স্মরনকালের ভয়াবহ তাবদাহ অব্যাহত রংপুর বিভাগ জুড়ে
স্মরনকালের ভয়াবহ দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে রংপুরসহ পুরো বিভাগ জুড়ে। সেই সাথে প্রচন্ড উত্তপ্ত বাতাস এবং হাঁসফাঁস করা প্রচন্ড গরমে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। হিট ষ্ট্রোক , ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ বালাই ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে তিলধারনের জায়গা নেই। ওয়ার্ডের ভেতরে বেডগুলো অনেক আগেই রোগীতে পূর্ণ। এখন ওয়ার্ডের বাইরে প্রবেশ পথ সহ আশেপাশের্^র চিপা গলিতেও ঠাসাঠাসি অবস্থায় অমানবেতর ভাবে চিকিৎসা পাবার আশায় অবস্থান করছে রোগীরা।
মেডিসিন ওয়ার্ডের বেশিরভাগ সিলিং ফ্যান নষ্ট, যে গুলো সচল আছে সেগুলো আবার ভালভাবে ঘোরে না। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন রংপুরসহ আশেপাশের জেলা থেকে ৮ থেকে ১০ জন হিট ষ্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা পাবার আশায় ভর্তি হচ্ছে। গত ৫ দিনে হিট ষ্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ২২ রোগী মারা গেছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার রংপুর বিভাগের সর্ব্বচ্য তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ ছাড়া গাইবান্ধায় ৩৯ ডিগ্রী, দিনাজপুরে ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রী, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রী, রংপুরে ৩৮ ডিগ্রী ঠাকুরগাও , লালমনিরহাট ও নীলফামারীর ডিমলায় ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ কামরুল হাসান জানিয়েছেন, রংপুর বিভাগে এখন মাঝারী থেকে উচ্চ মাত্রার তাপপ্রবাহ চলছে। এটা পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে অব্যাহত থাকবে, এরপরও চলতে পারে।
প্রচন্ড গরমের কারনে রংপুরে বিশেষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেননা। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে দিন আনা দিন খাওয়া শ্রমজিবী হাজার হাজার নারী পুরুষ। তারা কাজে বের হলেও বেশীক্ষন অবস্থান করতে না পেরে কাজ না করেই ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা, আখতারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ওয়ার্ডের সিলিং ফ্যান গুলো সচল আছে, বিকল হলেই সচল করার উদ্যেগ নেয়া হয়। হাসপাতালে হিট ষ্ট্রোকে আক্রান্ত অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে মারা যাওয়ার বিষয়টি ওই ভাবে বলা যায়না। কেননা হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অনেক রোগীই মারা যায় এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে বেড সংখ্যার ২/৩ গুন রোগী থাকায় তাদের উপর বাড়তি চাপ পড়ছে, তার পরেও তারা চেষ্টা করছেন সর্ব্বচ্য সেবা দেবার জন্য।
স্মরনকালের ভয়াবহ তাবদাহ অব্যাহত রংপুর বিভাগ জুড়ে
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
স্মরনকালের ভয়াবহ দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে রংপুরসহ পুরো বিভাগ জুড়ে। সেই সাথে প্রচন্ড উত্তপ্ত বাতাস এবং হাঁসফাঁস করা প্রচন্ড গরমে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। হিট ষ্ট্রোক , ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ বালাই ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে তিলধারনের জায়গা নেই। ওয়ার্ডের ভেতরে বেডগুলো অনেক আগেই রোগীতে পূর্ণ। এখন ওয়ার্ডের বাইরে প্রবেশ পথ সহ আশেপাশের্^র চিপা গলিতেও ঠাসাঠাসি অবস্থায় অমানবেতর ভাবে চিকিৎসা পাবার আশায় অবস্থান করছে রোগীরা।
মেডিসিন ওয়ার্ডের বেশিরভাগ সিলিং ফ্যান নষ্ট, যে গুলো সচল আছে সেগুলো আবার ভালভাবে ঘোরে না। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন রংপুরসহ আশেপাশের জেলা থেকে ৮ থেকে ১০ জন হিট ষ্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা পাবার আশায় ভর্তি হচ্ছে। গত ৫ দিনে হিট ষ্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ২২ রোগী মারা গেছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার রংপুর বিভাগের সর্ব্বচ্য তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ ছাড়া গাইবান্ধায় ৩৯ ডিগ্রী, দিনাজপুরে ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রী, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রী, রংপুরে ৩৮ ডিগ্রী ঠাকুরগাও , লালমনিরহাট ও নীলফামারীর ডিমলায় ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ কামরুল হাসান জানিয়েছেন, রংপুর বিভাগে এখন মাঝারী থেকে উচ্চ মাত্রার তাপপ্রবাহ চলছে। এটা পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে অব্যাহত থাকবে, এরপরও চলতে পারে।
প্রচন্ড গরমের কারনে রংপুরে বিশেষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেননা। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে দিন আনা দিন খাওয়া শ্রমজিবী হাজার হাজার নারী পুরুষ। তারা কাজে বের হলেও বেশীক্ষন অবস্থান করতে না পেরে কাজ না করেই ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা, আখতারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ওয়ার্ডের সিলিং ফ্যান গুলো সচল আছে, বিকল হলেই সচল করার উদ্যেগ নেয়া হয়। হাসপাতালে হিট ষ্ট্রোকে আক্রান্ত অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে মারা যাওয়ার বিষয়টি ওই ভাবে বলা যায়না। কেননা হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অনেক রোগীই মারা যায় এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে বেড সংখ্যার ২/৩ গুন রোগী থাকায় তাদের উপর বাড়তি চাপ পড়ছে, তার পরেও তারা চেষ্টা করছেন সর্ব্বচ্য সেবা দেবার জন্য।