৮ রান করা সাব্বির। তাকে আউট করার মাধ্যমে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের উইকেট বেড়ে হয় ৩৯৯।
সাব্বিরের বিদায়ের পর সাজঘরে ফিউরে যান ওপেনার জ্যাকসও (১৬) থিতু হতে পারেননি। দলীয় রান পঞ্চাশ পেরোতেই অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের বিদায় ঘটে। ৯ রান করতে মিরাজকে মোকাবেলা করতে হয় ২০ বল। আরেক তরুণ শামীম পাটোয়ারী ২৩ বল খেলে করতে পেরেছেন মাত্র ১৪ রান। অভিজ্ঞ নাইম ইসলাম ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েও ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি।
চট্টগ্রামের ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন অলরাউন্ডার হাওয়েল। দেশি-বিদেশি অন্য ব্যাটসম্যানরা যেখানে খাবি খেয়েছেন সেখানে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন তিনি। আলজারি জোসেফের করা ১৯তম ওভারে নিয়েছেন ১৬ রান!
৩টি করে চার-ছয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি থামেন ২০ বলে ৪১ রান করে। তার ইনিংসের কল্যাণেই নির্ধারীত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১২৫ রানের পূজি পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন আলঝারি জোসেফ, নাইম হাসানের শিকার দুই উইকেট।