গরুর লাম্পি স্কিন একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এটি মশা-মাছি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়। গ্রীষ্মের শেষ ও বর্ষার শুরুতে মশা-মাছির বিস্তার ঘটে ব্যাপক আকারে। তাই এ সময়ে গরুর ল্যাম্পিং স্কিন রোগ প্রকট আকার ধারণ করে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ। গ্রামগুলোতে হাজার হাজার গরু এ রোগে আক্রান্ত। উপজেলায় খামার আছে ২১০টি। খামারে গরু রয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার। কমবেশি সব খামারেই গরু লাম্পি স্কিন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারাও গেছে শতাধিক গরু।
শুধু গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জেই নয়, গরুর লাম্পি স্কিন রোগটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে দিনাজপুর জেলার প্রতিটি গ্রামে। এ জেলাতেও শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়েছে। এ কারণে গরু খামারিদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
দেশে ২০১৯ সালে প্রথম লাম্পি স্কিন রোগে গরুর আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরে জ্বর দেখা দেয়। খাবারের রুচি কমে যায়। নাক-মুখ দিয়ে লালা ঝরে। পা ফুলে যায়। বুকের নিচে পানি জমে। চামড়ায় গুটি গুটি ক্ষত হয়। পরে পচন ধরে। গর্ভবতী গাভীর গর্ভপাত ঘটে যেতে পারে। দেশের প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
প্রাণি চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গরুর লাম্পি স্কিন রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত পশুর সুস্থ হতে মাসখানেক সময় লাগে। বড় গরুর তুলনায় বাছুর গরুর মৃত্যুঝুঁকি বেশি। এ রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে। ঘা অতিমাত্রায় হলে তখন অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হয়। নিম পাতার রস ও লেবুর পানি বেশ উপকারি বলে অনেক বিশেষজ্ঞ বলে থাকেন।
খামারিদের দুর্বলতার সুযোগে একশ্রেণীর পল্লী চিকিৎসক প্রতারণার ফাঁদ পাতে। গরুকে ভ্যাকসিন দেয়ার নামে খামারিদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তাই এ ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। ভেটেরিনারি সার্জনরা যে প্রেসক্রিপশন দেন সেটা খামারিদের অনুসরণ করতে হবে। তাহলে এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব হবে। দেশের যেসব এলাকায় গরুর লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দিয়েছে, সেখানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদ্যোগে খামারিদের সচেতন করতে প্রচার চালাতে হবে।
মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩
গরুর লাম্পি স্কিন একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এটি মশা-মাছি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়। গ্রীষ্মের শেষ ও বর্ষার শুরুতে মশা-মাছির বিস্তার ঘটে ব্যাপক আকারে। তাই এ সময়ে গরুর ল্যাম্পিং স্কিন রোগ প্রকট আকার ধারণ করে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ। গ্রামগুলোতে হাজার হাজার গরু এ রোগে আক্রান্ত। উপজেলায় খামার আছে ২১০টি। খামারে গরু রয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার। কমবেশি সব খামারেই গরু লাম্পি স্কিন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারাও গেছে শতাধিক গরু।
শুধু গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জেই নয়, গরুর লাম্পি স্কিন রোগটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে দিনাজপুর জেলার প্রতিটি গ্রামে। এ জেলাতেও শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়েছে। এ কারণে গরু খামারিদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
দেশে ২০১৯ সালে প্রথম লাম্পি স্কিন রোগে গরুর আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরে জ্বর দেখা দেয়। খাবারের রুচি কমে যায়। নাক-মুখ দিয়ে লালা ঝরে। পা ফুলে যায়। বুকের নিচে পানি জমে। চামড়ায় গুটি গুটি ক্ষত হয়। পরে পচন ধরে। গর্ভবতী গাভীর গর্ভপাত ঘটে যেতে পারে। দেশের প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
প্রাণি চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গরুর লাম্পি স্কিন রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত পশুর সুস্থ হতে মাসখানেক সময় লাগে। বড় গরুর তুলনায় বাছুর গরুর মৃত্যুঝুঁকি বেশি। এ রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে। ঘা অতিমাত্রায় হলে তখন অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হয়। নিম পাতার রস ও লেবুর পানি বেশ উপকারি বলে অনেক বিশেষজ্ঞ বলে থাকেন।
খামারিদের দুর্বলতার সুযোগে একশ্রেণীর পল্লী চিকিৎসক প্রতারণার ফাঁদ পাতে। গরুকে ভ্যাকসিন দেয়ার নামে খামারিদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তাই এ ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। ভেটেরিনারি সার্জনরা যে প্রেসক্রিপশন দেন সেটা খামারিদের অনুসরণ করতে হবে। তাহলে এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব হবে। দেশের যেসব এলাকায় গরুর লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দিয়েছে, সেখানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদ্যোগে খামারিদের সচেতন করতে প্রচার চালাতে হবে।