দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং কর্ম সুবিধাভোগী মানুষের আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নে আর্থিক সুবিধা দেয় সরকার। সোসাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ‘এসডিএফ’র সদস্যরা এ আর্থিক সুবিধা পান। ভিক্ষুক ও বিধবা ভিক্ষুক ও অন্যান্য দরিদ্রশ্রেণির মানুষের জন্য এ ঋণ সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা করে এসডিএফ।
ময়মনসংিহের ধোবাউড়ার বাঘবেড় ইউনিয়নে ২৫টি গ্রাম-সমিতি নিয়ে অতিদরিদ্রদের ঋণ দেয়ার কাজ শুরু করে এসডিএফ। কিন্তু এসডিএফ সদস্যরা জানেনই না যে তাদের নামে ঋণ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এসডিএফের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এলাকার গ্রাম-সমিতির লিডাররা গ্রামের দরিদ্র সদস্যদের নামে বরাদ্ধ ঋণের লাখ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এতকিছু ঘটে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফলে সরকারের প্রকল্পটিও আলোর মুখ দেখছে না। আবার সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে গ্রামের দরিদ্র মানুষ। আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধার করে তাদের ফেরত দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সদস্যরা।
গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সরকার তাদের নামে আর্থিক ঋণের ব্যবস্থা করেছে, কিন্তু এসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষ সে খবর জানেই না। সমিতি ও এসডিএফের কর্মকর্তাদেরই তো দায়িত্ব এটা সদস্যদের জানানো। তাহলে তারা কেন জানাননি, সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, কেউ যদি এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেন তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর সমিতির কর্তৃপক্ষরা ভুক্তভোগী সদস্যদের টাকা পরিশোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আমরা বলতে চাই, লিখিত অভিযোগের অপেক্ষায় থাকলে চলবে না। প্রশাসনকে উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে হবে। অসহায় দরিদ্র মানুষের টাকা উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
শুধু সরকারের এসডিএফ প্রকল্পের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা না। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নে নেয়া অনেক প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিয়োগের খবর গণমাধ্যমে পাওয়া যায়।
ধোবাউড়ায় প্রতারণা করে গরিব মানুষের নামে বরাদ্ধ লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নিতে হবে। যে বা যারাই এসব অন্যায় কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে, এটা আমরা চাই। আর আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধার করে যাদের নামে ঋণ বরাদ্দ দেয়ার কথা তাদের হাতে পৌঁছে দিতে হবে।
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং কর্ম সুবিধাভোগী মানুষের আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নে আর্থিক সুবিধা দেয় সরকার। সোসাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ‘এসডিএফ’র সদস্যরা এ আর্থিক সুবিধা পান। ভিক্ষুক ও বিধবা ভিক্ষুক ও অন্যান্য দরিদ্রশ্রেণির মানুষের জন্য এ ঋণ সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা করে এসডিএফ।
ময়মনসংিহের ধোবাউড়ার বাঘবেড় ইউনিয়নে ২৫টি গ্রাম-সমিতি নিয়ে অতিদরিদ্রদের ঋণ দেয়ার কাজ শুরু করে এসডিএফ। কিন্তু এসডিএফ সদস্যরা জানেনই না যে তাদের নামে ঋণ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এসডিএফের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এলাকার গ্রাম-সমিতির লিডাররা গ্রামের দরিদ্র সদস্যদের নামে বরাদ্ধ ঋণের লাখ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এতকিছু ঘটে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফলে সরকারের প্রকল্পটিও আলোর মুখ দেখছে না। আবার সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে গ্রামের দরিদ্র মানুষ। আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধার করে তাদের ফেরত দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সদস্যরা।
গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সরকার তাদের নামে আর্থিক ঋণের ব্যবস্থা করেছে, কিন্তু এসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষ সে খবর জানেই না। সমিতি ও এসডিএফের কর্মকর্তাদেরই তো দায়িত্ব এটা সদস্যদের জানানো। তাহলে তারা কেন জানাননি, সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, কেউ যদি এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেন তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর সমিতির কর্তৃপক্ষরা ভুক্তভোগী সদস্যদের টাকা পরিশোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আমরা বলতে চাই, লিখিত অভিযোগের অপেক্ষায় থাকলে চলবে না। প্রশাসনকে উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে হবে। অসহায় দরিদ্র মানুষের টাকা উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
শুধু সরকারের এসডিএফ প্রকল্পের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা না। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নে নেয়া অনেক প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিয়োগের খবর গণমাধ্যমে পাওয়া যায়।
ধোবাউড়ায় প্রতারণা করে গরিব মানুষের নামে বরাদ্ধ লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নিতে হবে। যে বা যারাই এসব অন্যায় কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে, এটা আমরা চাই। আর আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধার করে যাদের নামে ঋণ বরাদ্দ দেয়ার কথা তাদের হাতে পৌঁছে দিতে হবে।