ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ
দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে মাঠে নেমেও লিভারপুল মঙ্গলবার রাতে ২-১ গোলে সাউদাম্পটনকে পরাজিত করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে। লিভারপুল এ ম্যাচে জয়ী হওয়ায় প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নির্ধারণ হবে শেষ রাউন্ডের ফলের উপর নির্ভর করে।
ইংলিশ লিগের দলগুলোর খেলায় হয়েছে ৩৭টি করে। বাকি আছে মাত্র একটি ম্যাচ এবং শিরোপার স্বপ্ন বাচিয়ে রাখা দুই দলের পয়েন্টের ব্যবধান মাত্র এক। ৩৭ ম্যাচ থেকে ম্যানসিটি ৯০ পয়েন্টে নিয়ে আছে শীর্ষে এবং লিভারপুল ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। রবিবার শেষ রাউন্ডে ম্যানসিটি নিজেদের মাঠে খেলবে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে এবং একই সময়ে লিভারপুলের প্রতিপক্ষ উলভারহ্যাম্পটন।
শেষ রাউন্ডে ম্যানসিটি যদি জিতে যায় তাহলে তারাই হয়ে যাবে চ্যাম্পিয়ন। তারা যদি জিততে না পারে তাহলেই কেবল সুযোগ আসবে লিভারপুলের সামনে। ম্যানসিটি যদি হেরে যায় এবং লিভারপুল ড্র করে তাহলে উভয় দলের পয়েন্ট সমান হবে। তবে গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় ম্যানসিটিই চ্যাম্পিয়ন হবে। অপর দিকে শিরোপা জিততে হলে লিভারপুলের কেবল নিজেদের ম্যাচে জিতলেই চলবে না একই সাথে পয়েন্ট হারাতে হবে ম্যানসিটিকেও। ম্যানসিটির শিরোপা জেতার জন্য অন্য কারুর উপর নির্ভর করতে হবে না। তাদের ম্যাচ জিতলেই চলবে। এমনকি ড্র করলেও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, সে ক্ষেত্রে জয় বঞ্চিত থাকতে হবে লিভারপুলকে।
লিভারপুল উঠেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। প্রিমিয়ার লিগের চেয়ে সেখানে তাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা বেশী থাকায় কোচ ইয়োর্গেন ক্লপ নিয়মিত দলের নয়জন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে দল গঠন করেন সাউদাম্পটনের বিপক্ষে। ইনজুরিতে থাকায় মোহামেদ সালাহ এবং ভার্জিল ফন ডাইক ছিলেন না দলে। খেলার ১৩ মিনিটের মাথায় নাথান রেডমন্ড গোল করে সাউদাম্পটনকে এগিয়ে দিলে চিন্তায় পড়ে যান কোচ। যদিও রবার্তো ফিরমিনো অল্প সময়ের মধ্যেই প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। লিভারপুল সমতায় ফেরে ২৭ মিনিটে তাকুমি মিনামিনোর গোলে।
এ গোলের পরই যেন সাউদম্পটনের মনোবল ভেঙ্গে যায়। লিভারপুল দাপটের সাথে খেলতে থাকে এবং ৬৭ মিনিটে জোয়েল মাতিপের গোলে লিড নেয়। কস্টাস টিসিমিকাসের কর্নার কিকে মাথা লাগিয়ে মাতিপ গোলটি করেন। সাউদাম্পটন বাকি সময়ে লিভারপুলকে আর কোন বেগ দিতে পারেনি। ফলে অনেকটা নির্ভার থেকেই জয়ী হয় লিভারপুল।
দলের খেলোয়াড়দের জয়ী হওয়ার তীব্র আকাঙ্খা এবং লড়াই করার মানসিকতার প্রশংসা করেছেন কোচ ক্লপ। অনেক দিন পর একাদশে সুযোগ পাওয়া জেমস মিলনারও প্রশংসা করেছেন সহখেলোয়াড়দের। তিনি বলেন, ‘এরা সবাই অসাধারণ। এরা খেলার খুব বেশী সুযোগ পায় না, কিন্তু মন নিয়ে প্র্যাকটিস করে প্রতিদিন। যে কারণে যখন দরকার হয় তখনই মাঠে নেমে দারুন খেলতে পারে। এটা বিশেষ একটি ক্লাবের বিশেষ খেলোয়াড়দের দল। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাই এবং চেষ্টা অব্যাহত রাখি। যতটা সম্ভব এগিয়ে যেতে চাই আমরা।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ
বুধবার, ১৮ মে ২০২২
দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে মাঠে নেমেও লিভারপুল মঙ্গলবার রাতে ২-১ গোলে সাউদাম্পটনকে পরাজিত করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে। লিভারপুল এ ম্যাচে জয়ী হওয়ায় প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নির্ধারণ হবে শেষ রাউন্ডের ফলের উপর নির্ভর করে।
ইংলিশ লিগের দলগুলোর খেলায় হয়েছে ৩৭টি করে। বাকি আছে মাত্র একটি ম্যাচ এবং শিরোপার স্বপ্ন বাচিয়ে রাখা দুই দলের পয়েন্টের ব্যবধান মাত্র এক। ৩৭ ম্যাচ থেকে ম্যানসিটি ৯০ পয়েন্টে নিয়ে আছে শীর্ষে এবং লিভারপুল ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। রবিবার শেষ রাউন্ডে ম্যানসিটি নিজেদের মাঠে খেলবে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে এবং একই সময়ে লিভারপুলের প্রতিপক্ষ উলভারহ্যাম্পটন।
শেষ রাউন্ডে ম্যানসিটি যদি জিতে যায় তাহলে তারাই হয়ে যাবে চ্যাম্পিয়ন। তারা যদি জিততে না পারে তাহলেই কেবল সুযোগ আসবে লিভারপুলের সামনে। ম্যানসিটি যদি হেরে যায় এবং লিভারপুল ড্র করে তাহলে উভয় দলের পয়েন্ট সমান হবে। তবে গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় ম্যানসিটিই চ্যাম্পিয়ন হবে। অপর দিকে শিরোপা জিততে হলে লিভারপুলের কেবল নিজেদের ম্যাচে জিতলেই চলবে না একই সাথে পয়েন্ট হারাতে হবে ম্যানসিটিকেও। ম্যানসিটির শিরোপা জেতার জন্য অন্য কারুর উপর নির্ভর করতে হবে না। তাদের ম্যাচ জিতলেই চলবে। এমনকি ড্র করলেও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, সে ক্ষেত্রে জয় বঞ্চিত থাকতে হবে লিভারপুলকে।
লিভারপুল উঠেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। প্রিমিয়ার লিগের চেয়ে সেখানে তাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা বেশী থাকায় কোচ ইয়োর্গেন ক্লপ নিয়মিত দলের নয়জন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে দল গঠন করেন সাউদাম্পটনের বিপক্ষে। ইনজুরিতে থাকায় মোহামেদ সালাহ এবং ভার্জিল ফন ডাইক ছিলেন না দলে। খেলার ১৩ মিনিটের মাথায় নাথান রেডমন্ড গোল করে সাউদাম্পটনকে এগিয়ে দিলে চিন্তায় পড়ে যান কোচ। যদিও রবার্তো ফিরমিনো অল্প সময়ের মধ্যেই প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। লিভারপুল সমতায় ফেরে ২৭ মিনিটে তাকুমি মিনামিনোর গোলে।
এ গোলের পরই যেন সাউদম্পটনের মনোবল ভেঙ্গে যায়। লিভারপুল দাপটের সাথে খেলতে থাকে এবং ৬৭ মিনিটে জোয়েল মাতিপের গোলে লিড নেয়। কস্টাস টিসিমিকাসের কর্নার কিকে মাথা লাগিয়ে মাতিপ গোলটি করেন। সাউদাম্পটন বাকি সময়ে লিভারপুলকে আর কোন বেগ দিতে পারেনি। ফলে অনেকটা নির্ভার থেকেই জয়ী হয় লিভারপুল।
দলের খেলোয়াড়দের জয়ী হওয়ার তীব্র আকাঙ্খা এবং লড়াই করার মানসিকতার প্রশংসা করেছেন কোচ ক্লপ। অনেক দিন পর একাদশে সুযোগ পাওয়া জেমস মিলনারও প্রশংসা করেছেন সহখেলোয়াড়দের। তিনি বলেন, ‘এরা সবাই অসাধারণ। এরা খেলার খুব বেশী সুযোগ পায় না, কিন্তু মন নিয়ে প্র্যাকটিস করে প্রতিদিন। যে কারণে যখন দরকার হয় তখনই মাঠে নেমে দারুন খেলতে পারে। এটা বিশেষ একটি ক্লাবের বিশেষ খেলোয়াড়দের দল। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাই এবং চেষ্টা অব্যাহত রাখি। যতটা সম্ভব এগিয়ে যেতে চাই আমরা।’