alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বিভিন্ন গ্রাম ও হাটবাজারে গড়ে উঠেছে দেড় শতাধিক সমবায় সমিতি। অভিযোগ রয়েছে, সমিতিগুলো নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা করছে না। সাটুরিয়ার তিল্লি ইউনিয়নের পারতিল্লি বাজারে ‘মায়ের দোয়া সমবায় সমিতি’ নিবন্ধন পেয়েছে ২০১৮ সালে। গত ৫ মে গ্রাহকরা স্ট্যাম্প ও পাস বই নিয়ে টাকা ওঠানোর জন্য গেলে দেখতে পান অফিসে তালা ঝুলছে। তিন শতাধিক গ্রাহকের প্রায় দুই কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ভুক্তভোগী আমানতকারীরা সমিতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন।

সমবায় সমিতি আইনে বলা হয়েছে কোনো মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সমবায় সমিতি ব্যাংকিং কার্যক্রম ডিপিএস, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র ও সেভিং হিসাব খুলে কোনোভাবেই গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে না। কিন্তু সাটুরিয়ায় দেড় শতাধিক সমবায় সমিতি গ্রাহকদের ফাঁদে ফেলে কীভাবে আমানত সংগ্রক করছে, সে প্রশ্ন এসে যায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি আইনের যথাযথ প্রয়োগের ব্যবস্থা থাকত এবং বিষয়টি মনিটরিং করা হতো তাহলে অবৈধভাবে এতসংখ্যক সমিতি গড়ে উঠত না।

সাটুরিয়া উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মায়ের দোয়া’ সমিতি ঋণ কার্যক্রমের আড়ালে গোপনে আমানত সংগ্রহ করেছে, এটা তাদের জানা ছিল না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গ্রাহকদের টাকা উধাও হওয়ার অভিযোগটি স্বাীকার করেছেন। তিনি দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি সুরাহা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এ-ও বলেছেন যে সমিতি কর্তৃপক্ষ যদি গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরত না দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

শুধু সাটুরিয়ায়ই নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সমিতির নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সমিতির মালিকরা লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। মানুষ কিছু লাভের আশায়, বিপদে-আপদে আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্তি ও এককালীন বেশ কিছু অর্থ পাওয়ার জন্য সমবায় সমিতির সঙ্গে যুক্ত হয়। অনেকটা বিশ্বাসের ওপরই গ্রাহকরা তাদের টাকা দেন। কিন্তু অসাধু কিছু সমিতি মানুষের সেই বিশ্বাস ভঙ্গ করে। এমনই ঘটনা ঘটেছে সাটুরিয়ায়।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে যে গ্রাহকদের টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে। শুধু আশ্বাস নয়, যারা গ্রাহকদের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। গ্রাহকরা যাতে তাদের টাকা ফেরত পান সেই ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো সমিতির অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করলে তা বন্ধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে আবারও গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হতে পারে।

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বিভিন্ন গ্রাম ও হাটবাজারে গড়ে উঠেছে দেড় শতাধিক সমবায় সমিতি। অভিযোগ রয়েছে, সমিতিগুলো নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা করছে না। সাটুরিয়ার তিল্লি ইউনিয়নের পারতিল্লি বাজারে ‘মায়ের দোয়া সমবায় সমিতি’ নিবন্ধন পেয়েছে ২০১৮ সালে। গত ৫ মে গ্রাহকরা স্ট্যাম্প ও পাস বই নিয়ে টাকা ওঠানোর জন্য গেলে দেখতে পান অফিসে তালা ঝুলছে। তিন শতাধিক গ্রাহকের প্রায় দুই কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ভুক্তভোগী আমানতকারীরা সমিতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন।

সমবায় সমিতি আইনে বলা হয়েছে কোনো মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সমবায় সমিতি ব্যাংকিং কার্যক্রম ডিপিএস, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র ও সেভিং হিসাব খুলে কোনোভাবেই গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে না। কিন্তু সাটুরিয়ায় দেড় শতাধিক সমবায় সমিতি গ্রাহকদের ফাঁদে ফেলে কীভাবে আমানত সংগ্রক করছে, সে প্রশ্ন এসে যায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি আইনের যথাযথ প্রয়োগের ব্যবস্থা থাকত এবং বিষয়টি মনিটরিং করা হতো তাহলে অবৈধভাবে এতসংখ্যক সমিতি গড়ে উঠত না।

সাটুরিয়া উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মায়ের দোয়া’ সমিতি ঋণ কার্যক্রমের আড়ালে গোপনে আমানত সংগ্রহ করেছে, এটা তাদের জানা ছিল না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গ্রাহকদের টাকা উধাও হওয়ার অভিযোগটি স্বাীকার করেছেন। তিনি দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি সুরাহা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এ-ও বলেছেন যে সমিতি কর্তৃপক্ষ যদি গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরত না দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

শুধু সাটুরিয়ায়ই নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সমিতির নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সমিতির মালিকরা লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। মানুষ কিছু লাভের আশায়, বিপদে-আপদে আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্তি ও এককালীন বেশ কিছু অর্থ পাওয়ার জন্য সমবায় সমিতির সঙ্গে যুক্ত হয়। অনেকটা বিশ্বাসের ওপরই গ্রাহকরা তাদের টাকা দেন। কিন্তু অসাধু কিছু সমিতি মানুষের সেই বিশ্বাস ভঙ্গ করে। এমনই ঘটনা ঘটেছে সাটুরিয়ায়।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে যে গ্রাহকদের টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে। শুধু আশ্বাস নয়, যারা গ্রাহকদের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। গ্রাহকরা যাতে তাদের টাকা ফেরত পান সেই ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো সমিতির অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করলে তা বন্ধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে আবারও গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হতে পারে।

back to top