alt

সম্পাদকীয়

উখিয়ায় আবাদি ও বনের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

: সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কক্সবাজারের উখিয়ায় কমে যাচ্ছে আবাদি জমি। সেই সঙ্গে কমতে শুরু করেছে সেখানকার বনভূমির আয়তনও। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সেখানে যত্রতত্র গড়ে তোলা হচ্ছে দালানকোঠা। বাড়িঘর নির্মাণে কাটা হচ্ছে বন ও পাহাড়। যে যার ইচ্ছেমতোই অপরিকল্পিতভাবে বাসস্থান তৈরি করছে।

উখিয়ায় মোট আবাদি জমি ১০ হাজার ৭০১ হেক্টর। অপরিকল্পিত নগরায়ন, বসতি স্থাপন, দপ্তর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য। ফসলিজমি যদি কমতে থাকে, তাহলে অদূর-ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে ফসল উৎপাদন ব্যহত হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। বনের আয়তন কমে গেলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হবে। জীববৈচিত্র্যেরও টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠবে।

আবাসনেরও প্রয়োজন আছে। কিন্তু সেটা করতে হবে পরিকল্পিতভাবে। খেয়াল-খুশিমতো যেখানে সেখানে ঘরবাড়ি গড়ে তোলা হলে পরিবেশ-প্রকৃতি বিপন্ন হবে। অপরিকল্পিতভাবে নগরায়নের কারণে দেশকে ইতোমধ্যে অনেক খেসারত দিতে হয়েছে। অপরিকল্পিত বাসস্থান গড়ে তোলার জন্য বনভূমি, জলাশয় ও কৃষিজমি হারাতে হয়েছে। এরপরও যদি মানুষ সচেতন না হয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। এখনও যেটুকু কৃষিজমি, জলাভূমি ও বনের জমি অবশিষ্ট রয়েছে, তা আর রক্ষা করা যাবে না।

অপরিকল্পিতভাবে অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনবসতি গড়ে তোলা হচ্ছে। অপরিকল্পিত আবাসন রোধ করতে হলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে একটি সুচিন্তিত নীতিমালা প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

আমরা বলতে চাই, আবাসন হতে হবে পরিকল্পিতভাবে। আবাদী জমি, বন, পাহাড় রক্ষা করে কিভাবে বসতি গড়ে তোলা যায় সেই উপায় খুঁজতে হবে। মানুষ ও প্রকৃতির সহবস্থান নিশ্চিত করা জরুরি। প্রকৃতিকে ধ্বংস করে মানববসতি গড়ে তোলা হলে সেটা টেকসই হবে না। উখিয়া বা দেশের অন্য কোনো জায়গায় আবাসনের কারণে কৃষিজমি ও বনের আয়তন যেন না কমে যায় সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে।

অবৈধ ইটভাটা : আইনের অমান্যতা ও প্রশাসনের নীরবতা

ভবদহের জলাবদ্ধতা ও আত্মঘাতী প্রকল্পের বিপর্যয়

চায়না দুয়ারী জাল : জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি

চাল সংরক্ষণের সাইলো : অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতা : কৃষকদের দুর্দশার শেষ কোথায়?

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : টেকসই মৎস্যসম্পদ রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা

জলাবদ্ধতার প্রভাব ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষা : জরুরি সমাধান প্রয়োজন

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

tab

সম্পাদকীয়

উখিয়ায় আবাদি ও বনের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কক্সবাজারের উখিয়ায় কমে যাচ্ছে আবাদি জমি। সেই সঙ্গে কমতে শুরু করেছে সেখানকার বনভূমির আয়তনও। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সেখানে যত্রতত্র গড়ে তোলা হচ্ছে দালানকোঠা। বাড়িঘর নির্মাণে কাটা হচ্ছে বন ও পাহাড়। যে যার ইচ্ছেমতোই অপরিকল্পিতভাবে বাসস্থান তৈরি করছে।

উখিয়ায় মোট আবাদি জমি ১০ হাজার ৭০১ হেক্টর। অপরিকল্পিত নগরায়ন, বসতি স্থাপন, দপ্তর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য। ফসলিজমি যদি কমতে থাকে, তাহলে অদূর-ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে ফসল উৎপাদন ব্যহত হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। বনের আয়তন কমে গেলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হবে। জীববৈচিত্র্যেরও টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠবে।

আবাসনেরও প্রয়োজন আছে। কিন্তু সেটা করতে হবে পরিকল্পিতভাবে। খেয়াল-খুশিমতো যেখানে সেখানে ঘরবাড়ি গড়ে তোলা হলে পরিবেশ-প্রকৃতি বিপন্ন হবে। অপরিকল্পিতভাবে নগরায়নের কারণে দেশকে ইতোমধ্যে অনেক খেসারত দিতে হয়েছে। অপরিকল্পিত বাসস্থান গড়ে তোলার জন্য বনভূমি, জলাশয় ও কৃষিজমি হারাতে হয়েছে। এরপরও যদি মানুষ সচেতন না হয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। এখনও যেটুকু কৃষিজমি, জলাভূমি ও বনের জমি অবশিষ্ট রয়েছে, তা আর রক্ষা করা যাবে না।

অপরিকল্পিতভাবে অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনবসতি গড়ে তোলা হচ্ছে। অপরিকল্পিত আবাসন রোধ করতে হলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে একটি সুচিন্তিত নীতিমালা প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

আমরা বলতে চাই, আবাসন হতে হবে পরিকল্পিতভাবে। আবাদী জমি, বন, পাহাড় রক্ষা করে কিভাবে বসতি গড়ে তোলা যায় সেই উপায় খুঁজতে হবে। মানুষ ও প্রকৃতির সহবস্থান নিশ্চিত করা জরুরি। প্রকৃতিকে ধ্বংস করে মানববসতি গড়ে তোলা হলে সেটা টেকসই হবে না। উখিয়া বা দেশের অন্য কোনো জায়গায় আবাসনের কারণে কৃষিজমি ও বনের আয়তন যেন না কমে যায় সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে।

back to top