রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক আইসিইউ বিভাগে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকা-ে কার্ডিয়াক আইসিইউ বিভাগের শয্যাসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে। কী কারণে অগ্নিকা- ঘটেছে, তা জানার জন্য পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শিশু হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সামান্য কিছু ফায়ার এক্সটিংগুইশার ছাড়া পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে ফায়ার সার্ভিস।
শিশু হাসপাতালের অগ্নিকা-ের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস সময় মতো পৌঁছেছিল, এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও কার্ডিয়াক বিভাগের সব যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে। চিকিৎসাসেবা দেয়ার মতো একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা কেন রাখা হয়নি, সেটা একটা প্রশ্ন। অগ্নিকা- থেকে রক্ষা পেতে শুধু কয়েকটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার রাখা হয়েছে।
শুধু ঢাকার আগারগাঁওয়ের শিশু হাসপাতালের অগ্নিকা-ের ক্ষেত্রেই নয়, দেশে যখনই কোথাও আগুন লাগে, তখনই সেখানে দেখা যায় যে সেখানে কোনো অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল না। শুধু কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যে এমনটি দেখা যায় তা না, সরকারি জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতেও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের অভাবের কথা শোনা যায়। কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে যায়। একদিকে মানুষ আগুনে পুড়ে প্রাণ হারায়, অন্যদিকে অর্থ-সম্পদও নষ্ট হয়।
শিল্পকারখানা বা যে কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি রাখার নিয়ম রয়েছে। কেউ যদি সেটা অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, নিয়ম থাকা সত্ত্বেও তা মানা হচ্ছে না কেন? যেখানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখার কথা, সেখানে রাখা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় সেটা জানা দরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সবক্ষেত্রে নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার ডিটেকশন সিস্টেম, ফায়ার প্রটেকশন সিস্টেম, ফায়ার সাপ্রেশন সিস্টেম, ফায়ার ডোরসহ আগুন নেভানোর জন্য নানান ধরনের যন্ত্র বাজারে পাওয়া যায়। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহারে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এর উপকারিতা সম্পর্কে তাদের বোঝাতে হবে, এর ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
রোববার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক আইসিইউ বিভাগে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকা-ে কার্ডিয়াক আইসিইউ বিভাগের শয্যাসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে। কী কারণে অগ্নিকা- ঘটেছে, তা জানার জন্য পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শিশু হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সামান্য কিছু ফায়ার এক্সটিংগুইশার ছাড়া পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে ফায়ার সার্ভিস।
শিশু হাসপাতালের অগ্নিকা-ের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস সময় মতো পৌঁছেছিল, এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও কার্ডিয়াক বিভাগের সব যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে। চিকিৎসাসেবা দেয়ার মতো একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা কেন রাখা হয়নি, সেটা একটা প্রশ্ন। অগ্নিকা- থেকে রক্ষা পেতে শুধু কয়েকটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার রাখা হয়েছে।
শুধু ঢাকার আগারগাঁওয়ের শিশু হাসপাতালের অগ্নিকা-ের ক্ষেত্রেই নয়, দেশে যখনই কোথাও আগুন লাগে, তখনই সেখানে দেখা যায় যে সেখানে কোনো অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল না। শুধু কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যে এমনটি দেখা যায় তা না, সরকারি জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতেও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের অভাবের কথা শোনা যায়। কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে যায়। একদিকে মানুষ আগুনে পুড়ে প্রাণ হারায়, অন্যদিকে অর্থ-সম্পদও নষ্ট হয়।
শিল্পকারখানা বা যে কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি রাখার নিয়ম রয়েছে। কেউ যদি সেটা অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, নিয়ম থাকা সত্ত্বেও তা মানা হচ্ছে না কেন? যেখানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখার কথা, সেখানে রাখা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় সেটা জানা দরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সবক্ষেত্রে নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার ডিটেকশন সিস্টেম, ফায়ার প্রটেকশন সিস্টেম, ফায়ার সাপ্রেশন সিস্টেম, ফায়ার ডোরসহ আগুন নেভানোর জন্য নানান ধরনের যন্ত্র বাজারে পাওয়া যায়। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহারে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এর উপকারিতা সম্পর্কে তাদের বোঝাতে হবে, এর ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।