alt

opinion » editorial

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

: মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং কর্ম সুবিধাভোগী মানুষের আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নে আর্থিক সুবিধা দেয় সরকার। সোসাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ‘এসডিএফ’র সদস্যরা এ আর্থিক সুবিধা পান। ভিক্ষুক ও বিধবা ভিক্ষুক ও অন্যান্য দরিদ্রশ্রেণির মানুষের জন্য এ ঋণ সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা করে এসডিএফ।

ময়মনসংিহের ধোবাউড়ার বাঘবেড় ইউনিয়নে ২৫টি গ্রাম-সমিতি নিয়ে অতিদরিদ্রদের ঋণ দেয়ার কাজ শুরু করে এসডিএফ। কিন্তু এসডিএফ সদস্যরা জানেনই না যে তাদের নামে ঋণ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এসডিএফের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এলাকার গ্রাম-সমিতির লিডাররা গ্রামের দরিদ্র সদস্যদের নামে বরাদ্ধ ঋণের লাখ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এতকিছু ঘটে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

ফলে সরকারের প্রকল্পটিও আলোর মুখ দেখছে না। আবার সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে গ্রামের দরিদ্র মানুষ। আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধার করে তাদের ফেরত দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সদস্যরা।

গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সরকার তাদের নামে আর্থিক ঋণের ব্যবস্থা করেছে, কিন্তু এসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষ সে খবর জানেই না। সমিতি ও এসডিএফের কর্মকর্তাদেরই তো দায়িত্ব এটা সদস্যদের জানানো। তাহলে তারা কেন জানাননি, সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, কেউ যদি এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেন তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর সমিতির কর্তৃপক্ষরা ভুক্তভোগী সদস্যদের টাকা পরিশোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আমরা বলতে চাই, লিখিত অভিযোগের অপেক্ষায় থাকলে চলবে না। প্রশাসনকে উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে হবে। অসহায় দরিদ্র মানুষের টাকা উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

শুধু সরকারের এসডিএফ প্রকল্পের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা না। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নে নেয়া অনেক প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিয়োগের খবর গণমাধ্যমে পাওয়া যায়।

ধোবাউড়ায় প্রতারণা করে গরিব মানুষের নামে বরাদ্ধ লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নিতে হবে। যে বা যারাই এসব অন্যায় কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে, এটা আমরা চাই। আর আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধার করে যাদের নামে ঋণ বরাদ্দ দেয়ার কথা তাদের হাতে পৌঁছে দিতে হবে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং কর্ম সুবিধাভোগী মানুষের আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নে আর্থিক সুবিধা দেয় সরকার। সোসাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ‘এসডিএফ’র সদস্যরা এ আর্থিক সুবিধা পান। ভিক্ষুক ও বিধবা ভিক্ষুক ও অন্যান্য দরিদ্রশ্রেণির মানুষের জন্য এ ঋণ সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা করে এসডিএফ।

ময়মনসংিহের ধোবাউড়ার বাঘবেড় ইউনিয়নে ২৫টি গ্রাম-সমিতি নিয়ে অতিদরিদ্রদের ঋণ দেয়ার কাজ শুরু করে এসডিএফ। কিন্তু এসডিএফ সদস্যরা জানেনই না যে তাদের নামে ঋণ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এসডিএফের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এলাকার গ্রাম-সমিতির লিডাররা গ্রামের দরিদ্র সদস্যদের নামে বরাদ্ধ ঋণের লাখ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এতকিছু ঘটে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

ফলে সরকারের প্রকল্পটিও আলোর মুখ দেখছে না। আবার সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে গ্রামের দরিদ্র মানুষ। আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধার করে তাদের ফেরত দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সদস্যরা।

গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সরকার তাদের নামে আর্থিক ঋণের ব্যবস্থা করেছে, কিন্তু এসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষ সে খবর জানেই না। সমিতি ও এসডিএফের কর্মকর্তাদেরই তো দায়িত্ব এটা সদস্যদের জানানো। তাহলে তারা কেন জানাননি, সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, কেউ যদি এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেন তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর সমিতির কর্তৃপক্ষরা ভুক্তভোগী সদস্যদের টাকা পরিশোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আমরা বলতে চাই, লিখিত অভিযোগের অপেক্ষায় থাকলে চলবে না। প্রশাসনকে উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে হবে। অসহায় দরিদ্র মানুষের টাকা উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

শুধু সরকারের এসডিএফ প্রকল্পের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা না। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নে নেয়া অনেক প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিয়োগের খবর গণমাধ্যমে পাওয়া যায়।

ধোবাউড়ায় প্রতারণা করে গরিব মানুষের নামে বরাদ্ধ লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নিতে হবে। যে বা যারাই এসব অন্যায় কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে, এটা আমরা চাই। আর আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধার করে যাদের নামে ঋণ বরাদ্দ দেয়ার কথা তাদের হাতে পৌঁছে দিতে হবে।

back to top